সম্পাদকীয়

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্তে অনেকের মধ্যে যেমন স্বস্তি দেখা যাচ্ছে, তেমনি কারও কারও মধ্যে অস্বস্তি নেই, তা-ও নয়। দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে একটি পক্ষ এটিকে অর্জন বলে বিবেচনা

চীনের বেইজিং শহরের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের পূর্ব দিকে যে জাতীয় জাদুঘরটি রয়েছে, তা আধুনিককালে যাত্রা শুরু করলেও এর পেছনে জড়িয়ে আছে ১১৩ বছরের ইতিহাস। চীনের এই জাতীয় জাদুঘরের সূচনা ঘটে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে—ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চায়নিজ হিস্টোরি ও মিউজিয়াম অব দ্য চায়নিজ রেভল্যুশন...

ছোট মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু সে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। বিয়ে হলে পড়াশোনা করা যাবে না—এ রকম কোনো আইন নেই এই দেশে। কিন্তু বিয়ের পর যখন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ভারত সীমান্তসংলগ্ন স্বরুপপুর-কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েটা ক্লাস করতে গেছে, তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে বের করে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি

ধরা পড়েছেন বলেই রিয়াদকে নিয়ে তথ্য বের হচ্ছে। ধরা না পড়লে কেউ জানতেই পারত না এই সমন্বয়কের মহিমা। এ রকম কত সমন্বয়ক কত জায়গায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন, সে হিসাব কি কারও কাছে আছে? বীর বিক্রমেই তো গুলশানে চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিল রিয়াদ অ্যান্ড গং।

বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে কেউ ভূত দেখলে নিশ্চয়ই চমকে যাবেন। যদি কেউ অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল দেখেন, একইভাবে তিনিও আলবত ঘাবড়ে যাবেন। যেখানে দুটি করে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং একটি ফ্রিজের বিল সাধারণত শ খানেক টাকার একটু বেশি হয়...

ভারতবর্ষ আক্রমণ করতে এসে বীর আলেকজান্ডার নিছক রসিকতা করে নিশ্চয়ই বলেননি, ‘সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ!’ আলেকজান্ডার এই দেশের বৈচিত্র্য আর কতটুকু দেখেছেন? বাংলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে তিনি বুঝতে পারতেন কত ধানে কত চাল। ভাগ্যিস, বাংলা পর্যন্ত তাঁকে আসতে হয়নি। জীবনের অনেক বৈপরীত্য দেখার হাত থেকে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জুলাই অভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। এই অভ্যুত্থান রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থার এক সংকটময় পটভূমিতে ঘটেছে, যার পরিণতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং শুরু হয় রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টা।

আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে চাঁদাবাজির কী সম্পর্ক? এখন যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে চলেছেন, তাঁদের ব্যাপারে এই সরকারের মনোভাব কী? সবকিছুই যখন লেজেগোবরে হয়ে গেছে, তখন আন্দোলনের পিঠে কারা ছুরি মারছে, সেটা কি ভেঙে বলে দিতে হবে?

মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেব ঠিক কথাটাই বলেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!’ এই নির্ভীক সত্যকথনের জন্য ওসি মহোদয় সাধুবাদ পেতেই পারেন। কে আর এত সুন্দর করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল-হকিকতের বয়ান করতে পারতেন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি দেওয়া একাধিক বক্তৃতায় চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতেও দেব না। ঘুষ কেউ নেবে না...

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের এ রকম লেজেগোবরে অবস্থা কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

কারও হাত থেকে কাচের গ্লাস অনিচ্ছাকৃতভাবে পড়ে ভেঙে গেলে তিনি ক্ষমা চাইতেই পারেন। ভুল হওয়ায় তাঁকে ক্ষমাও করা যেতে পারে। কিন্তু কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্য কারও ক্ষতি করার জন্য হাতে থাকা কাচের গ্লাস নিচে ফেলে ভাঙেন এবং পরে ক্ষমা চান, তখন কি তাঁকে ক্ষমা করা উচিত? প্রশ্নটা রইল পাঠকের কাছে। তবে কেউ