আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
চেন ঝি কম্বোডিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন প্রসিকিউটররা তাঁর বিরুদ্ধে ‘ওয়্যার ফ্রড ষড়যন্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগ এনেছেন। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, চেন ঝি তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রিন্স গ্রুপের মাধ্যমে একটি বিশাল ‘সাইবার প্রতারণা সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ ছিল অনলাইনে প্রতারণা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষকে ঠকানো।
মার্কিন বিচার বিভাগের ভাষায়, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সংগঠন, যা মানবিক দুর্ভোগের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে।’ প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, চেন ঝির প্রতিষ্ঠান অনলাইনে মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। প্রতারকেরা ভুক্তভোগীদের মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিত এবং তাদের কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করত।
আদালতের নথি অনুযায়ী, প্রিন্স গ্রুপ কম্বোডিয়ায় অন্তত ১০টি প্রতারণা কেন্দ্র বা স্ক্যাম কম্পাউন্ড পরিচালনা করত। এই কেন্দ্রগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টার্গেট করা যায়। তারা লাখ লাখ ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তৈরি করেছিল ‘ফোন ফার্ম’, যেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা চালানো হতো। দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৫০টি ফোন থেকে প্রায় ৭৬ হাজার ভুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হতো।
প্রসিকিউটরেরা আরও জানান, প্রিন্স গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নথিতে (মেমো) কর্মীদের বলা হয়েছিল, যেন ভুয়া প্রোফাইল বানানোর সময় এমন নারীর ছবি না ব্যবহার করা হয়, যারা ‘অতিরিক্ত সুন্দরী’—যাতে প্রোফাইলগুলো বেশি বাস্তব মনে হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চেন ঝি এসব স্ক্যাম সেন্টারে ‘মানব পাচার ও জোরপূর্বক শ্রমের’ ব্যবস্থাও চালাতেন। অনেক কর্মীকে বন্দিশিবিরের মতো জায়গায় আটকে রেখে প্রতারণায় বাধ্য করা হতো।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন এ আইজেনবার্গ বলেন, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সাম্রাজ্য, যা মানবিক কষ্টের ওপর গড়া। তারা মানুষকে বন্দী করে অনলাইনে প্রতারণা চালাতে বাধ্য করেছে, যার শিকার হয়েছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ।’
বিচার বিভাগের তথ্যমতে, চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীরা এই অবৈধ আয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। তারা দামি ঘড়ি, ব্যক্তিগত জেট ও দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম কিনতেন। এমনকি নিউইয়র্কের এক নিলামঘর থেকে ‘পিকাসোর একটি চিত্রকর্মও’ তারা কিনেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে চেন ঝির ‘৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড’ হতে পারে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যও এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে। দেশটি চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদ জব্দ করেছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, চেনের নেটওয়ার্কের মালিকানাধীন ‘লন্ডনের ১৯টি সম্পত্তি’ তারা জব্দ করেছে। এর একটি ভবনের মূল্য প্রায় ‘১৩৩ মিলিয়ন ডলার।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ও তাঁর সহযোগীরা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে কোম্পানি নিবন্ধন করে যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদে বিনিয়োগ করেছিলেন। তাদের মালিকানাধীন সম্পদের মধ্যে রয়েছে—লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি অফিস ভবন, উত্তর লন্ডনে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্রাসাদ এবং আরও ১৭টি ফ্ল্যাট।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রিন্স গ্রুপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেন, ‘তারা অসহায় মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে এবং সেই টাকায় লন্ডনে বাড়ি কিনে অর্থ লুকিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে একযোগে এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি—মানবাধিকার রক্ষা, ব্রিটিশ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আমাদের দেশে কালো টাকা ঠেকাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ঝি ও প্রিন্স গ্রুপ ক্যাসিনো ও প্রতারণা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিল, যেখানে প্রতারণা চালানো ও অর্থ পাচার করা হতো। এই কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান—প্রিন্স গ্রুপ, জিন বেই গ্রুপ, গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড এবং বাইএক্স এক্সচেঞ্জ—নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন বেই গ্রুপ ও গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টসের দুটি প্রতারণা কেন্দ্রে ‘জোরপূর্বক শ্রম ও নির্যাতন’ চালানো হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এসব স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করা অনেকেই বিদেশি নাগরিক, যাদের বৈধ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনে পরে বন্দী করে প্রতারণা করানো হয়।
এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক অভিযান এবং বিটকয়েন জব্দের সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
চেন ঝি কম্বোডিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন প্রসিকিউটররা তাঁর বিরুদ্ধে ‘ওয়্যার ফ্রড ষড়যন্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগ এনেছেন। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, চেন ঝি তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রিন্স গ্রুপের মাধ্যমে একটি বিশাল ‘সাইবার প্রতারণা সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ ছিল অনলাইনে প্রতারণা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষকে ঠকানো।
মার্কিন বিচার বিভাগের ভাষায়, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সংগঠন, যা মানবিক দুর্ভোগের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে।’ প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, চেন ঝির প্রতিষ্ঠান অনলাইনে মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। প্রতারকেরা ভুক্তভোগীদের মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিত এবং তাদের কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করত।
আদালতের নথি অনুযায়ী, প্রিন্স গ্রুপ কম্বোডিয়ায় অন্তত ১০টি প্রতারণা কেন্দ্র বা স্ক্যাম কম্পাউন্ড পরিচালনা করত। এই কেন্দ্রগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টার্গেট করা যায়। তারা লাখ লাখ ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তৈরি করেছিল ‘ফোন ফার্ম’, যেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা চালানো হতো। দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৫০টি ফোন থেকে প্রায় ৭৬ হাজার ভুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হতো।
প্রসিকিউটরেরা আরও জানান, প্রিন্স গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নথিতে (মেমো) কর্মীদের বলা হয়েছিল, যেন ভুয়া প্রোফাইল বানানোর সময় এমন নারীর ছবি না ব্যবহার করা হয়, যারা ‘অতিরিক্ত সুন্দরী’—যাতে প্রোফাইলগুলো বেশি বাস্তব মনে হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চেন ঝি এসব স্ক্যাম সেন্টারে ‘মানব পাচার ও জোরপূর্বক শ্রমের’ ব্যবস্থাও চালাতেন। অনেক কর্মীকে বন্দিশিবিরের মতো জায়গায় আটকে রেখে প্রতারণায় বাধ্য করা হতো।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন এ আইজেনবার্গ বলেন, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সাম্রাজ্য, যা মানবিক কষ্টের ওপর গড়া। তারা মানুষকে বন্দী করে অনলাইনে প্রতারণা চালাতে বাধ্য করেছে, যার শিকার হয়েছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ।’
বিচার বিভাগের তথ্যমতে, চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীরা এই অবৈধ আয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। তারা দামি ঘড়ি, ব্যক্তিগত জেট ও দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম কিনতেন। এমনকি নিউইয়র্কের এক নিলামঘর থেকে ‘পিকাসোর একটি চিত্রকর্মও’ তারা কিনেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে চেন ঝির ‘৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড’ হতে পারে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যও এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে। দেশটি চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদ জব্দ করেছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, চেনের নেটওয়ার্কের মালিকানাধীন ‘লন্ডনের ১৯টি সম্পত্তি’ তারা জব্দ করেছে। এর একটি ভবনের মূল্য প্রায় ‘১৩৩ মিলিয়ন ডলার।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ও তাঁর সহযোগীরা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে কোম্পানি নিবন্ধন করে যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদে বিনিয়োগ করেছিলেন। তাদের মালিকানাধীন সম্পদের মধ্যে রয়েছে—লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি অফিস ভবন, উত্তর লন্ডনে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্রাসাদ এবং আরও ১৭টি ফ্ল্যাট।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রিন্স গ্রুপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেন, ‘তারা অসহায় মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে এবং সেই টাকায় লন্ডনে বাড়ি কিনে অর্থ লুকিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে একযোগে এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি—মানবাধিকার রক্ষা, ব্রিটিশ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আমাদের দেশে কালো টাকা ঠেকাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ঝি ও প্রিন্স গ্রুপ ক্যাসিনো ও প্রতারণা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিল, যেখানে প্রতারণা চালানো ও অর্থ পাচার করা হতো। এই কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান—প্রিন্স গ্রুপ, জিন বেই গ্রুপ, গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড এবং বাইএক্স এক্সচেঞ্জ—নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন বেই গ্রুপ ও গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টসের দুটি প্রতারণা কেন্দ্রে ‘জোরপূর্বক শ্রম ও নির্যাতন’ চালানো হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এসব স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করা অনেকেই বিদেশি নাগরিক, যাদের বৈধ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনে পরে বন্দী করে প্রতারণা করানো হয়।
এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক অভিযান এবং বিটকয়েন জব্দের সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
চেন ঝি কম্বোডিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন প্রসিকিউটররা তাঁর বিরুদ্ধে ‘ওয়্যার ফ্রড ষড়যন্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগ এনেছেন। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, চেন ঝি তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রিন্স গ্রুপের মাধ্যমে একটি বিশাল ‘সাইবার প্রতারণা সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ ছিল অনলাইনে প্রতারণা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষকে ঠকানো।
মার্কিন বিচার বিভাগের ভাষায়, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সংগঠন, যা মানবিক দুর্ভোগের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে।’ প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, চেন ঝির প্রতিষ্ঠান অনলাইনে মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। প্রতারকেরা ভুক্তভোগীদের মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিত এবং তাদের কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করত।
আদালতের নথি অনুযায়ী, প্রিন্স গ্রুপ কম্বোডিয়ায় অন্তত ১০টি প্রতারণা কেন্দ্র বা স্ক্যাম কম্পাউন্ড পরিচালনা করত। এই কেন্দ্রগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টার্গেট করা যায়। তারা লাখ লাখ ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তৈরি করেছিল ‘ফোন ফার্ম’, যেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা চালানো হতো। দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৫০টি ফোন থেকে প্রায় ৭৬ হাজার ভুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হতো।
প্রসিকিউটরেরা আরও জানান, প্রিন্স গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নথিতে (মেমো) কর্মীদের বলা হয়েছিল, যেন ভুয়া প্রোফাইল বানানোর সময় এমন নারীর ছবি না ব্যবহার করা হয়, যারা ‘অতিরিক্ত সুন্দরী’—যাতে প্রোফাইলগুলো বেশি বাস্তব মনে হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চেন ঝি এসব স্ক্যাম সেন্টারে ‘মানব পাচার ও জোরপূর্বক শ্রমের’ ব্যবস্থাও চালাতেন। অনেক কর্মীকে বন্দিশিবিরের মতো জায়গায় আটকে রেখে প্রতারণায় বাধ্য করা হতো।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন এ আইজেনবার্গ বলেন, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সাম্রাজ্য, যা মানবিক কষ্টের ওপর গড়া। তারা মানুষকে বন্দী করে অনলাইনে প্রতারণা চালাতে বাধ্য করেছে, যার শিকার হয়েছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ।’
বিচার বিভাগের তথ্যমতে, চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীরা এই অবৈধ আয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। তারা দামি ঘড়ি, ব্যক্তিগত জেট ও দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম কিনতেন। এমনকি নিউইয়র্কের এক নিলামঘর থেকে ‘পিকাসোর একটি চিত্রকর্মও’ তারা কিনেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে চেন ঝির ‘৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড’ হতে পারে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যও এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে। দেশটি চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদ জব্দ করেছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, চেনের নেটওয়ার্কের মালিকানাধীন ‘লন্ডনের ১৯টি সম্পত্তি’ তারা জব্দ করেছে। এর একটি ভবনের মূল্য প্রায় ‘১৩৩ মিলিয়ন ডলার।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ও তাঁর সহযোগীরা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে কোম্পানি নিবন্ধন করে যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদে বিনিয়োগ করেছিলেন। তাদের মালিকানাধীন সম্পদের মধ্যে রয়েছে—লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি অফিস ভবন, উত্তর লন্ডনে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্রাসাদ এবং আরও ১৭টি ফ্ল্যাট।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রিন্স গ্রুপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেন, ‘তারা অসহায় মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে এবং সেই টাকায় লন্ডনে বাড়ি কিনে অর্থ লুকিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে একযোগে এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি—মানবাধিকার রক্ষা, ব্রিটিশ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আমাদের দেশে কালো টাকা ঠেকাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ঝি ও প্রিন্স গ্রুপ ক্যাসিনো ও প্রতারণা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিল, যেখানে প্রতারণা চালানো ও অর্থ পাচার করা হতো। এই কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান—প্রিন্স গ্রুপ, জিন বেই গ্রুপ, গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড এবং বাইএক্স এক্সচেঞ্জ—নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন বেই গ্রুপ ও গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টসের দুটি প্রতারণা কেন্দ্রে ‘জোরপূর্বক শ্রম ও নির্যাতন’ চালানো হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এসব স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করা অনেকেই বিদেশি নাগরিক, যাদের বৈধ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনে পরে বন্দী করে প্রতারণা করানো হয়।
এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক অভিযান এবং বিটকয়েন জব্দের সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
চেন ঝি কম্বোডিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন প্রসিকিউটররা তাঁর বিরুদ্ধে ‘ওয়্যার ফ্রড ষড়যন্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ের’ অভিযোগ এনেছেন। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, চেন ঝি তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রিন্স গ্রুপের মাধ্যমে একটি বিশাল ‘সাইবার প্রতারণা সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ ছিল অনলাইনে প্রতারণা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষকে ঠকানো।
মার্কিন বিচার বিভাগের ভাষায়, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সংগঠন, যা মানবিক দুর্ভোগের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে।’ প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, চেন ঝির প্রতিষ্ঠান অনলাইনে মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। প্রতারকেরা ভুক্তভোগীদের মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিত এবং তাদের কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করত।
আদালতের নথি অনুযায়ী, প্রিন্স গ্রুপ কম্বোডিয়ায় অন্তত ১০টি প্রতারণা কেন্দ্র বা স্ক্যাম কম্পাউন্ড পরিচালনা করত। এই কেন্দ্রগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টার্গেট করা যায়। তারা লাখ লাখ ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তৈরি করেছিল ‘ফোন ফার্ম’, যেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা চালানো হতো। দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৫০টি ফোন থেকে প্রায় ৭৬ হাজার ভুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হতো।
প্রসিকিউটরেরা আরও জানান, প্রিন্স গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নথিতে (মেমো) কর্মীদের বলা হয়েছিল, যেন ভুয়া প্রোফাইল বানানোর সময় এমন নারীর ছবি না ব্যবহার করা হয়, যারা ‘অতিরিক্ত সুন্দরী’—যাতে প্রোফাইলগুলো বেশি বাস্তব মনে হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, চেন ঝি এসব স্ক্যাম সেন্টারে ‘মানব পাচার ও জোরপূর্বক শ্রমের’ ব্যবস্থাও চালাতেন। অনেক কর্মীকে বন্দিশিবিরের মতো জায়গায় আটকে রেখে প্রতারণায় বাধ্য করা হতো।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন এ আইজেনবার্গ বলেন, ‘প্রিন্স গ্রুপ একটি অপরাধী সাম্রাজ্য, যা মানবিক কষ্টের ওপর গড়া। তারা মানুষকে বন্দী করে অনলাইনে প্রতারণা চালাতে বাধ্য করেছে, যার শিকার হয়েছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ।’
বিচার বিভাগের তথ্যমতে, চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীরা এই অবৈধ আয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। তারা দামি ঘড়ি, ব্যক্তিগত জেট ও দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম কিনতেন। এমনকি নিউইয়র্কের এক নিলামঘর থেকে ‘পিকাসোর একটি চিত্রকর্মও’ তারা কিনেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে চেন ঝির ‘৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড’ হতে পারে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যও এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে। দেশটি চেন ঝি ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদ জব্দ করেছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, চেনের নেটওয়ার্কের মালিকানাধীন ‘লন্ডনের ১৯টি সম্পত্তি’ তারা জব্দ করেছে। এর একটি ভবনের মূল্য প্রায় ‘১৩৩ মিলিয়ন ডলার।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ও তাঁর সহযোগীরা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে কোম্পানি নিবন্ধন করে যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদে বিনিয়োগ করেছিলেন। তাদের মালিকানাধীন সম্পদের মধ্যে রয়েছে—লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি অফিস ভবন, উত্তর লন্ডনে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্রাসাদ এবং আরও ১৭টি ফ্ল্যাট।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রিন্স গ্রুপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেন, ‘তারা অসহায় মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে এবং সেই টাকায় লন্ডনে বাড়ি কিনে অর্থ লুকিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে একযোগে এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি—মানবাধিকার রক্ষা, ব্রিটিশ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আমাদের দেশে কালো টাকা ঠেকাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চেন ঝি ও প্রিন্স গ্রুপ ক্যাসিনো ও প্রতারণা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিল, যেখানে প্রতারণা চালানো ও অর্থ পাচার করা হতো। এই কারণে চারটি প্রতিষ্ঠান—প্রিন্স গ্রুপ, জিন বেই গ্রুপ, গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড এবং বাইএক্স এক্সচেঞ্জ—নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন বেই গ্রুপ ও গোল্ডেন ফর্চুন রিসোর্টসের দুটি প্রতারণা কেন্দ্রে ‘জোরপূর্বক শ্রম ও নির্যাতন’ চালানো হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এসব স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করা অনেকেই বিদেশি নাগরিক, যাদের বৈধ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনে পরে বন্দী করে প্রতারণা করানো হয়।
এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক অভিযান এবং বিটকয়েন জব্দের সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
ইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায়। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
১ ঘণ্টা আগেআর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাস যোদ্ধারা গাজার অন্তত ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়—মারধরে আহত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় আটজন পুরুষকে গাজার একটি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে বসানো হয়েছে। এরপর তাদের প্রত্যেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বন্ধুকধারীদের সবাই হামাসের সবুজ ব্যান্ড পরিহিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের মুহূর্তে আশপাশের মানুষ ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয়।
হামাস দাবি করেছে, নিহতরা ইসরায়েলের সহযোগী ও অপরাধী ছিল। তবে এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি। এনডিটিভি সহ আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম ভিডিওটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এটি দর্শকদের জন্য ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ হতে পারে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও গাজার রাস্তায় সক্রিয় হয়েছে। তারা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অনেককে হত্যা করেছে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তারা ‘গ্যাং সদস্য’ বা ‘দুষ্কৃতকারী’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত পুলিশের কালো মুখোশধারী সদস্যরা বর্তমানে উত্তর গাজায় টহল দিচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পরই তারা পুনরায় রাস্তায় নেমে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইসরায়েলি হামলায় তাদের প্রায় ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই শূন্যতায় বিভিন্ন পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে, যাদের অনেকে ইসরায়েলের সহায়তা পেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এসব গোষ্ঠী গাজার মানুষদের জন্য পাঠানো ত্রাণ লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল, যা গাজার খাদ্য সংকট আরও বাড়িয়ে দেয়।
গাজার বেসরকারি ট্রাক মালিক ইউনিয়নের সভাপতি নাহিদ শেহাইবার বলেছেন, ‘এই গ্যাংগুলো ইসরায়েলি দখলের সুযোগে মানুষকে হত্যা করেছে ও ত্রাণ লুট করেছে। হামাস এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘হামাস কয়েকটি ভয়ংকর গ্যাংকে ধ্বংস করেছে, সেটি আমাকে খুব একটা বিরক্ত করেনি।’ তবে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘হামাসকে এখনই অস্ত্র জমা দিতে হবে। যদি তারা না দেয়, আমরা তাদের নিরস্ত্র করব—তা দ্রুত এবং প্রয়োজনে সহিংস উপায়ে ঘটবে।’
বর্তমানে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই কঠোর পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজার প্রশাসন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হামাস এখনো এই শর্তে পুরোপুরি রাজি হয়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাস সম্পূর্ণভাবে ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। ফলে গাজার ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢাকা।
ইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাস যোদ্ধারা গাজার অন্তত ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়—মারধরে আহত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় আটজন পুরুষকে গাজার একটি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে বসানো হয়েছে। এরপর তাদের প্রত্যেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বন্ধুকধারীদের সবাই হামাসের সবুজ ব্যান্ড পরিহিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের মুহূর্তে আশপাশের মানুষ ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয়।
হামাস দাবি করেছে, নিহতরা ইসরায়েলের সহযোগী ও অপরাধী ছিল। তবে এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি। এনডিটিভি সহ আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম ভিডিওটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এটি দর্শকদের জন্য ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ হতে পারে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও গাজার রাস্তায় সক্রিয় হয়েছে। তারা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অনেককে হত্যা করেছে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তারা ‘গ্যাং সদস্য’ বা ‘দুষ্কৃতকারী’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত পুলিশের কালো মুখোশধারী সদস্যরা বর্তমানে উত্তর গাজায় টহল দিচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পরই তারা পুনরায় রাস্তায় নেমে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইসরায়েলি হামলায় তাদের প্রায় ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই শূন্যতায় বিভিন্ন পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে, যাদের অনেকে ইসরায়েলের সহায়তা পেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এসব গোষ্ঠী গাজার মানুষদের জন্য পাঠানো ত্রাণ লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল, যা গাজার খাদ্য সংকট আরও বাড়িয়ে দেয়।
গাজার বেসরকারি ট্রাক মালিক ইউনিয়নের সভাপতি নাহিদ শেহাইবার বলেছেন, ‘এই গ্যাংগুলো ইসরায়েলি দখলের সুযোগে মানুষকে হত্যা করেছে ও ত্রাণ লুট করেছে। হামাস এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘হামাস কয়েকটি ভয়ংকর গ্যাংকে ধ্বংস করেছে, সেটি আমাকে খুব একটা বিরক্ত করেনি।’ তবে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘হামাসকে এখনই অস্ত্র জমা দিতে হবে। যদি তারা না দেয়, আমরা তাদের নিরস্ত্র করব—তা দ্রুত এবং প্রয়োজনে সহিংস উপায়ে ঘটবে।’
বর্তমানে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই কঠোর পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজার প্রশাসন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হামাস এখনো এই শর্তে পুরোপুরি রাজি হয়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাস সম্পূর্ণভাবে ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। ফলে গাজার ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢাকা।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায়। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
১ ঘণ্টা আগেআর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায় দামেস্ক। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে আল-শারার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। আজ বুধবার মস্কোতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আল-শারা বলেন, ‘আমরা এমনভাবে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাই, যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে। আমাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।’
গত বছরের ডিসেম্বরে আহমেদ আল-শারার ‘হায়াত তাহরির আল-শামের’ নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত হয় বাশার আল-আসাদের সরকার। তারপর থেকে আসাদ রাশিয়ায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
আসাদের পতনের পরই সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়। ধারণা করা হয়েছিল, যেহেতু আসাদকে পুতিন আশ্রয় দিয়েছেন, তাই কখনো আর এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো গেছেন শারা।
বৈঠকে আল-শারা আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে। মস্কোর সঙ্গে পূর্ববর্তী সব চুক্তিই আমরা নতুন করে শুরু করব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শারা এই সফরে রাশিয়ার কাছ থেকে আসাদকে হস্তান্তরের অনুরোধ করবেন। সিরিয়ার কিছু সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি শারা।
বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও সিরিয়ার মধ্যে বহু দশকের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে, যা সব সময় সিরীয় জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, এই সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারণ করতে চায় মস্কো।
পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচন নিয়েও প্রশংসা করেন। এটি ছিল আসাদের পতনের পর দেশটিতে প্রথম নির্বাচন। তাঁর ভাষায়, ‘এই নির্বাচন আপনার জন্য একটি বড় সাফল্য, যা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। কঠিন সময়ের মধ্যেও এটি দেশের সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।’
১৩ বছর ধরে চলেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। একসময় বিপরীত শিবিরে থাকা দামেস্ক এখন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করেছে; যেমনটি তারা অন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও করছে। তবে কৌশলগতভাবেও দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বৈধতা পুনরুদ্ধারের জন্য।
রাশিয়া এখনো সিরিয়ার উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটি ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এসব ঘাঁটি রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চায়। তা ছাড়া রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়ায় তেল সরবরাহও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলো।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায় দামেস্ক। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে আল-শারার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। আজ বুধবার মস্কোতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আল-শারা বলেন, ‘আমরা এমনভাবে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাই, যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে। আমাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।’
গত বছরের ডিসেম্বরে আহমেদ আল-শারার ‘হায়াত তাহরির আল-শামের’ নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত হয় বাশার আল-আসাদের সরকার। তারপর থেকে আসাদ রাশিয়ায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
আসাদের পতনের পরই সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়। ধারণা করা হয়েছিল, যেহেতু আসাদকে পুতিন আশ্রয় দিয়েছেন, তাই কখনো আর এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো গেছেন শারা।
বৈঠকে আল-শারা আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে। মস্কোর সঙ্গে পূর্ববর্তী সব চুক্তিই আমরা নতুন করে শুরু করব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শারা এই সফরে রাশিয়ার কাছ থেকে আসাদকে হস্তান্তরের অনুরোধ করবেন। সিরিয়ার কিছু সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি শারা।
বৈঠকের শুরুতে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও সিরিয়ার মধ্যে বহু দশকের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে, যা সব সময় সিরীয় জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, এই সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারণ করতে চায় মস্কো।
পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচন নিয়েও প্রশংসা করেন। এটি ছিল আসাদের পতনের পর দেশটিতে প্রথম নির্বাচন। তাঁর ভাষায়, ‘এই নির্বাচন আপনার জন্য একটি বড় সাফল্য, যা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। কঠিন সময়ের মধ্যেও এটি দেশের সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।’
১৩ বছর ধরে চলেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। একসময় বিপরীত শিবিরে থাকা দামেস্ক এখন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করেছে; যেমনটি তারা অন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও করছে। তবে কৌশলগতভাবেও দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বৈধতা পুনরুদ্ধারের জন্য।
রাশিয়া এখনো সিরিয়ার উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটি ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এসব ঘাঁটি রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চায়। তা ছাড়া রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়ায় তেল সরবরাহও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলো।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেআর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন আরাগাটসোটন ডায়োসিসের প্রধান বিশপ এমক্রতিচ প্রোশ্যন। তাঁর আইনজীবী আরা জোগরাবিয়ান ফেসবুকে জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আটক ব্যক্তিদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছেন না।
আর্মেনিয়ার তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করেছে, ছয়জন ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে তদন্ত চলছে।
আর্মেনিয়ার মানবাধিকার রক্ষাকারী দপ্তরের প্রধান আনাহিত মানাসিয়ান বলেছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য একটি জরুরি টিম পাঠিয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাশিনিয়ান সরকারের সঙ্গে আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়েছে। সরকার চার্চের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে চার্চের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—পাশিনিয়ান সচেতনভাবে জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আর্চবিশপ মিখাইল আজাপাহিয়ানকে ‘অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আজাপাহিয়ান অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা’ বলে আখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, সদ্য গ্রেপ্তার বিশপ প্রোশ্যন হলেন আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের প্রধান দ্বিতীয় ক্যাথলিকোস কারেকিনের ভাতিজা।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন আরাগাটসোটন ডায়োসিসের প্রধান বিশপ এমক্রতিচ প্রোশ্যন। তাঁর আইনজীবী আরা জোগরাবিয়ান ফেসবুকে জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আটক ব্যক্তিদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছেন না।
আর্মেনিয়ার তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করেছে, ছয়জন ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে তদন্ত চলছে।
আর্মেনিয়ার মানবাধিকার রক্ষাকারী দপ্তরের প্রধান আনাহিত মানাসিয়ান বলেছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য একটি জরুরি টিম পাঠিয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাশিনিয়ান সরকারের সঙ্গে আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়েছে। সরকার চার্চের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে চার্চের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—পাশিনিয়ান সচেতনভাবে জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আর্চবিশপ মিখাইল আজাপাহিয়ানকে ‘অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আজাপাহিয়ান অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা’ বলে আখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, সদ্য গ্রেপ্তার বিশপ প্রোশ্যন হলেন আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক চার্চের প্রধান দ্বিতীয় ক্যাথলিকোস কারেকিনের ভাতিজা।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায়। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাস ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ওই দেহগুলো ফেরত পাঠিয়েছিল হামাস।
এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪৫টি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ। বুধবার গাজার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসব দেহ শনাক্তের কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েল এই দেহগুলো কোনো পরিচয় ছাড়াই রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে এগুলো কার—ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যুবরণকারীদের, না কি গাজা থেকে অপসারিত দেহ—তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একই সময়ে দুই দিন বন্ধ থাকার পর গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় শুরু হয়েছে। মিসরের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বুধবার ৪০০ ট্রাক খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নিহত জিম্মিদের দেহ ফেরত দেওয়ার গতি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ গাজায় ফিরিয়ে দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক হাসপাতালের বাইরে তিনটি ট্রাকভর্তি দেহ পৌঁছাতে দেখেছেন।
এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৮। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল থেকে ফেরত পাওয়া ৪৫টি মৃতদেহ এখনো এই পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়নি। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তারা রাফাহ সীমান্তে দীর্ঘদিনের মানবিক মিশন ‘ইইউবিএএম’ এর পুনঃপ্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ার এল আনুনি বলেন, ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইইউবিএএম রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত আছে।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মিশন পুনরায় চালুর মাধ্যমে ইইউ গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করতে চায়। তবে চলমান যুদ্ধ ও উত্তেজনার কারণে ইসরায়েল-ইইউ সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাস ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ওই দেহগুলো ফেরত পাঠিয়েছিল হামাস।
এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪৫টি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ। বুধবার গাজার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসব দেহ শনাক্তের কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েল এই দেহগুলো কোনো পরিচয় ছাড়াই রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে এগুলো কার—ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যুবরণকারীদের, না কি গাজা থেকে অপসারিত দেহ—তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একই সময়ে দুই দিন বন্ধ থাকার পর গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় শুরু হয়েছে। মিসরের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বুধবার ৪০০ ট্রাক খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নিহত জিম্মিদের দেহ ফেরত দেওয়ার গতি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ গাজায় ফিরিয়ে দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক হাসপাতালের বাইরে তিনটি ট্রাকভর্তি দেহ পৌঁছাতে দেখেছেন।
এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৮। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল থেকে ফেরত পাওয়া ৪৫টি মৃতদেহ এখনো এই পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়নি। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তারা রাফাহ সীমান্তে দীর্ঘদিনের মানবিক মিশন ‘ইইউবিএএম’ এর পুনঃপ্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ার এল আনুনি বলেন, ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইইউবিএএম রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত আছে।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মিশন পুনরায় চালুর মাধ্যমে ইইউ গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করতে চায়। তবে চলমান যুদ্ধ ও উত্তেজনার কারণে ইসরায়েল-ইইউ সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এক বিশাল ক্রিপ্টোকারেন্সি কেলেঙ্কারি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিটকয়েন জব্দ করেছে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চেন ঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতারণা সাম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বৈঠকে শারা বলেছেন, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন ও নতুনভাবে’ শুরু করতে চায়। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তাঁর উৎখাতের পর শারার এমন মন্তব্য সিরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
১ ঘণ্টা আগেআর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে জাতীয় চার্চের চলমান দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এক বিশপসহ ছয়জন ধর্মযাজক ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে