এমনিতেই জন্মহার কমে গিয়ে দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাসের পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে কর্মশক্তি সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনে। সরকার নানাভাবে জন্মহার বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করতে ও সন্তান নিতে উৎসাহিত বেশ কিছু প্রণোদনামূলক প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মিলছে না।
এর মধ্যে আজ বুধবার চীনের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আরেক বিপদের অশনিসংকেত সামনে এনেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় সন্তান লালন-পালনের জন্য বিশ্বের বেশি ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি হলো চীন।
সন্তান নিতে ইচ্ছুক নারীদের সময় ও সুযোগ ব্যয়ের এক বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
চীনে মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান লালন-পালনের খরচ প্রায় ৬ দশমিক ৩ গুণ। অস্ট্রেলিয়ায় এ ব্য়য় ২ দশমিক ০৮ গুণ, ফ্রান্সে ২ দশমিক ২৪ গুণ, যুক্তরাষ্ট্রে ৪ দশমিক ১১ গুণ এবং জাপানে ৪ দশমিক ২৬ গুণ বলে জানিয়েছে বেইজিংভিত্তিক ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তান লালন-পালনে সময় দেওয়ার কারণে কর্মজীবী নারীদের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মজুরিও কমে যায়। অথচ এসব ক্ষেত্রে পুরুষের জীবিকা ও উপার্জন অপরিবর্তিত থাকে।
ইউওয়া ইনস্টিটিউট ও অনলাইন ট্রাভেলিং সাইট সিট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক লিয়াং জিয়ানঝাং বলেন, ‘যেহেতু চীনের বর্তমান সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি নারীর সন্তান গ্রহণের জন্য উপযোগী নয়। তাই নারীদের সন্তান ধারণের জন্য সময় ব্যয় এবং সুযোগ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা খুব বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান লালন-পালন উচ্চ ব্যয় এবং নারীদের পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধার মতো সমস্যার কারণে, চীনে মানুষের সন্তান জন্মদানের ইচ্ছা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
২০১৬ সালে চীনে জন্মহার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। এরপর ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো হ্রাস পাওয়ার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
চীনের শিশুর লালন-পালনের ব্য়য় বেশি হওয়ার কারণে সন্তান নিতে অনিচ্ছুক নারীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে বেড়ে চলেছে বিয়ে করতে অনাগ্রহী বা কর্মজীবন স্থগিত রাখতে অনিচ্ছুক নারীর সংখ্যা।
এদিকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে লৈঙ্গিক বৈষম্য। শূন্য থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর দেখাশোনা করতে একজন নারীর প্রায় ২ হাজার ১০৬ কর্মঘণ্টার ক্ষতি হয়। আর এ সময়টিতে তিনি প্রায় ৮ হাজার ৭০০ ডলারের সমান মজুরি হারান।
প্রতিবেদন অনুসারে, সন্তান নেওয়ার কারণে নারীদের মজুরি ১২ থেকে ১৭ শতাংশ কমে যায়। শূন্য থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত একটি সন্তানের মায়েদের দৈনিক (২৪ ঘণ্টায়) অবকাশের সময় কমে যায় ১২ দশমিক ৬ ঘণ্টা এবং আর দুটির সন্তানের ক্ষেত্রে কমে ১৪ ঘণ্টা। যত দ্রুত সম্ভব সন্তান জন্মদানের ব্য়য় কমানোর জন্য জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা প্রবর্তন জরুরি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইউওয়া ইনস্টিটিউট বলছে, নগদ অর্থ ও করের ওপর ভর্তুকি, উন্নত শিশুযত্ন সেবা, মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বকালীন সমান ছুটি, বিদেশি সেবা-যত্নকারী রাখার অনুমতি দেওয়া, সুবিধামতো সময়ে কাজের অনুমতি দেওয়া এবং অবিবাহিত নারীদের বিবাহিত নারীর মতোই প্রজনন অধিকার দেওয়া—এ ধরনের নীতি গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই পদক্ষেপগুলো একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা হলে বার্ষিক শিশু জন্মের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখে উন্নীত হতে পারে।
২০২৩ সালে চীনের জন্মহার মাত্র ১ শতাংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি বর্তমান অতি নিম্ন জন্মহারে কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে চীনের জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাবে এবং বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে। এতে উদ্ভাবন এবং সামগ্রিক জাতীয় কর্মশক্তির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এমনিতেই জন্মহার কমে গিয়ে দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাসের পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে কর্মশক্তি সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনে। সরকার নানাভাবে জন্মহার বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করতে ও সন্তান নিতে উৎসাহিত বেশ কিছু প্রণোদনামূলক প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মিলছে না।
এর মধ্যে আজ বুধবার চীনের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আরেক বিপদের অশনিসংকেত সামনে এনেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় সন্তান লালন-পালনের জন্য বিশ্বের বেশি ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি হলো চীন।
সন্তান নিতে ইচ্ছুক নারীদের সময় ও সুযোগ ব্যয়ের এক বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
চীনে মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান লালন-পালনের খরচ প্রায় ৬ দশমিক ৩ গুণ। অস্ট্রেলিয়ায় এ ব্য়য় ২ দশমিক ০৮ গুণ, ফ্রান্সে ২ দশমিক ২৪ গুণ, যুক্তরাষ্ট্রে ৪ দশমিক ১১ গুণ এবং জাপানে ৪ দশমিক ২৬ গুণ বলে জানিয়েছে বেইজিংভিত্তিক ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তান লালন-পালনে সময় দেওয়ার কারণে কর্মজীবী নারীদের কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মজুরিও কমে যায়। অথচ এসব ক্ষেত্রে পুরুষের জীবিকা ও উপার্জন অপরিবর্তিত থাকে।
ইউওয়া ইনস্টিটিউট ও অনলাইন ট্রাভেলিং সাইট সিট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক লিয়াং জিয়ানঝাং বলেন, ‘যেহেতু চীনের বর্তমান সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি নারীর সন্তান গ্রহণের জন্য উপযোগী নয়। তাই নারীদের সন্তান ধারণের জন্য সময় ব্যয় এবং সুযোগ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা খুব বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান লালন-পালন উচ্চ ব্যয় এবং নারীদের পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধার মতো সমস্যার কারণে, চীনে মানুষের সন্তান জন্মদানের ইচ্ছা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
২০১৬ সালে চীনে জন্মহার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। এরপর ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো হ্রাস পাওয়ার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
চীনের শিশুর লালন-পালনের ব্য়য় বেশি হওয়ার কারণে সন্তান নিতে অনিচ্ছুক নারীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে বেড়ে চলেছে বিয়ে করতে অনাগ্রহী বা কর্মজীবন স্থগিত রাখতে অনিচ্ছুক নারীর সংখ্যা।
এদিকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে লৈঙ্গিক বৈষম্য। শূন্য থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর দেখাশোনা করতে একজন নারীর প্রায় ২ হাজার ১০৬ কর্মঘণ্টার ক্ষতি হয়। আর এ সময়টিতে তিনি প্রায় ৮ হাজার ৭০০ ডলারের সমান মজুরি হারান।
প্রতিবেদন অনুসারে, সন্তান নেওয়ার কারণে নারীদের মজুরি ১২ থেকে ১৭ শতাংশ কমে যায়। শূন্য থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত একটি সন্তানের মায়েদের দৈনিক (২৪ ঘণ্টায়) অবকাশের সময় কমে যায় ১২ দশমিক ৬ ঘণ্টা এবং আর দুটির সন্তানের ক্ষেত্রে কমে ১৪ ঘণ্টা। যত দ্রুত সম্ভব সন্তান জন্মদানের ব্য়য় কমানোর জন্য জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা প্রবর্তন জরুরি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইউওয়া ইনস্টিটিউট বলছে, নগদ অর্থ ও করের ওপর ভর্তুকি, উন্নত শিশুযত্ন সেবা, মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বকালীন সমান ছুটি, বিদেশি সেবা-যত্নকারী রাখার অনুমতি দেওয়া, সুবিধামতো সময়ে কাজের অনুমতি দেওয়া এবং অবিবাহিত নারীদের বিবাহিত নারীর মতোই প্রজনন অধিকার দেওয়া—এ ধরনের নীতি গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই পদক্ষেপগুলো একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা হলে বার্ষিক শিশু জন্মের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখে উন্নীত হতে পারে।
২০২৩ সালে চীনের জন্মহার মাত্র ১ শতাংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি বর্তমান অতি নিম্ন জন্মহারে কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে চীনের জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাবে এবং বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে। এতে উদ্ভাবন এবং সামগ্রিক জাতীয় কর্মশক্তির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
২০০০ সালের ১০ আগস্ট। আর্কটিক সার্কেলের ওপরে ব্যারেন্টস সাগরে সামরিক কৌশল অনুশীলনে অংশ নিতে বন্দর ছেড়ে যায় রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন ‘কুরস্ক’। দুই দিন পর অর্থাৎ ১২ আগস্ট সেটির একটি অনুশীলন টর্পেডো ছোড়ার কথা ছিল। কিন্তু টর্পেডোটি ছোড়ার আগেই সাগরের তলদেশে হারিয়ে যায় সাবমেরিনটি। পরে এর ১১৮ জন ক্রুকেই
৪ মিনিট আগেইসরায়েলে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শূন্যস্থান পূরণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় শ্রমিক দেশটিতে গেছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারত সরকার জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের মধ্যেই এ খবর প্রকাশ্যে এল। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের প্রতি চাপ বাড়ার সময় ভারতের গুরুত্বপ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় একটি ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে পিটসবার্গের কাছে ইউএস স্টিলের ক্লেয়ারটন কারখানায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য শান্তি স্থাপন ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ যৌথভাবে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই ঘোষণা দেন। খবর সিঙ্গাপুরভিত্তিক
২ ঘণ্টা আগে