Ajker Patrika

বাইসাইকেল ও প্যারাস্যুট

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০: ৪০
বাইসাইকেল ও প্যারাস্যুট

মুষ্টিযুদ্ধে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী একসময় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন ছিলেন। তাঁকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় অভিধা দেওয়া হয়েছে। কীভাবে তিনি একের পর এক বাধা পার হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় কীভাবে শিরোপা হারিয়েছিলেন, জেল খেটেছিলেন, সেই ইতিহাসও কারও অজানা নয়। আজ অবশ্য সেই কাহিনি নয়, আজ বলা হবে সাইকেল হারানোর গল্পের মাধ্যমে মুষ্টিযুদ্ধের সঙ্গে আলাপ আর প্রথম বিমানে ওঠার কাহিনি।

সীমাহীন দারিদ্র্যের মধ্যে কেনটাকির লুইসভিলে বেড়ে উঠছিল ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে নামে এক বালক, পরবর্তীকালে যিনি নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন।

১২ বছর বয়সে তিনি মুষ্টিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিলেন। ক্যাসিয়াস ক্লের ছিল একটা বাইসাইকেল। সে সময় তিনি লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেঝে পরিষ্কার করার কাজ করতেন। একদিন তাঁর সাইকেলটা চুরি হয়ে গেল। পুলিশের শরণাপন্ন হলেন তিনি। রেগেমেগে পুলিশকে বললেন, চোরটাকে পেলে পিটুনি দেবেন।

ক্লে, অর্থাৎ আলীর কথা শুনে একজন পুলিশ সদস্য বললেন, ‘যদি সত্যিই ঠ্যাঙাতে চাও, তাহলে মুষ্টিযুদ্ধ শেখো।’

দুই সপ্তাহ পরে ছেলেটি বক্সিং শেখার জন্য জিমনেসিয়ামে যাওয়া শুরু করল।

মুষ্টিযুদ্ধটা ভালো লাগতে শুরু করল তার। এটাকেই পেশা হিসেবে নেওয়ার আগ্রহ জাগল। কিন্তু পেশাদার হওয়ার আগে ১৯৬০ সালের অলিম্পিকে যোগ দিতে বললেন প্রশিক্ষকেরা। ১৮ বছর বয়সে লাইট ওয়েট ক্যাটাগরিতে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হন আলী। কিন্তু সে ঘটনাটি না-ও ঘটতে পারত, যদি প্লেনে ওঠার আতঙ্ক তাঁকে পেয়ে বসত। কিন্তু প্লেনে না উঠলে অলিম্পিকে যাবেন কী করে?

‘আমি প্লেনে করে কোথাও যাব না।’ বললেন আলী।

তাঁকে বোঝানো হলো, ‘অলিম্পিকে পদক না জিতলে তুমি পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা হবে কী করে?’

সেটা তো সত্যি! তখন যুদ্ধের সরঞ্জাম বিক্রি করে যে দোকান, সেই দোকানে গিয়ে প্যারাস্যুট কিনলেন আলী। সেই প্যারাস্যুট সঙ্গে নিয়ে প্রস্তুত হয়েই প্লেনে গিয়ে বসলেন।

সূত্র: ই ফাকতি ডট রু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত