নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সূর্য উঠে গেছে ততক্ষণে। রমনার বটমূলে প্রস্তুত ছায়ানটের শিল্পীরা। ভোরের আলো ফুটতেই বাঁশির সুরে ভেসে এল রাগ ‘আহির ভৈরব’। বৈশাখী পোশাকে হাজির শত শত নারী-পুরুষ। এই সাতসকালে হাজির হয়েছে শিশুরাও। রমনা লেকের পাড়ে নিজেদের পরিবার নিয়ে বসেছে সবাই। কেউ বসেছে বটমূলের সামনে। ভোরের স্নিগ্ধ আলো ছাড়িয়ে সূর্যের তেজ ক্রমেই বাড়ছে আর চলছে শিল্পীদের কণ্ঠে গান ও পাঠ। এভাবেই বাংলা নতুন বছরকে বাঙালি স্বাগত জানাল নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।
মর্তুজা কবির মুরাদের রাগালাপ ‘আহির ভৈরব’ পরিবেশনের পরে গাওয়া হয় ‘আঁধার রজনী পোহাল’। একে একে শিল্পীরা পরিবেশন করলেন ‘বিমল আনন্দে জাগো রে’, ‘তোমার সুর শোনায়ে’, ‘তিমির দুয়ার খোলো’, ‘প্রথম আলোক লহ প্রণিপাত’, ‘কারার ওই লৌহ কপাট’, ‘আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই’সহ ২৯টি পরিবেশনা।
অংশগ্রহণ করেন সত্যম কুমার দেবনাথ, তানিয়া মান্নান, এ টি এম জাহাঙ্গীর, রামেন্দু মজুমদার, শারমিন সাথী ইসলাম ময়না, খায়রুল আনাম শাকিল, চন্দনা মজুমদার, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মনীষ সরকার, সেমন্তী মঞ্জরী, তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, মুহাম্মদ কামরুল বাশার এবং ছায়ানটের শিল্পীরা।
পরিবেশনার শেষের দিকে ছিল ছায়ানটের নববর্ষ কথন। ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘আজ ভোগবাদ ও রক্ষণশীলতার দাপটে আমরা নতুন সংকটের সম্মুখীন। হারাতে বসেছি বাঙালির স্বাভাবিকতা। আলগা হয়ে পড়ছে পারস্পরিক সম্প্রীতির বাঁধন। বিস্তার ঘটছে লোভ ও স্বার্থপরতার। চেনা মানুষও হয়ে উঠছে অচেনা। তৈরি হচ্ছে এক অস্বাভাবিক ও অসহিষ্ণু সমাজ। অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদ্যাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।’
বর্ষবরণের আয়োজন থেকে নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফেরেন ও সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করেন—এই প্রতিজ্ঞা করা হয়। জাতীয় সংগীত গেয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালে মানুষের মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতি ও সংগীতের ঐতিহ্য প্রচার ও লালন করার লক্ষ্যে ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংগঠনটি ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। কেবল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারণে ১৯৭১ সালে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি ছায়ানট।
সূর্য উঠে গেছে ততক্ষণে। রমনার বটমূলে প্রস্তুত ছায়ানটের শিল্পীরা। ভোরের আলো ফুটতেই বাঁশির সুরে ভেসে এল রাগ ‘আহির ভৈরব’। বৈশাখী পোশাকে হাজির শত শত নারী-পুরুষ। এই সাতসকালে হাজির হয়েছে শিশুরাও। রমনা লেকের পাড়ে নিজেদের পরিবার নিয়ে বসেছে সবাই। কেউ বসেছে বটমূলের সামনে। ভোরের স্নিগ্ধ আলো ছাড়িয়ে সূর্যের তেজ ক্রমেই বাড়ছে আর চলছে শিল্পীদের কণ্ঠে গান ও পাঠ। এভাবেই বাংলা নতুন বছরকে বাঙালি স্বাগত জানাল নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।
মর্তুজা কবির মুরাদের রাগালাপ ‘আহির ভৈরব’ পরিবেশনের পরে গাওয়া হয় ‘আঁধার রজনী পোহাল’। একে একে শিল্পীরা পরিবেশন করলেন ‘বিমল আনন্দে জাগো রে’, ‘তোমার সুর শোনায়ে’, ‘তিমির দুয়ার খোলো’, ‘প্রথম আলোক লহ প্রণিপাত’, ‘কারার ওই লৌহ কপাট’, ‘আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই’সহ ২৯টি পরিবেশনা।
অংশগ্রহণ করেন সত্যম কুমার দেবনাথ, তানিয়া মান্নান, এ টি এম জাহাঙ্গীর, রামেন্দু মজুমদার, শারমিন সাথী ইসলাম ময়না, খায়রুল আনাম শাকিল, চন্দনা মজুমদার, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মনীষ সরকার, সেমন্তী মঞ্জরী, তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, মুহাম্মদ কামরুল বাশার এবং ছায়ানটের শিল্পীরা।
পরিবেশনার শেষের দিকে ছিল ছায়ানটের নববর্ষ কথন। ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘আজ ভোগবাদ ও রক্ষণশীলতার দাপটে আমরা নতুন সংকটের সম্মুখীন। হারাতে বসেছি বাঙালির স্বাভাবিকতা। আলগা হয়ে পড়ছে পারস্পরিক সম্প্রীতির বাঁধন। বিস্তার ঘটছে লোভ ও স্বার্থপরতার। চেনা মানুষও হয়ে উঠছে অচেনা। তৈরি হচ্ছে এক অস্বাভাবিক ও অসহিষ্ণু সমাজ। অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদ্যাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।’
বর্ষবরণের আয়োজন থেকে নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফেরেন ও সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করেন—এই প্রতিজ্ঞা করা হয়। জাতীয় সংগীত গেয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালে মানুষের মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতি ও সংগীতের ঐতিহ্য প্রচার ও লালন করার লক্ষ্যে ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংগঠনটি ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। কেবল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারণে ১৯৭১ সালে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি ছায়ানট।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৪ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৬ ঘণ্টা আগে