সম্পাদকীয়
এখন তো রমনার বটমূলে ছায়ানটের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু রমনার এই বটমূলে সেই উৎসব শুরু হওয়ার একটা ইতিহাস আছে।
রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়েছিল সরকারি বাধা ডিঙিয়ে। সেটা ১৯৬১ সাল। এরপর ১৯৬৩ সালের পয়লা বৈশাখে ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের উদ্বোধন হয়েছিল পয়লা বৈশাখেই। বিদ্যায়তনের বর্ষপূর্তি আর বার্ষিক পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণের জন্য ১৯৬৪ সালে ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুলের কৃষ্ণচূড়াগাছের নিচে হয়েছিল অনুষ্ঠান।
সেখানে কৃতী ছাত্রছাত্রী আর শিক্ষকেরা গেয়েছিলেন বর্ষাবরণের গান। ১৯৬৫ সালে ঈদুল আজহা ছিল সে দিনটিতে, তাই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়নি। সেটা আবার হলো ১৯৬৬ সালে।
কিন্তু এত ছোট জায়গায় কি বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়? একটু বড় জায়গা খুঁজে পাওয়া দরকার। আর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে আলাদা করা দরকার। কিন্তু বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য বড় জায়গা পাওয়া যাবে কোথায়?
সে সময় নওয়াজেশ আহমদ কেবল ফিরেছেন বিদেশ থেকে। ওয়াহিদুল হক বললেন, ‘এই তো, নওয়াজেশকে পাওয়া গেছে। আপনি তো ছবি তুলবার নেশায় অনেক ঘুরে বেড়ান। নববর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য একটা খোলা জায়গার খোঁজ দিন তো!’নওয়াজেশ বললেন, ‘চলেন, আপনাদের নিয়ে রমনা রেস্তোরাঁর দিকে যাই।’
রেস্তোরাঁর উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে একটা বড় মাঠ। লম্বা ঘাসে ছাওয়া মাঠের ভেতর দিয়ে একটা বড় গাছের কাছে পৌঁছানো গেল। সেই গাছের গোড়ায় আবার বেদি বাঁধানো আছে! এই বেদিতে বসেই তো গান হতে পারে!
১৯৬৭ সাল থেকে এই জায়গাতেই শুরু হলো নববর্ষ অনুষ্ঠান। যদিও গাছটি বট নয়, অশ্বত্থ, তবু ‘অশ্বত্থতলায়’ বলতে মন সায় দিচ্ছিল না কারও, তাই বলা হলো বটমূল। ব্যাপারটাকে জায়েজ করে নেওয়া হলো এভাবে: পঞ্চবটের সমাহারে রয়েছে অশ্বত্থ, বট, বিল্ব, আমলকী ও অশোক। সে হিসেবে এটাকে বটমূল বলতে বাধা নেই!
নওয়াজেশ আহমদ খুঁজে দিয়েছিলেন এই বটমূল!
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, আলোকের ঝর্ণাতলায়, পৃষ্ঠা ১৪
এখন তো রমনার বটমূলে ছায়ানটের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু রমনার এই বটমূলে সেই উৎসব শুরু হওয়ার একটা ইতিহাস আছে।
রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়েছিল সরকারি বাধা ডিঙিয়ে। সেটা ১৯৬১ সাল। এরপর ১৯৬৩ সালের পয়লা বৈশাখে ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের উদ্বোধন হয়েছিল পয়লা বৈশাখেই। বিদ্যায়তনের বর্ষপূর্তি আর বার্ষিক পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণের জন্য ১৯৬৪ সালে ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুলের কৃষ্ণচূড়াগাছের নিচে হয়েছিল অনুষ্ঠান।
সেখানে কৃতী ছাত্রছাত্রী আর শিক্ষকেরা গেয়েছিলেন বর্ষাবরণের গান। ১৯৬৫ সালে ঈদুল আজহা ছিল সে দিনটিতে, তাই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়নি। সেটা আবার হলো ১৯৬৬ সালে।
কিন্তু এত ছোট জায়গায় কি বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়? একটু বড় জায়গা খুঁজে পাওয়া দরকার। আর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে আলাদা করা দরকার। কিন্তু বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য বড় জায়গা পাওয়া যাবে কোথায়?
সে সময় নওয়াজেশ আহমদ কেবল ফিরেছেন বিদেশ থেকে। ওয়াহিদুল হক বললেন, ‘এই তো, নওয়াজেশকে পাওয়া গেছে। আপনি তো ছবি তুলবার নেশায় অনেক ঘুরে বেড়ান। নববর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য একটা খোলা জায়গার খোঁজ দিন তো!’নওয়াজেশ বললেন, ‘চলেন, আপনাদের নিয়ে রমনা রেস্তোরাঁর দিকে যাই।’
রেস্তোরাঁর উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে একটা বড় মাঠ। লম্বা ঘাসে ছাওয়া মাঠের ভেতর দিয়ে একটা বড় গাছের কাছে পৌঁছানো গেল। সেই গাছের গোড়ায় আবার বেদি বাঁধানো আছে! এই বেদিতে বসেই তো গান হতে পারে!
১৯৬৭ সাল থেকে এই জায়গাতেই শুরু হলো নববর্ষ অনুষ্ঠান। যদিও গাছটি বট নয়, অশ্বত্থ, তবু ‘অশ্বত্থতলায়’ বলতে মন সায় দিচ্ছিল না কারও, তাই বলা হলো বটমূল। ব্যাপারটাকে জায়েজ করে নেওয়া হলো এভাবে: পঞ্চবটের সমাহারে রয়েছে অশ্বত্থ, বট, বিল্ব, আমলকী ও অশোক। সে হিসেবে এটাকে বটমূল বলতে বাধা নেই!
নওয়াজেশ আহমদ খুঁজে দিয়েছিলেন এই বটমূল!
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, আলোকের ঝর্ণাতলায়, পৃষ্ঠা ১৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫