Ajker Patrika

অবৈধভাবে পুকুর খননে কমছে কৃষিজমি

ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৩৮
অবৈধভাবে পুকুর খননে কমছে কৃষিজমি

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুরে অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। অবাধে পুকুর খনন বন্ধ না করা হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। এতে কৃষিজমি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গত দুই বছরে লালপুর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে।

জানা গেছে, নাটোর জেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ২০১৯ সালের ১২ মে হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি করেন। এ সময় জেলার পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষিজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ফসলি জমিতে নতুন করে ৩০টি পুকুর খনন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

আজ বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। অর্জুনপুর-বরমহাটি, দুয়ারিয়া, কদিমচিলন, চংধুপইল, দুড়দুড়িয়া, ঈশ্বরদী, ওয়ালিয়া, লালপুর, বিলমাড়িয়া ও আড়বাব ইউনিয়নের জয়কৃষ্টপুর, উধনপাড়া, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বালিতিতা, লক্ষ্মীপুর, চামটিয়া, রাকশা, পানঘাটা, বাহাদিপুর এবং বসন্তপুর গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় প্রায় ১৫টি স্থানে এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে দুই-তিন ফসিল জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে।

গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রিজভী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চামটিয়া উত্তরপাড়া (জয়ন্তিপুর) গ্রামে ওয়াদ আলীর আমবাগানসহ ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। সেই মাটি ১৮-২০টি ট্রাক্টরে করে নিয়ে গিয়ে লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বসন্তপুর বিল এলাকার কয়েকজন শ্রমিক ও কৃষক বলেন, উধনপাড়া, জয়কৃষ্টপুর, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বসন্তপুর বিলে অবৈধ পুকুর খনন করে বিলের পানি নিষ্কাশনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। একসময় সবুজের বুক চিরে বিলের আনাচকানাচে সোনার ফসল ফলত। এলাকার লোকজনের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে সংসারের খরচ মেটাতেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা। শ্রমিকদের কাজ থাকত বারো মাস। সংসারে বিরাজ করত অনাবিল শান্তি। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ে হারাতে বসেছে বিলের সবুজ সৌন্দর্য, কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা। অনেক দিন ধরে বিলে জলাবদ্ধতা থাকায় জমিতে ফসল আবাদ করা যায় না। ভেকু দিয়ে অবাধে পুকুর খননে ভূগর্ভে সৃষ্টি হওয়া কম্পন আর শব্দ অতিষ্ঠ করে তোলে এলাকাবাসীকে। 

এলাকার কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই এখন ভিটেমাটিতে করা আম, লিচু, কাঁঠালবাগান কেটে সাময়িক লাভের আশায় পুকুর খনন করছেন। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন দু-একটা অভিযান চালান। তাতে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমির এই ধ্বংসযজ্ঞ। সেই সঙ্গে সারা রাত ধরে রাস্তায় ট্রাক্টরের বিকট শব্দে ঘুমানোর উপায় থাকে না। 

এক্সকাভেটরচালকেরা বলেন, পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব মাটি ইটভাটায় প্রতি গাড়ি সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়। 

পুকুর খননকারীরা বলেন, ‘আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। সবাই বিষয়টি জানেন। সাংবাদিকেরাও জানেন। সবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তা ছাড়া লিখিত অনুমতি না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের মৌখিক অনুমতিতে পুকুর খনন করছি।’ 

বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ইটভাটায় মাটি দেওয়ার কথা বলে এসব ফসলি জমির মাটি উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি পর্যায়েও বিক্রি করা হচ্ছে। মাটিবাহী ট্রাক্টরের মোটা ও ভারী চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থদণ্ড করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত এলাকা থেকে চলে আসার পর পরই আবার খননকাজ শুরু হয়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে। কৃষিজমিতে পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। কমছে কৃষিজমি। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উর্বর মাটির উপরিভাগ ইটভাটায় চলে যাওয়ায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, পুকুর খনন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের অভিযোগে ইটভাটা মালিক, পুকুরের মালিক ও গাড়ির চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক্সকাভেটর মেশিনের ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। 

ইউএনও আরও বলেন, অবৈধ খনন বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিসহ সবার সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভিডিও দেখিয়ে ‘ঘর পোড়ানোর’ মামলা; প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মিথ্যা মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিথ্যা মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাস: ঠাকুরগাঁওয়ে মঞ্চ প্রস্তুত, নেতা-কর্মীদের ভিড়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

​বিএনপির মহাসচিব আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এই জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।

​জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।

জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

​এদিকে দলীয় মহাসচিবের আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যান্ড পার্টিসহ আনন্দ মিছিল করছেন। মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানাতে এবং কর্মসূচি সফল করতে তাঁদের এই উচ্ছ্বাস ও সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে জাল টাকাসহ যুবক আটক

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
জাল টাকাসহ আটক মেহেদী হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল টাকাসহ আটক মেহেদী হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোটসহ মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মেহেদী উপজেলার মধ্যমকুড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক মেহেদীর কাছ থেকে উদ্ধার করা নোটগুলো এতটা নিখুঁতভাবে তৈরি যে খালি চোখে আসল-নকল শনাক্ত করা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি। ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনীতে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান-শুটার পিস্তল, তিনটি গুলি এবং তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে গাংনী সেনাক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

গাংনী সেনাবাহিনী ক্যাম্প সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে গাংনী সেনাবাহিনী ক্যাম্পের একটি টহল দল গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান-শুটার পিস্তল, তিনটি গুলি ও তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, উদ্ধার হওয়া ওয়ান-শুটার পিস্তল, গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, রোববার সকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পিস্তল, গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র জমা দিয়েছে। এগুলোর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত