আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো জিতলেন এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। গতকাল শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি বলেছে, ২০২৫ সালের শান্তির নোবেল এমন একজনের হাতে যাচ্ছে, যিনি সাহসী এবং শান্তির জন্য লড়াই জারি রেখেছেন। একই সঙ্গে অন্ধকার সময়ে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন তিনি।
মাচাদো এমন সময়ে এই পুরস্কার জিতলেন, যখন তিনি প্রাণ সংহারের ভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। তবে পালিয়ে অন্য কোনো দেশে গিয়ে নয়, ভেনেজুয়েলাতেই রয়েছেন তিনি। গতকাল পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি মাচাদো সম্পর্কে বলেছে, ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক শক্তির নেত্রী তিনি। লাতিন আমেরিকার বেসামরিক শক্তির উদাহরণ এই নারী। ভেনেজুয়েলার বিরোধী শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। সম্প্রতি এই নারী তাদের একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা একতাবদ্ধ হয়ে এখন একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাইছে।
ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৯৬৭ সালে মাচাদোর জন্ম। পড়াশোনা করেছেন প্রকৌশলে। ২০০২ সালে তিনি সুমাতে নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস বলছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি নিকোলা মাদুরোর সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভয়ংকরভাবে হস্তক্ষেপ করায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের মুখ হয়ে উঠেছেন মাচাদো। তিনি ২০২৪ সালে মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে তাঁকে প্রার্থী হতে দেওয়া হয়নি। তবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই জারি রেখেছেন তিনি। আর এ জন্য গত বছর ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কার ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম থটস’ জিতেছেন তিনি। সে বছর ভেনেজুয়েলার আরেক বিরোধী নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়াও এই পুরস্কার জেতেন।
এবার নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাচাদোর প্রতিষ্ঠিত সুমাতে এবং তিনি নিজে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ২০ বছর ধরে লড়াই জারি রেখেছেন। দেশটির স্বাধীন বিচারব্যস্থা, মানবাধিকার এবং জনপ্রতিনিধিত্বের জন্য কথা বলে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালে সরকার তাঁকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে দেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে আরেক বিরোধী নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজকে সমর্থন দেন তিনি। বিরোধী শিবিরে ব্যাপক বিভাজন থাকা সত্ত্বেও তিনি লাখো স্বেচ্ছাসেবীকে একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং তাঁদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। হেনস্তা, গ্রেপ্তার, এমনকি নির্যাতনের ঝুঁকি থাকার পরও তিনি এই স্বেচ্ছাসেবীদের স্বচ্ছ নিরপক্ষে নির্বাচন আদায় করে নিতে কী কী করতে হয়, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এই স্বেচ্ছাসেবীরা এটাও নিশ্চিত করছিলেন, ভোটকেন্দ্রে যে ভোট পড়েছে শাসক তা নষ্ট করার আগেই নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা। যদিও সেই ফলও বদলে দিয়েছিল মাদুরোর সরকার।
গতকাল পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে নোবেল কমিটি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, মাচাদো বাধ্য হয়ে লুকিয়ে আছেন। জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও তিনি দেশে আছেন। তাঁর এই পদক্ষেপ দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে নিতে লাখো মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। যখন কর্তৃত্ববাদীরা ক্ষমতা দখল করে, তখন স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে যাঁরা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এদিকে বাসস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস এক অভিনন্দনবার্তায় বলেন, ‘আমি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অভিনন্দন জানাই, যিনি তাঁর প্রিয় ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছেন। নির্যাতন ও প্রতিবন্ধকতার মুখে তিনি কখনো থেমে যাননি। তাঁর দেশ ও জনগণের জন্য একটি স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অটল প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।’
ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো জিতলেন এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। গতকাল শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি বলেছে, ২০২৫ সালের শান্তির নোবেল এমন একজনের হাতে যাচ্ছে, যিনি সাহসী এবং শান্তির জন্য লড়াই জারি রেখেছেন। একই সঙ্গে অন্ধকার সময়ে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন তিনি।
মাচাদো এমন সময়ে এই পুরস্কার জিতলেন, যখন তিনি প্রাণ সংহারের ভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। তবে পালিয়ে অন্য কোনো দেশে গিয়ে নয়, ভেনেজুয়েলাতেই রয়েছেন তিনি। গতকাল পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি মাচাদো সম্পর্কে বলেছে, ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক শক্তির নেত্রী তিনি। লাতিন আমেরিকার বেসামরিক শক্তির উদাহরণ এই নারী। ভেনেজুয়েলার বিরোধী শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। সম্প্রতি এই নারী তাদের একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা একতাবদ্ধ হয়ে এখন একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাইছে।
ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৯৬৭ সালে মাচাদোর জন্ম। পড়াশোনা করেছেন প্রকৌশলে। ২০০২ সালে তিনি সুমাতে নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস বলছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি নিকোলা মাদুরোর সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভয়ংকরভাবে হস্তক্ষেপ করায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের মুখ হয়ে উঠেছেন মাচাদো। তিনি ২০২৪ সালে মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে তাঁকে প্রার্থী হতে দেওয়া হয়নি। তবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই জারি রেখেছেন তিনি। আর এ জন্য গত বছর ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কার ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম থটস’ জিতেছেন তিনি। সে বছর ভেনেজুয়েলার আরেক বিরোধী নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়াও এই পুরস্কার জেতেন।
এবার নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাচাদোর প্রতিষ্ঠিত সুমাতে এবং তিনি নিজে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ২০ বছর ধরে লড়াই জারি রেখেছেন। দেশটির স্বাধীন বিচারব্যস্থা, মানবাধিকার এবং জনপ্রতিনিধিত্বের জন্য কথা বলে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালে সরকার তাঁকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে দেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে আরেক বিরোধী নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজকে সমর্থন দেন তিনি। বিরোধী শিবিরে ব্যাপক বিভাজন থাকা সত্ত্বেও তিনি লাখো স্বেচ্ছাসেবীকে একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং তাঁদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। হেনস্তা, গ্রেপ্তার, এমনকি নির্যাতনের ঝুঁকি থাকার পরও তিনি এই স্বেচ্ছাসেবীদের স্বচ্ছ নিরপক্ষে নির্বাচন আদায় করে নিতে কী কী করতে হয়, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এই স্বেচ্ছাসেবীরা এটাও নিশ্চিত করছিলেন, ভোটকেন্দ্রে যে ভোট পড়েছে শাসক তা নষ্ট করার আগেই নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা। যদিও সেই ফলও বদলে দিয়েছিল মাদুরোর সরকার।
গতকাল পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে নোবেল কমিটি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, মাচাদো বাধ্য হয়ে লুকিয়ে আছেন। জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও তিনি দেশে আছেন। তাঁর এই পদক্ষেপ দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে নিতে লাখো মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। যখন কর্তৃত্ববাদীরা ক্ষমতা দখল করে, তখন স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে যাঁরা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এদিকে বাসস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস এক অভিনন্দনবার্তায় বলেন, ‘আমি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অভিনন্দন জানাই, যিনি তাঁর প্রিয় ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছেন। নির্যাতন ও প্রতিবন্ধকতার মুখে তিনি কখনো থেমে যাননি। তাঁর দেশ ও জনগণের জন্য একটি স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অটল প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।’
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বন্দিবিনিমিয় এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে উদ্যাপন শুরু হয়েছে। ইসরায়েলিরা বন্দী ফিরে পাবে এই আনন্দে উদ্যাপন করছে। অন্যদিকে হামলা বন্ধের আনন্দ উদ্যাপন করছে গাজাবাসী। তবে তাঁদের এই উদ্যাপনের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বিষাদ।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের গাজায় দুই বছর ধরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় অবশেষে গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে তারা। গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেয় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ঘরে ফিরতে শুরু করেছে গাজাবাসী। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার সৈকতে আছড়ে পড়ছে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ আর পাশের সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে গাজা শহর এবং উত্তর গাজার দিকে যাচ্ছে তারা।
২ ঘণ্টা আগেটানা দুই বছরের নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় নেমেছে একটুখানি শান্তি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কার্যকর হতেই দক্ষিণ গাজার শরণার্থীশিবিরগুলো থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তরমুখী যাত্রা শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে