Ajker Patrika

সরকারি জায়গায় আরএসএস সভা করতে পারবে না, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৫৬
আরএসএস—এর একটি র‍্যালিতে লাঠি হাতে সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আরএসএস—এর একটি র‍্যালিতে লাঠি হাতে সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গের অনুরোধের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ৪ অক্টোবরের এক চিঠি প্রকাশ করে। সেই চিঠি লিখেছিলেন প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার একটি নোট, যাতে তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

চিঠিতে খাড়গে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নামের একটি সংগঠন সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ ব্যবহার করে শাখা সভা করছে। সেখানে এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের মনে দেশের ঐক্য ও সংবিধানের আদর্শের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে।’

তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এসব শাখা সভায় লাঠি প্রদর্শনের মতো আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খাড়গে চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘রাজ্যের শিশু, তরুণ, সাধারণ মানুষ ও সমাজের কল্যাণের স্বার্থে আমি অনুরোধ করছি—সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, মাঠ, পার্ক, মুজরাই বিভাগের অধীনে থাকা মন্দির, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীন স্থান এবং সরকারি জমিতে অনুষ্ঠিত শাখা, সাংঘিক বা বৈঠক নামে আরএসএসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।’

রোববার এক্সে চিঠির অনুলিপি শেয়ার করে খাড়গে বলেন, ‘আজ এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে—যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছোড়া হয়, সংবিধানপ্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকরকে অপমান করা হয়, আর এসবই আরএসএসের প্রণোদিত মৌলবাদী মতাদর্শের ফল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, সরকারি ও পাবলিক স্থানে আরএসএসের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে। সংবিধানের আদর্শ—ঐক্য, সমতা ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে, এবং শিশু ও তরুণ সমাজের ওপর আরএসএসের নেতিবাচক প্রভাব রোধে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেন, ‘আরএসএস চাইলে তাদের অনুষ্ঠান বেসরকারি জায়গায় করতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সরকারি জমি বা পাবলিক স্থানে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে—আমার দাবি শুধু এটুকুই।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আরএসএস হিন্দু ধর্ম ও গরু রক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। খাড়গের ভাষায়, ‘আরএসএসের আদর্শ বিপজ্জনক। না হলে, এর নেতারা নিজের বাড়িতে সেই আদর্শ মেনে চলেন না কেন? সংবিধানের বিরোধিতা করে মনুস্মৃতির পক্ষে তো আরএসএস-ই ছিল, তাই না?’

অন্যদিকে, কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র বলেন, আরএসএসের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড না জানলেই কেবল কেউ এমন দাবি করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে যে চিঠি লিখেছেন, তা তাঁর মূর্খতার পরিচয়।’

তিনি বলেন, অতীতে কংগ্রেস দুই-তিনবার আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদেরই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বিজয়েন্দ্রর দাবি, ‘কংগ্রেসের পক্ষে এখন আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা নেই। আসলে এই চিঠি লেখা হয়েছে গান্ধী পরিবারকে খুশি করার জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া

ইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাস যোদ্ধারা গাজার অন্তত ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়—মারধরে আহত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় আটজন পুরুষকে গাজার একটি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে বসানো হয়েছে। এরপর তাদের প্রত্যেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বন্ধুকধারীদের সবাই হামাসের সবুজ ব্যান্ড পরিহিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের মুহূর্তে আশপাশের মানুষ ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয়।

হামাস দাবি করেছে, নিহতরা ইসরায়েলের সহযোগী ও অপরাধী ছিল। তবে এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি। এনডিটিভি সহ আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম ভিডিওটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এটি দর্শকদের জন্য ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ হতে পারে।

সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও গাজার রাস্তায় সক্রিয় হয়েছে। তারা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অনেককে হত্যা করেছে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তারা ‘গ্যাং সদস্য’ বা ‘দুষ্কৃতকারী’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত পুলিশের কালো মুখোশধারী সদস্যরা বর্তমানে উত্তর গাজায় টহল দিচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পরই তারা পুনরায় রাস্তায় নেমে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইসরায়েলি হামলায় তাদের প্রায় ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই শূন্যতায় বিভিন্ন পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে, যাদের অনেকে ইসরায়েলের সহায়তা পেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এসব গোষ্ঠী গাজার মানুষদের জন্য পাঠানো ত্রাণ লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল, যা গাজার খাদ্য সংকট আরও বাড়িয়ে দেয়।

গাজার বেসরকারি ট্রাক মালিক ইউনিয়নের সভাপতি নাহিদ শেহাইবার বলেছেন, ‘এই গ্যাংগুলো ইসরায়েলি দখলের সুযোগে মানুষকে হত্যা করেছে ও ত্রাণ লুট করেছে। হামাস এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘হামাস কয়েকটি ভয়ংকর গ্যাংকে ধ্বংস করেছে, সেটি আমাকে খুব একটা বিরক্ত করেনি।’ তবে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘হামাসকে এখনই অস্ত্র জমা দিতে হবে। যদি তারা না দেয়, আমরা তাদের নিরস্ত্র করব—তা দ্রুত এবং প্রয়োজনে সহিংস উপায়ে ঘটবে।’

বর্তমানে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই কঠোর পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজার প্রশাসন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হামাস এখনো এই শর্তে পুরোপুরি রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাস সম্পূর্ণভাবে ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। ফলে গাজার ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসাদের আশ্রয়দাতা পুতিনের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করলেন আল-শারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি: রয়টার্স
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি: রয়টার্স

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায় দামেস্ক। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে আল-শারার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। আজ বুধবার মস্কোতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আল-শারা বলেন, ‘আমরা এমনভাবে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাই, যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে। আমাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।’

গত বছরের ডিসেম্বরে আহমেদ আল-শারার ‘হায়াত তাহরির আল-শামের’ নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত হয় বাশার আল-আসাদের সরকার। তারপর থেকে আসাদ রাশিয়ায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

আসাদের পতনের পরই সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়। ধারণা করা হয়েছিল, যেহেতু আসাদকে পুতিন আশ্রয় দিয়েছেন, তাই কখনো আর এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো গেছেন শারা।

বৈঠকে আল-শারা আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে। মস্কোর সঙ্গে পূর্ববর্তী সব চুক্তিই আমরা নতুন করে শুরু করব।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শারা এই সফরে রাশিয়ার কাছ থেকে আসাদকে হস্তান্তরের অনুরোধ করবেন। সিরিয়ার কিছু সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি শারা।

বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও সিরিয়ার মধ্যে বহু দশকের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে, যা সব সময় সিরীয় জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, এই সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারণ করতে চায় মস্কো।

পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচন নিয়েও প্রশংসা করেন। এটি ছিল আসাদের পতনের পর দেশটিতে প্রথম নির্বাচন। তাঁর ভাষায়, ‘এই নির্বাচন আপনার জন্য একটি বড় সাফল্য, যা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। কঠিন সময়ের মধ্যেও এটি দেশের সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।’

১৩ বছর ধরে চলেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। একসময় বিপরীত শিবিরে থাকা দামেস্ক এখন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করেছে; যেমনটি তারা অন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও করছে। তবে কৌশলগতভাবেও দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বৈধতা পুনরুদ্ধারের জন্য।

রাশিয়া এখনো সিরিয়ার উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটি ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এসব ঘাঁটি রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চায়। তা ছাড়া রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়ায় তেল সরবরাহও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনীতিতে নাক গলানোর অভিযোগে আর্মেনিয়ায় ৬ ধর্মগুরু গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গ্রেপ্তার হওয়া ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে বিশপ এমক্রতিচ প্রোশ্যন অন্যতম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার হওয়া ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে বিশপ এমক্রতিচ প্রোশ্যন অন্যতম। ছবি: সংগৃহীত

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন আরাগাটসোটন ডায়োসিসের প্রধান বিশপ এমক্রতিচ প্রোশ্যন। তাঁর আইনজীবী আরা জোগরাবিয়ান ফেসবুকে জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আটক ব্যক্তিদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছেন না।

আর্মেনিয়ার তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করেছে, ছয়জন ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে তদন্ত চলছে।

আর্মেনিয়ার মানবাধিকার রক্ষাকারী দপ্তরের প্রধান আনাহিত মানাসিয়ান বলেছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য একটি জরুরি টিম পাঠিয়েছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাশিনিয়ান সরকারের সঙ্গে আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়েছে। সরকার চার্চের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে চার্চের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—পাশিনিয়ান সচেতনভাবে জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আর্চবিশপ মিখাইল আজাপাহিয়ানকে ‘অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আজাপাহিয়ান অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা’ বলে আখ্যা দেন।

উল্লেখ্য, সদ্য গ্রেপ্তার বিশপ প্রোশ্যন হলেন আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের প্রধান দ্বিতীয় ক্যাথলিকোস কারেকিনের ভাতিজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামাসের ফেরত পাঠানো একটি মরদেহ জিম্মির নয়—দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: ডেইলি সাবাহ
ছবি: ডেইলি সাবাহ

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাস ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ওই দেহগুলো ফেরত পাঠিয়েছিল হামাস।

এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪৫টি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ। বুধবার গাজার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসব দেহ শনাক্তের কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েল এই দেহগুলো কোনো পরিচয় ছাড়াই রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে এগুলো কার—ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যুবরণকারীদের, না কি গাজা থেকে অপসারিত দেহ—তা এখনো স্পষ্ট নয়।

একই সময়ে দুই দিন বন্ধ থাকার পর গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় শুরু হয়েছে। মিসরের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বুধবার ৪০০ ট্রাক খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নিহত জিম্মিদের দেহ ফেরত দেওয়ার গতি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।

গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ গাজায় ফিরিয়ে দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক হাসপাতালের বাইরে তিনটি ট্রাকভর্তি দেহ পৌঁছাতে দেখেছেন।

এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৮। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল থেকে ফেরত পাওয়া ৪৫টি মৃতদেহ এখনো এই পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়নি। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তারা রাফাহ সীমান্তে দীর্ঘদিনের মানবিক মিশন ‘ইইউবিএএম’ এর পুনঃপ্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ার এল আনুনি বলেন, ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইইউবিএএম রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত আছে।’

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মিশন পুনরায় চালুর মাধ্যমে ইইউ গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করতে চায়। তবে চলমান যুদ্ধ ও উত্তেজনার কারণে ইসরায়েল-ইইউ সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত