সম্পাদকীয়
এনসিপি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ রেখেছেন এবং তাঁরা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথাও ভাবছেন। সে দলেরই আরেক নেতা সারজিস আলম বলেছেন, পৃথিবীতে সেফ এক্সিট নেওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হচ্ছে মৃত্যু।
হঠাৎ করে উপদেষ্টারা কেন সেফ এক্সিট নেবেন বলে মনে করা হলো, তা ছিল গত কয়েক দিনের টক অব দ্য টাউন। সরকার কতটা গতিশীল, কতটা আন্তরিক, কতটা সফল, কতটা ব্যর্থ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি রকে-রেস্তোরাঁয় জনগণও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই সরকারের অবস্থান ইত্যাদি অনেক বিষয়েই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় যে দলগুলো চলে এসেছিল সামনের কাতারে এবং যে নতুন দল সৃষ্টি হয়েছে, সে দলগুলোর মধ্যেও নানা কারণে দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ এই অবস্থায় কার ওপর আস্থা রাখবে, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠতেই পারে।
সরল কথায় যখন কোনো দল ক্ষমতা ছাড়ে বা ছাড়তে বাধ্য হয়, তখন দলের নিরাপত্তা, সুনাম রক্ষা করার জন্য সম্মান ও নিরাপদভাবে ক্ষমতা ত্যাগের উপায়ই হলো সেফ এক্সিট। বিশ্ব ইতিহাস বলে, সরকারের সেফ এক্সিট বেশ কয়েকটি কারণে দরকার হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ নিয়ে এখানে আলোচনা হতে পারে।
দেশে বৃহৎ জন-অসন্তোষ বা রাজনৈতিক সংকটের সময় ক্ষমতাসীন দল বা নেতারা সেফ এক্সিটের কথা ভাবেন। সরকার জনগণের আস্থা হারালে ব্যাপক বিক্ষোভ বা আন্দোলনের সময় সহিংসতাহীন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সেফ এক্সিটের ঘটনা ঘটে। সেফ এক্সিটের দরকার পড়ে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে গেলে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা বা জাল নির্বাচন দেওয়ার কারণেও সেফ এক্সিটের প্রয়োজন পড়ে। প্রবলভাবে দুর্নীতি করলেও ভয়ে সেফ এক্সিটের পথ খোঁজা হয়। ক্ষমতা ত্যাগ বা হস্তান্তর করার পর আইনি জটিলতা বা অপরাধমূলক অভিযোগের আশঙ্কায় কিংবা ওই কারণেই বিচার বা শাস্তির ভয় থাকলেও নিরাপদে দেশত্যাগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ রকম কোনো পরিস্থিতি কি দেশে সৃষ্টি হয়েছে?
এনসিপি নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের কারও কারও মধ্যে সেফ এক্সিটের প্রবণতা কেন দেখছেন, সে বিষয়টি খোলাসা করেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণসহ সেফ এক্সিটের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তা বোধগম্য হয়। নইলে তা নিছক কথার কথা হয়ে থাকে। যেহেতু অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেহেতু প্রমাণসহ যদি তা উপস্থাপন করা হয়, তাহলেই অভিযোগটি পোক্ত আসন পাবে। অন্যদিকে, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেফ এক্সিটের কথা বলতে বলেছেন। সুতরাং সেফ এক্সিট প্রসঙ্গটিকে এড়িয়ে না গিয়ে কেন তা বলা হলো এবং তার ভিত্তি আছে কি না, তা পরিষ্কার করা দরকার। উপদেষ্টাদেরও উচিত এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্বচ্ছ করা। জনগণ তাতে উপকৃত হবে।
এনসিপি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ রেখেছেন এবং তাঁরা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথাও ভাবছেন। সে দলেরই আরেক নেতা সারজিস আলম বলেছেন, পৃথিবীতে সেফ এক্সিট নেওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হচ্ছে মৃত্যু।
হঠাৎ করে উপদেষ্টারা কেন সেফ এক্সিট নেবেন বলে মনে করা হলো, তা ছিল গত কয়েক দিনের টক অব দ্য টাউন। সরকার কতটা গতিশীল, কতটা আন্তরিক, কতটা সফল, কতটা ব্যর্থ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি রকে-রেস্তোরাঁয় জনগণও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই সরকারের অবস্থান ইত্যাদি অনেক বিষয়েই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় যে দলগুলো চলে এসেছিল সামনের কাতারে এবং যে নতুন দল সৃষ্টি হয়েছে, সে দলগুলোর মধ্যেও নানা কারণে দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ এই অবস্থায় কার ওপর আস্থা রাখবে, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠতেই পারে।
সরল কথায় যখন কোনো দল ক্ষমতা ছাড়ে বা ছাড়তে বাধ্য হয়, তখন দলের নিরাপত্তা, সুনাম রক্ষা করার জন্য সম্মান ও নিরাপদভাবে ক্ষমতা ত্যাগের উপায়ই হলো সেফ এক্সিট। বিশ্ব ইতিহাস বলে, সরকারের সেফ এক্সিট বেশ কয়েকটি কারণে দরকার হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ নিয়ে এখানে আলোচনা হতে পারে।
দেশে বৃহৎ জন-অসন্তোষ বা রাজনৈতিক সংকটের সময় ক্ষমতাসীন দল বা নেতারা সেফ এক্সিটের কথা ভাবেন। সরকার জনগণের আস্থা হারালে ব্যাপক বিক্ষোভ বা আন্দোলনের সময় সহিংসতাহীন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য সেফ এক্সিটের ঘটনা ঘটে। সেফ এক্সিটের দরকার পড়ে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে গেলে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা বা জাল নির্বাচন দেওয়ার কারণেও সেফ এক্সিটের প্রয়োজন পড়ে। প্রবলভাবে দুর্নীতি করলেও ভয়ে সেফ এক্সিটের পথ খোঁজা হয়। ক্ষমতা ত্যাগ বা হস্তান্তর করার পর আইনি জটিলতা বা অপরাধমূলক অভিযোগের আশঙ্কায় কিংবা ওই কারণেই বিচার বা শাস্তির ভয় থাকলেও নিরাপদে দেশত্যাগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ রকম কোনো পরিস্থিতি কি দেশে সৃষ্টি হয়েছে?
এনসিপি নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের কারও কারও মধ্যে সেফ এক্সিটের প্রবণতা কেন দেখছেন, সে বিষয়টি খোলাসা করেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণসহ সেফ এক্সিটের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তা বোধগম্য হয়। নইলে তা নিছক কথার কথা হয়ে থাকে। যেহেতু অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেহেতু প্রমাণসহ যদি তা উপস্থাপন করা হয়, তাহলেই অভিযোগটি পোক্ত আসন পাবে। অন্যদিকে, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেফ এক্সিটের কথা বলতে বলেছেন। সুতরাং সেফ এক্সিট প্রসঙ্গটিকে এড়িয়ে না গিয়ে কেন তা বলা হলো এবং তার ভিত্তি আছে কি না, তা পরিষ্কার করা দরকার। উপদেষ্টাদেরও উচিত এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্বচ্ছ করা। জনগণ তাতে উপকৃত হবে।
ফিওদর দস্তয়েফ্স্কি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন জেন-জি আর নতুন ডানপন্থীদের মধ্যে—এ কথা বলা হলে অনেকেই ভ্রু কুঁচকে তাকাবেন আপনার দিকে। কিন্তু একটু ব্যাখ্যা করলেই তাঁরা বুঝে যাবেন, কিছুই বাড়িয়ে বলছেন না আপনি।
৮ ঘণ্টা আগেসময়গুলো গোছানো না। চিন্তার দরজা-জানালা, তাও বন্ধ। বাইরে অনিশ্চয়তার দমকা হাওয়া। কী করব, কী বলব কিংবা কী করা দরকার, বলা দরকার ওসব এখন আর চলে না, অচল মুদ্রা। যাকে একদিন সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেছি, সে-ই এখন বড় বিশ্বাসঘাতক। যিনি সত্য কথা বলার মস্ত দাবিদার ছিলেন, সে-ই এখন দেখি প্রচণ্ড মিথ্যাবাদী। সমাজ
৮ ঘণ্টা আগেশিল্পী এস এম সুলতান জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলার গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। ইউরোপ-আমেরিকা ঘুরে এসে খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা ছেড়ে জন্মস্থান চিত্রার পাড়ে নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামেই থিতু হয়ে আজীবন শিল্পসাধনা করে গেছেন। গ্রামের শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন শিল্পশিক্ষার স্কুল। গ্রামের
৮ ঘণ্টা আগেতিন বছর আগে শ্রীলঙ্কায় ঘটে যাওয়া ব্যাপক বিক্ষোভ, সরকার পতনের ঘটনা এখনো সবার মনে আছে। কেন সে বিক্ষোভ হয়েছিল, সেটাও অজানা নয় কারও। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে পলায়ন, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাঁর বিছানায় শুয়ে বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলা...
১ দিন আগে