Ajker Patrika

১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের সন্ধানে তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব, কিন্তু কেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৫৫
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে কিং আব্দুল্লাহ ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে কিং আব্দুল্লাহ ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার। ছবি: এএফপি

সৌদি আরব ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। এটি দেশটির অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার তহবিল সংগ্রহের অংশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ঋণের বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সৌদি আরব মূলত বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে আসছে। বন্ড খোলাবাজারে লেনদেনযোগ্য হলেও সার্বভৌম ঋণ নয় এবং এর শর্তাবলি ব্যক্তিগত হতে পারে। দেশটি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে তেলনির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করার জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করছে। তবে বড় প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগের আগ্রহ কম হওয়ার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের নগরী নিওম।

সৌদি অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে জ্বালানির দামও একটি সমস্যা। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম বুধবার ৬৬ দশমিক ২২ ডলারে ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। দামের পতনের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড তেলের উৎপাদন এবং সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক প্লাস জোটের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি। জোটের এই উদ্যোগে তাদের ‘ধোঁকাবাজ’ দেশগুলোকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য রয়েছে, যারা নিজেদের কোটা অতিক্রম করে তেল উৎপাদন করেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।

তারপরও সৌদি আরবের বড় প্রকল্পের জন্য তহবিল কমতে শুরু করেছে। নিওম নগরী দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটি নিউইয়র্ক সিটির চেয়ে ৩৩ গুণ বড় এবং এতে ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘দ্য লাইন’ নামে একটি কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে শহর গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ শহরে বসবাস করবে; কিন্তু এখন আশা করা হচ্ছে ৩ লাখের কম মানুষ বসবাস করবে এবং পুরো দৈর্ঘ্যের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার অংশ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

সৌদি আরবের ব্যয় সংকোচনের আরও ইঙ্গিত রয়েছে। বিদেশি পরামর্শক সংস্থাগুলো হায়ারিং কমাচ্ছে। দেশটি দারিদ্র্যসীমার মধ্যে না থাকলেও পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের গভর্নর ইয়াসির আল-রুমায়্যান বলছেন, এখন তারা দেশীয় বাজারে আরও মনোযোগ দেবে। বাজেট ঘাটতি বাড়ছে এবং ২০২৫ সালে জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘাটতি পূরণের জন্য সৌদি আরব ঋণের ওপর নির্ভর করছে এবং বিনিয়োগকারীরা এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। দেশটির মোট ঋণ জিডিপির ৩০ শতাংশ, যা অন্যান্য জি২০ অর্থনীতির তুলনায় কম। বিশ্ববাজারে ঋণের খরচ প্রায়ই ইউএস ট্রেজারি রিটার্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গালফ রাষ্ট্রগুলোর জন্য সৌদি আরবের ঋণের খরচ কমেছে। ফলে আরও ঋণ নেওয়া এখন কম ব্যয়সাপেক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ, শান্তি রক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাই করছে জাতিসংঘ

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টাইফয়েড টিকা, টাকা চাইলে ব্যবস্থা

৯ গোলের দুঃস্বপ্ন থেকে মশার যন্ত্রণা, বাংলাদেশ-হংকং লড়াইয়ে আরও যা ঘটেছে

গাজায় থেমে গেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী

দান ফেরত নেওয়া ব্যক্তির দৃষ্টান্তে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত