
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মিশ্র বার্তা দিয়েছেন। তিনি একদিকে ‘যুদ্ধের’ আলোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন, আবার অন্যদিকে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নেতাকে হুমকিও দিয়েছেন। বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এর ফলে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা জনবল হবে ১৬ হাজারের মতো। যার মধ্যে ১০ হাজার সেনা এবং ৬ হাজার নাবিক। জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার—ইউএসএস মাহান, উইনস্টন এস চার্চিল, বেইন্ডরিজ, মিশার এবং ইউএসএস ফরেস্ট শেরম্যানও সেখানে যোগ দিচ্ছে।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি দেশটিতে সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই রাজনীতিক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরাতে সহায়তা করলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকেও

ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরিসহ বিপুলসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলার কোনো চিন্তাভাবনা তাঁর নেই। এই মন্তব্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদক পাচার নিয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রাসী মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।