আড্ডা

এখন তো রমনার বটমূলে ছায়ানটের পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু রমনার এই বটমূলে সেই উৎসব শুরু হওয়ার একটা ইতিহাস আছে।

১৯৫৪ সালের ১ ডিসেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে চলছিল কয়েক দিনের যুব উৎসব। নাচ, গান, নাটক, কবিতা ছাড়াও নানাদিকে ছিল নানা আয়োজন। সেখানেই ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর শঙ্খ ঘোষ। ঘুরতে ঘুরতে একসময় সুভাষ মুখোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষকে বললেন, ‘শোনো, তোমার সঙ্গে কথা আছে। চলো একটু ওদিকে যা

একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনেক দামি পুরস্কার। যিনি পান, তিনি বর্তে যান। সেরা সেরা তারকার মিলনমেলা এই অস্কার। কিন্তু কখনো কখনো কেউ কেউ সে অনুষ্ঠানকে অন্য রঙে রাঙিয়ে দেন। তাঁদেরই একজন মারলন

মারাকেশ শহরটা কোথায়, চট করে সবাই বলতে পারবে না। মরক্কোর একটি প্রাচীন শহর মারাকেশ। সেখানকার চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ‘মাটির ময়না’র জন্য তারেক মাসুদ পেলেন আমন্ত্রণ।

নিজে পড়াশোনার মানুষ। কিন্তু সন্তানদের পড়ানোর ব্যাপারে অনীহা ছিল শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানের। ১৯৮২ সালে মেয়ে রুচি মানবিক বিভাগ থেকে ২০তম স্থান অধিকার করল।

পরিবারে নিয়ম—যেকোনো উপলক্ষই হোক না কেন, উপহার বলতে ছিল বই। জন্মদিনের আগের রাতে উত্তেজনায় ঘুম আসত না সুলতানা কামালের। ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চোখ চলে যেত বালিশের নিচে। সেখানেই থাকত মনকাড়া একটি ঝকঝকে বই।

কাজী আনোয়ার হোসেন, যাঁর ডাকনাম ছিল নবাব। সেকালে তিনি বখে যেতে বসেছিলেন। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বইখাতা নিয়ে চলে যেতেন ফজলুল হক হলের দক্ষিণ দিকে বকুলগাছের সারির ওদিকটায়। সারা দিন আড্ডা দিয়ে পরিশ্রান্ত হয়ে তারপর ফিরতেন বাড়ি। বিকেলের নাশতা দুধ-ভাত খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়তেন বাইরে। বাড়ির নিয়ম ছিল ফিরতে হবে সন

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সকালেই পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় রেখে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান চলে যান গ্রামের বাড়িতে। গ্রামের পরিস্থিতি বুঝে পরিবারের সদস্যদের গ্রামে নিয়ে যাবেন, তারপর সীমান্ত পার হয়ে চলে যাবেন ভারতে।

লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গেছেন তপন সিংহ। ডার্ক বোগার্ডে বললেন, ‘কাল লাঞ্চের সময় একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।’ তপন সিংহ অপেক্ষায় আছেন। যথাসময়ে যাকে দেখলেন, তিনি আর কেউ নন স্যার লরেন্স অলিভিয়ার! কিংবদন্তি এই অভিনেতা

সুচিত্রা-উত্তমের ‘সপ্তপদী’ সিনেমাটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। খ্রিষ্টান মেয়ে রিনা ব্রাউনের চরিত্রে অভিনয় করে সুচিত্রা কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রপাড়া। অজয় কর পরিচালিত ছবিটি তৈরি হয়েছিল তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে...

মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলে ফেরদৌসী মজুমদার নাটক করতেন থিয়েটারে। সবাই জানেন, মঞ্চনাটক মুক্তিযুদ্ধের সেরা ফসলের একটি। সে সময় মঞ্চে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা চিন্তায়-চেতনায় বাংলা সংস্কৃতিকে ধারণ করেছিলেন।

বাবা চেয়েছিলেন নির্মলেন্দু গুণ চিকিৎসাবিদ্যা শিখুক। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন, তাই বাবা সেটা চাইতেই পারেন। ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট—দুটো পরীক্ষাতেই প্রথম বিভাগ পেয়েছিলেন নির্মলেন্দু গুণ। ইন্টারমিডিয়েটে নিজের কলেজ থেকে একাই প্রথম বিভাগ পেয়েছিলেন। সে সময় সারা ঢাকায় প্রথম বিভাগ পেয়েছিলেন ১১৯ জন।

কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২ মের কথা। পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা বিষয়ে স্বাগতিক দেশ জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যানলি ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল। ড. উইলসনের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরা দুজনই বঙ্গবন

মুষ্টিযুদ্ধে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী একসময় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন ছিলেন। তাঁকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় অভিধা দেওয়া হয়েছে। কীভাবে তিনি একের পর এক বাধা পার হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় কীভাবে শিরোপা হারিয়েছিলেন, জেল খেটেছিলেন, সেই ইতিহাসও

আবু ইসহাক ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসটি লিখে শেষ করেছিলেন ১৯৪৮ সালের আগস্ট মাসে। ঢাকা ও কলকাতার প্রকাশকেরা সেটা ছাপতে চাননি। সিভিল সাপ্লাইয়ের চাকরিটা ছাঁটাই শুরু হলে চলে যায়। পুলিশে চাকরি জুটল, ১৯৪৯ সাল কাটল প্রশিক্ষণে। শিক্ষানবিশ সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগ দিলেন তেজগাঁও থানায়। দাঙ্গার সময় কয়েকজন সেপাইসহ

শচীন দেববর্মন কীভাবে গান তৈরি করতেন, শিল্পীদের সবাই তা জানতেন। তাই শিল্পীরা যখন তার কাছে গান তুলতে যাইতেন তখন কেউই জানতেন না আসলে কাকে দিয়ে শচীনকত্তা গান করাবেন।

মুগ্ধতার সঙ্গে অল্প বয়সের একটা যোগ আছে। বৈচিত্র্যময় হলে নতুন যা দেখা হয় তা দেখেই মুগ্ধ হয় মানুষ। প্রথমবার দেখার, শোনার বা পড়ার যে তৃপ্তি, সেটা থেকে যায় আজীবন। হাসান আজিজুল হকের সে রকম অভিজ্ঞতা আছে।