Ajker Patrika

সিলেটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জুয়েল আহমদ (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ছালিয়া বড় বাড়ির সুলতান আহমদ।

অভিযুক্ত জুয়েল আহমদ (৩৬) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত সোমবার দুপুর আড়াইটায় মোটরসাইকেল দিয়ে ছাতকের নোয়াকুট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করেন তিনি। নোয়াগাঁও মসজিদের পশ্চিমে পৌঁছামাত্র জুয়েল আহমদ ৩-৪ জন লোক নিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়া পূর্ব থেকে রাস্তার উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।

মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গে জুয়েল আহমদ বলে এই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে হলে যাওয়ার সময় ২০০ টাকা এবং আসার সময় ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জুয়েল আহমদ বলেন, ‘সবাই দেয় তুই দিবি না কেন।’ তর্কাতর্কির একপর্যায়ে জুয়েল আহমদ ও তাহার সঙ্গীরা মারপিট করতে উদ্ধত হয়। তখন নিরুপায় হয়ে জুয়েল আহমদকে ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হই। ফিরে আসার সময় আরও ২০০ টাকা দেব মর্মে স্বীকার করি।

অভিযোগকারী সুলতান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শ্বশুর বাড়ি ওই এলাকায়। আমি একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি রাস্তায় কাজ চলতেছে। তাই আমি রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন জুয়েল দৌঁড়ে এসে আমার পথরোধ করে। জুয়েল আগে থেকেই আমাকে চেনে এবং আমিও তাকে চিনি। তারপরও সে এসে বলে টাকা দিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।’

আমি এ বিষয়ে স্থানীয় মুরব্বি ও সবাইকে জানিয়েছি। ওই এলাকার মানুষের সামনে সে আমাকে প্রচুর অপমান করছে। প্রয়োজন হলে আমি সংবাদ সম্মেলন করব। এই রাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থেকে তারা চাঁদাবাজি করে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।

জুয়েল নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে রাস্তায় চাঁদাবাজি করছে। সে এই রাস্তায় চলাচলকারী ট্রলি গাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে জুয়েল আহমদকে বারবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলা উদ্দিন বলেন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপরাধ করলে দল কোনোভাবে এর দায়ভার নিবে না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। কারও ব্যক্তিগত অপরাধের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ যুবলীগ কোনোভাবে জড়িত নয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য একজন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, ‘অভিযোগের কপি পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। দুইপক্ষকেই ডাকবো। দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত বিডিআরের বরখাস্ত ১৪ সদস্য

গাজীপুর প্রতিনিধি
বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় জামিন পাওয়া বরখাস্ত সদস্যদের আজ বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় জামিন পাওয়া বরখাস্ত সদস্যদের আজ বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বরখাস্ত ১৪ সদস্য গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন। তিনি জানান, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছার পর যাচাই-বাছাই শেষে আজ দুপুরে প্রথম দফায় ৯ জন এবং বিকেলে আরও ৪ জনসহ মোট ১৩ সাবেক বিডিআর সদস্যকে কারাগার-২ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাশিমপুর কারাগার-১ থেকে আরও ১ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সেখান থেকে মোট ৭৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যার অভিযোগে একটি ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। পরে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়।

জানা গেছে, ওই মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে শুনানি চলছে। বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এর আগে ২১৮ জন সাবেক বিডিআর সদস্য বিভিন্ন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বজনদের শনাক্ত করা ৬ মরদেহ হস্তান্তর বৃহস্পতিবার, এক লাশের দাবিদার দুই পরিবার

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫০
স্বজনদের শনাক্ত করা ৬ মরদেহ হস্তান্তর বৃহস্পতিবার, এক লাশের দাবিদার দুই পরিবার

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব মরদেহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা হবে।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিনের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সিআইডির ফরেনসিকের ল্যাব পরীক্ষক মো. মাসুদ রাব্বী।

মাসুদ রাব্বী বলেন, ছয়টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাড় ও টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য মরদেহগুলো থেকে আগামীকাল নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া মরদেহ দাবিদারদের আগামীকাল সকাল ৯টায় মালিবাগ সিআইডি ল্যাবে গিয়ে নমুনা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এমআই) মুখলেসুর রহমান লস্কর। তিনি বলেন, ১৬টি মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি নামসহ ও পাঁচটি অজ্ঞাতনামা। আবার দুই-তিনটি মরদেহের একাধিক দাবিদার পাওয়া গেছে। সব মরদেহের সঙ্গে দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও মেলানো হবে।

এসআই বলেন, আজ ছয়টি মরদেহ শনাক্তের পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা হলো বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহর মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৮), শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫), গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম সরকার (২৩), বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দাড়িকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল মামুন (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২০)। তাদের মরদেহ আগামীকাল হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিরা হলো সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গোল্লা রাজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫); বরগুনা সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯); নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (১৪); নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০) ও তাঁর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা (১৮)।

এ তালিকায় আরও রয়েছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাউথখালী গ্রামের নয়ন মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (১৩); নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের সনু মিয়ার মেয়ে মুনা আক্তার সামিয়া (১৬); লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী খাতুন (২২); শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মুছা দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৬); নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (১৮) ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৪০)।

এ ছাড়া ১৪ নম্বর ব্যাগের মরদেহটি দাবি করেছে আব্দুল আলিম (১৪) ও তোফায়েল আহমেদের (১৮) পৃথক দুই পরিবার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রদল সভাপতির পর কর্মীরও মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
অপি দাশ ও তানিম। ছবি: সংগৃহীত
অপি দাশ ও তানিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অপি দাশের পর তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রদলের কর্মী তানিমও মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম (২০) মারা যান।

নিহত তানিম উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাটের চৌধুরী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তানিম মারা যান।

এদিকে হামলার ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. আফসার উদ্দিন (১৮) নামের একজনকে আটক করেছে হাটহাজারী পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাটের দাতারাম সড়ক এলাকার কয়েকজন দুর্বৃত্ত চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি অপি দাশের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। একই সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন তানিমও।

স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অপি দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তানিমকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামিম মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদুকাটার বালু লুটের ঘটনায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামে যাদুকাটা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নেওয়া হয়। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামে যাদুকাটা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নেওয়া হয়। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু লুটের অভিযোগে ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে ৫১ জনের নামোল্লেখ ও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার তাহিরপুর থানায় যাদুকাটা নদী-১-এর ইজারাদার মো. নাছির মিয়ার পক্ষে মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। এজাহারে ইজারার বাইরের স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আলহাজ মিয়া (৪৫); জাহিদ মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪০); বিল্লাল আমিনের ছেলে হেনাজ মিয়া (৪২); জালাল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (৩৯); সুলতান আমিনের ছেলে নোরাঙ্গীর আলম (৩৮) ও শাহাদুল আলম (৩৪); আফজল উদ্দিনের ছেলে নারজুল হোসেন (৩৫), পারভেজ (৩০) ও কবির মিয়া (৩৪); জাহিদ মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (৩৫); ফানা উদ্দিনের ছেলে এহিবুল আলম (২৯); আবুল হোসেনের ছেলে সুর আলম (৪০); হজ্জিল মিয়ার ছেলে নজির হোসেন (৩৩); সাইতু মিয়ার ছেলে শফিকুল মিয়া (৫৫); তাজুল উদ্দিনের ছেলে রুস্তম মিয়া (৫০); আমু মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নান (৪৪); হেদায়েত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫০) ও হুমায়ুন মিয়া (৪৫); কিবরিয়া মিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার (৬০); আবুল কাসেমের ছেলে খাজা মাইনুদ্দিন (৬৫); কাছম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৫০); আব্দুল খালেকের ছেলে মজিবুর (৫৫); মনর উদ্দিনের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৭); জুনায়েদ (পিতা অজ্ঞাতনামা); ময়দর আলীর ছেলে রফিকুল (৫৫) এবং মকবুল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪৫)।

আরও রয়েছেন পুরান লাউড় গ্রামের রহম আলীর ছেলে মোস্তফা মিয়া (৫০) ও তাঁর ছেলে মাইনুদ্দিন (২২); উসমান গনির ছেলে অমর গনি (৪০); সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহ আরফিন (৪০); খুরশিদ মিয়ার ছেলে আজগর আলী (৪২); মমিন মেম্বারের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪৫); শুক্কুর মাসুদের ছেলে শিপন, শোভন ও শাহান শাহ।

ছড়ারপাড় গ্রামের মছন আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫); আরব আলীর ছেলে এখলাছুর (৪২); মাতু মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলী (৩৯) এবং রহম আলীর ছেলে হেলাল মিয়া। সাহিদাবাদ গ্রামের মৃত নোয়াজ আলীর ছেলে মহরম আলী (৬০); মো. রুপ আলীর ছেলে মোবারক হোসেন (৩৮); মমিন মেম্বারের ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫) ও সাবিকুল (৪২)। শিমুলতলা গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে সোহান মিয়া (৩২), আলাল উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (৩৪) ও জুয়েল মিয়া (২৭)। ঘাগটিয়া গ্রামের নূর কালামের ছেলে আন্তারুল (৪৫) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে মাসুদ রানা (৪০)। ঢালারপার গ্রামের আলী নূরের ছেলে বিল্লাল মিয়া (৫০)। এ ছাড়া রয়েছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন ডালিম (৩৮) ও মনোয়ার হোসেন অলিম (২৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যাদুকাটা নদী-১ ইজারা করা জায়গা লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী ইজারাবহির্ভূত স্থানে সরকারি খাস জলাভূমি ও নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এ মামলা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর তীর কাটার বিরুদ্ধে ইজারাদারের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। একই দিনে চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটা মামলা হয়। যাদুকাটা নদীর পরিবেশ এখন শান্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে আমাদের আইনি কার্যক্রম চলমান আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত