সম্পাদকীয়
আবু ইসহাক ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসটি লিখে শেষ করেছিলেন ১৯৪৮ সালের আগস্ট মাসে। ঢাকা ও কলকাতার প্রকাশকেরা সেটা ছাপতে চাননি। সিভিল সাপ্লাইয়ের চাকরিটা ছাঁটাই শুরু হলে চলে যায়। পুলিশে চাকরি জুটল, ১৯৪৯ সাল কাটল প্রশিক্ষণে। শিক্ষানবিশ সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগ দিলেন তেজগাঁও থানায়। দাঙ্গার সময় কয়েকজন সেপাইসহ হিন্দু গ্রাম রায়েরবাজারে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হলে তিনি সেখানকার দায়িত্ব পান।
একদিন বিকেলে কবি জসীমউদ্দীন রায়েরবাজারে এলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা সভায়। বিকেলে সে সভায় আবু ইসহাকও বক্তব্য দিলেন। জসীমউদ্দীন শুনলেন আবু ইসহাকের কয়েকটি গল্প ছাপা হয়েছে সওগাত, আজাদের মতো পত্রিকায়। জসীমউদ্দীন বললেন, ‘আপনার ভাষা এত সুন্দর, পুলিশের লোক সাহিত্যসাধনা করে, এ তো ভাবাই যায় না।’ তারপর বললেন, ‘না না, দু-একজন আছেন, যেমন সৈয়দ এমদাদ আলী, সা’দত আলী আখন্দ।’
‘আমি একটা উপন্যাস লিখেছি, কিন্তু প্রকাশক পাচ্ছি না।’ বললেন আবু ইসহাক।
গুরুত্ব না দিয়ে জসীমউদ্দীন বললেন, ‘লিখতে থাকুন, লিখতে লিখতে হাত পাকা হবে।’
‘একদিন পাণ্ডুলিপি নিয়ে আপনার বাসায় যাব?’
‘তা আসুন একদিন। রোববার নয়টা-দশটার দিকে আসবেন।’
গেলেন আবু ইসহাক। তত দিনে কবি তাঁকে তুমি বলে ডাকতে শুরু করেছেন। দুই অধ্যায় শুনে বললেন, ‘তোমার লেখার হাত ভালো। লিখতে লিখতে ভালো লেখা এসে যাবে।’
মন খারাপ করে ফিরলেন লেখক।
গোলাম মোস্তফার ‘নওবাহার’ মাসিক পত্রে উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৫১-৫২ সালে। কলকাতা-ঢাকায় সাড়া জাগায় উপন্যাসটি। এর মধ্যে কবির সঙ্গে আর দেখা হয়নি। ১৯৬০ সালে কবির সঙ্গে দেখা হলে কবি বলেন, ‘ভাই ইসহাক, আমি তোমার ওপর সুবিচার করিনি। তোমার উপন্যাসের কিছুটা পড়ে শুনিয়েছিলে। অতটুকু শুনে তখন উপন্যাসটির মূল্যায়ন করতে পারিনি। এ জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইব কি, আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।’
সূত্র: আবু ইসহাক, জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৪
আবু ইসহাক ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসটি লিখে শেষ করেছিলেন ১৯৪৮ সালের আগস্ট মাসে। ঢাকা ও কলকাতার প্রকাশকেরা সেটা ছাপতে চাননি। সিভিল সাপ্লাইয়ের চাকরিটা ছাঁটাই শুরু হলে চলে যায়। পুলিশে চাকরি জুটল, ১৯৪৯ সাল কাটল প্রশিক্ষণে। শিক্ষানবিশ সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগ দিলেন তেজগাঁও থানায়। দাঙ্গার সময় কয়েকজন সেপাইসহ হিন্দু গ্রাম রায়েরবাজারে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হলে তিনি সেখানকার দায়িত্ব পান।
একদিন বিকেলে কবি জসীমউদ্দীন রায়েরবাজারে এলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা সভায়। বিকেলে সে সভায় আবু ইসহাকও বক্তব্য দিলেন। জসীমউদ্দীন শুনলেন আবু ইসহাকের কয়েকটি গল্প ছাপা হয়েছে সওগাত, আজাদের মতো পত্রিকায়। জসীমউদ্দীন বললেন, ‘আপনার ভাষা এত সুন্দর, পুলিশের লোক সাহিত্যসাধনা করে, এ তো ভাবাই যায় না।’ তারপর বললেন, ‘না না, দু-একজন আছেন, যেমন সৈয়দ এমদাদ আলী, সা’দত আলী আখন্দ।’
‘আমি একটা উপন্যাস লিখেছি, কিন্তু প্রকাশক পাচ্ছি না।’ বললেন আবু ইসহাক।
গুরুত্ব না দিয়ে জসীমউদ্দীন বললেন, ‘লিখতে থাকুন, লিখতে লিখতে হাত পাকা হবে।’
‘একদিন পাণ্ডুলিপি নিয়ে আপনার বাসায় যাব?’
‘তা আসুন একদিন। রোববার নয়টা-দশটার দিকে আসবেন।’
গেলেন আবু ইসহাক। তত দিনে কবি তাঁকে তুমি বলে ডাকতে শুরু করেছেন। দুই অধ্যায় শুনে বললেন, ‘তোমার লেখার হাত ভালো। লিখতে লিখতে ভালো লেখা এসে যাবে।’
মন খারাপ করে ফিরলেন লেখক।
গোলাম মোস্তফার ‘নওবাহার’ মাসিক পত্রে উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৫১-৫২ সালে। কলকাতা-ঢাকায় সাড়া জাগায় উপন্যাসটি। এর মধ্যে কবির সঙ্গে আর দেখা হয়নি। ১৯৬০ সালে কবির সঙ্গে দেখা হলে কবি বলেন, ‘ভাই ইসহাক, আমি তোমার ওপর সুবিচার করিনি। তোমার উপন্যাসের কিছুটা পড়ে শুনিয়েছিলে। অতটুকু শুনে তখন উপন্যাসটির মূল্যায়ন করতে পারিনি। এ জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইব কি, আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।’
সূত্র: আবু ইসহাক, জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫