Ajker Patrika

স্বামীকে হত্যার পর ইয়াবা সেবন করে লাশ টুকরো করেন স্ত্রী ও প্রেমিক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে নয়ন হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে নয়ন হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নয়ন হত্যার পর ড্রামে গুম করার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ও তাঁর মেয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করার পাশাপাশি বাকি জড়িতদের নাম ও লাশ গুমের পুরো ঘটনা তুলে ধরেছে সাবিনা।

পুলিশ জানায়, সাবিনা তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নয়নকে হত্যা করেন। এরপর ইয়াবা সেবন করে লাশ টুকরো করে ড্রামে গুম করেন। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজন আসামির নাম উঠে আসার পর তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের আদালত পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাতের আদালতে এই জবানবন্দি প্রদান করে সাবিনা ও তাঁর মেয়ে।

পুলিশের বরাতে জানা যায়, সাবিনা ও নয়ন ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। হত্যার শিকার নয়ন তিন বছর ধরে মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন। এ সময় সাবিনার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান রাসেল ওরফে ঠোঙ্গা রাসেলের সঙ্গে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ইয়াবা সেবন করতেন। জামিনে বেরিয়ে আসার পর নয়ন বিষয়টি জানতে পারে এবং এ নিয়ে দুজনের কয়েকবার ঝগড়া হয়।

৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় সাবিনার মোবাইলে রাসেল ফোন দেয়। বিষয়টি নয়ন দেখে ফেললে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সাবিনাকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে নয়ন। মারধরের ক্ষিপ্ত হয়ে সাবিনা অন্য আরেকটি ফোন দিয়ে রাসেলকে বাসায় আসতে বলেন। রাসেল বাসার সামনে এলে নয়ন ও রাসেলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।

একপর্যায়ে মধ্যে সাবিনা দুজনকে ফ্ল্যাটের একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে একটি স্টিলের লাঠি দিয়ে নয়নের মাথায় আঘাত করেন সাবিনা। এতে নয়ন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে রাসেল সুইচ গিয়ার দিয়ে শরীরে আঘাত করে নয়নের মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার সময় সাবিনার প্রথম ঘরের দুই মেয়ে পাশের রুমেই অবস্থান করছিল।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মেয়েদের তাদের নানির বাসায় রেখে আসে সাবিনা। সারা রাত সাবিনা ও রাসেল রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। পরদিন রাসেল তার বন্ধু চয়নের কাছে পুরো ঘটনা জানায় এবং সাহায্য চায়। এ সময় চয়ন তাকে লাশ গুমের পরামর্শ দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হ্যাক্সো ব্লেড, স্কচটেপ কিনে আনেন।

এরপর ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনজন মিলে লাশের পাশে বসে ১০-১৫টি ইয়াবা সেবন করে। এরপর হ্যাক্সো ব্লেড দিয়ে নয়নের দুই পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। শরীরের ওপরের অংশ ড্রামে ভরে এবং পা দুটো প্লাস্টিক দিয়ে পেঁচিয়ে তোশক দিয়ে ঢেকে রাখে। ড্রামভর্তি লাশ একটি অটোরিকশায় করে নিয়ে এসে শিয়াচর এলাকায় ফেলে যায়। আর পা দুটো চনয় ও তাঁর দুই সহযোগী নোমান ও সামির পিলকুনী প্রাইমারি স্কুলের পাশে ফেলে যায়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর এলাকায় ড্রামের ভেতর থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহতের ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ পরিচয় শনাক্ত করে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই ঘটনায় জড়িত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপু দাসের হত্যাকারীদের শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ম অবমাননার অপবাদ দিয়ে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের নির্বাচনের আগে শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদসহ সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিও করে তারা।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে আহত করে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার অমৃত মণ্ডল সম্রাটকে পিটিয়ে হত্যা, ঝিনাইদহে রিকশাচালক গোবিন্দ বিশ্বাসকে ‘র’-এর এজেন্ট ট্যাগ দিয়ে পিটিয়ে জখম, চট্টগ্রামের রাউজানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন এবং জমি দখল করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিল, ফ্যাসিবাদের বিদায়ে তারা স্বস্তি পাবে, নির্যাতন হবে না। সব প্রকার বৈষম্য দূর হবে। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় এখন শান্তিতে নেই, বরং আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাকচী বলেন, প্রতিটি ঘটনায় সরকার নিশ্চুপ রয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও নিশ্চুপ। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অনেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারের কাছে দাবি, অবিলম্বে ওইসব মব সৃষ্টিকারী ও খুনিকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করে প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। নির্বাচনের আগেই দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হোক, যা দেখে অন্য মব সন্ত্রাসকারী কখনো যেন এই হত্যা ও লুণ্ঠন করার সাহস না পায়।

জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজীব কুণ্ডু তপু বলেন, ‘বর্তমানে যদি মব সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সন্ত্রাস ঠেকানো না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আশা করি, সামনে নির্বাচনের পর নতুন কোনো দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে মব সন্ত্রাস থামবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব হেমন্ত দাস, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পরেশ চৌধুরী, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি মধু, সিনিয়র সহসভাপতি পলাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুজন গাইন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শ্রাবণী মিত্র, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুণ্ডু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ ফুট থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

৩০০ ফুটে বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জোবায়ের হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ডিএনসিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসি থেকে আরও জানানো হয়, গতকাল রাতে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সকাল থেকে দ্রুততার সঙ্গে ৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী আজ সকাল থেকে ডিএনসিসির উদ্যোগে সমাবেশস্থলে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে ডিএনসিসির ৩৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেন বলে জানায় ডিএনসিসি।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ১৪৮টি ট্রিপে সংগৃহীত বর্জ্য রাজধানীর আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে নিরাপদভাবে ডাম্পিং করা হয়। দুপুরের মধ্যে পুরো সমাবেশস্থল পরিষ্কার করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকালে সকাল ১০টা থেকে বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী স্বেচ্ছায় ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকাজে সহযোগিতা করেন বলে জানায় তারা।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সকাল থেকে এই শীতের মধ্যে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ও বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী পরিচ্ছন্নতাকাজে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে আমরা এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’

প্রশাসক আরও বলেন, ‘যেকোনো উৎসব বা বড় জনসমাগমের পর নগর প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীরা যদি শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত হন, তাহলে আমাদের শহরকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা এবং নাগরিক সেবা প্রদান অনেক সহজ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নদীর কিনারে ভেসে আসা কোরাল মাছ। ছবি: সংগৃহীত
নদীর কিনারে ভেসে আসা কোরাল মাছ। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ওজনের এক কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজারে নিলামের মাধ্যমে ১৭ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায় কিনে নেন স্থানীয় এক মাছ ব্যাপারী।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের হরিক্ষিত বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীতে আনোয়ার হোসেন নামের এক জেলে মাছটি পান।

জানা গেছে, মেঘনা নদীতে ওই জেলে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। একপর্যায়ে নদীর কিনারেই কোরাল মাছটি দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন তিনি। পরে মাছটি স্থানীয় বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন।

জেলে আনোয়ার জানান, মাছটি জালে বাঁধেনি। নদীর কিনারে ভাসছিল। তিনি বলেন, ‘বিনা জালেই মাছটি ধরেছি। নদীতে ভাসতে থাকা এই বিশাল কোরাল মাছ পেয়েছি। এটা নিঃসন্দেহে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম রিজিক।’

আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই সিরাজ বলেন, ‘এত বড় মাছ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। দুই ভাই মিলে কোরাল মাছটি কাঁধে বহন করে বাজারে নিয়ে আসলে স্থানীয় মানুষ দেখে ভিড় করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর করে মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ময়মনসিংহ, প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৬
ময়মনসিংহে গভীর রাতে মাজার ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে গভীর রাতে মাজার ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

শত বছরের পুরোনো ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শাহজাহান উদ্দিন (রহ.) আউলিয়ার মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুরের পর ভেতরে মলমূত্র ও গোবর ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ শুক্রবার ভোর থেকে মাজারে আসতে থাকেন লোকজন। তাঁরা মাজার ভাঙচুরের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ বলেন, এই মাজার কত বছর আগের, তা বলা মুশকিল। এখানে প্রতিদিনই ভক্তরা এসে তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে চলে যান। এই অবস্থায় মাজার ভাঙচুর কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জুয়েল মিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি এসে দেখতে পেয়েছেন, মাজারের মূল অংশের বাউন্ডারি ভাঙচুর করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতের কোনো এক সময় কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

মাজারের খাদেম মো. সাইদুর রহমান (৭০) বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে এই মাজারে আছি। কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বাপ-দাদাদের কাছে জানতে পেরেছি, মোগল সম্রাটের আমলে এই মাজার এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্তকুল এখানে আসেন। মাজারে আক্রমণ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাজারের একাংশের কিছু অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে। পলিথিনে মলমূত্র ভরে মাজারে নিক্ষেপ করেছে। ওই মাজারে ৮ থেকে ১০ বছর ধরে কোনো ওরস হয় না। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত