Ajker Patrika

রংপুরে তিন পদে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা জয়ী

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ০৯: ৪১
রংপুরে তিন পদে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা জয়ী

রংপুরের পীরগাছা ও কাউনিয়ায় ষষ্ঠ পর্যায়ের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছেন। আর বিজয়ী ছয়জনের পাঁচজনই নতুন মুখ। একমাত্র কাউনিয়া উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম মায়াকে ভোটাররা ভোট দিয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। 
 
পীরগাছায় ১১৩টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৮ জন। এঁদের মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭০৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এখানে মোটরসাইকেল প্রতীকে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন ৪২ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মিলন পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন মনোয়ারুল ইসলাম।
 
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন শাহ মো. শারেখ খন্দকার। তিনি মাইক প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়েছেন। শারেখ খন্দকার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। চশমা প্রতীকে ৩২ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ফরহাদ হোসেন। 
 
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসরাত জাহান সুইটি। তিনি প্রজাপতি প্রতীকে ৯৬ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়েছেন। পদ্মফুল প্রতীকে ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে রেহেনা বেগম। সুইটির কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এবারই প্রথম ভোটের মাঠে নেমে চমক দেখিয়েছেন তিনি। 
 
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত শাহ মো. শারেখ খন্দকার বলেন, ‘মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি যেন সেবার মাধ্যমে তাদের বিশ্বাসের দাম দিতে পারি সেভাবেই কাজ করব। সবাই আমার জন্য দোয়া রাখবেন।’
 
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ইশরাত জাহান সুইটি বলেন, ‘এবারই প্রথম ভোটের মাঠে নেমেছি। কল্পনাও করতে পারিনি এত ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। আমার উচ্চতা কম হওয়ায় চাকরি পাইনি, কিন্তু ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভোটারদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো নয়।’ 
 
এদিকে কাউনিয়ায় উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৫৪৩ জন। ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারুল ইসলাম মায়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬০ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়েছেন। মনোয়ারুল ইসলাম মায়া কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আনারস প্রতীকে ৪৮ হাজার ৬১৬ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
 
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মনজুদার রহমান। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯৪৫ ভোট পেয়েছেন। মনজুদার রহমান জেলা কৃষক লীগের সদস্য। চশমা প্রতীকে মাহমুদুল হাসান ১৭ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। 
 
এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রওশনারা বেগম। তিনি হাঁস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়েছেন। রওশনারা বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঙ্গুরা বেগম। তিনি ২৪ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
 
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মনোয়ারুল ইসলাম মায়া বলেন, মানুষের জন্য কাজ করেছি। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে ছিলাম। তাঁর প্রমাণ আজকের বিজয়। আমি কাউনিয়ার মানুষের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ, তাঁরা ভালোবেসে আমাকে নির্বাচিত করেছে আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
 
রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোতাহসিম বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
 
উল্লেখ্য, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে লড়ছেন ২৭ জন। এই ২৭ প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবিতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় আটক তরুণ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় মো. শান্ত নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।

বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া শান্ত ঢাকার শাহজাহানপুরের রাজারবাগ গোলাপবাগের আক্কেল আলী ওরফে চান মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় তন্ময় (১৫) নামের স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইকালে শান্ত (২১) নামের এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি তন্ময়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পারভেজ রানা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় পদ্মার চরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান, গ্রেপ্তার ৯

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলে পুলিশের ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চলেছে। আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নিয়মিত মামলা, সাজা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে চরের গভীর এলাকা থেকে অপরাধীদের ব্যবহৃত দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, দুটি নৌকা, তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও অস্ত্র রাখার বিশেষভাবে তৈরি দুটি চেম্বার উদ্ধার করা হয়।

জেলাজুড়ে চলা অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং তদারকি করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শেখ জয়নুদ্দীন, পিপিএম-সেবা। অভিযানে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৩১৫ জন সদস্য অংশ নেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পদ্মার চরাঞ্চলে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘সকাল থেকে চলা অভিযানে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে আমরা পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’ অন্যদিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পদ্মার চরের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে ১ নভেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী’ শিরোনামে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, দৌলতপুরের পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল ও ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কাকন ও মণ্ডল বাহিনীর পাশাপাশি টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক, বাহান্ন বাহিনীসহ ডজনখানেক সশস্ত্র দলের সক্রিয়তা রয়েছে সেখানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইট: কাকন বাহিনীর ২১ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও বাঘা প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৫
ছবি: মিলন শেখ
ছবি: মিলন শেখ

রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ‘কাকন বাহিনী’র ২১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোররাত থেকে রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযানে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি জানান, ‘কাকন বাহিনী’ দমনে পুলিশ, র‍্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’। এতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নিচ্ছেন। ডিআইজি বলেন, ‘অভিযান চলাকালে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি অস্ত্র, মাদক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাকন বাহিনীর ২১ সদস্যকে। অভিযান এখনো চলছে। আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন। পরবর্তী সময়ে বাহিনীপ্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলায় কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। কাকন বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘পদ্মা চরের আতঙ্ক কাকন বাহিনী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নন-এমপিও শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪০
নন-এমপিও শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পানি নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নন-এমপিও শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পানি নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। এ সময় শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ শিক্ষক প্রতিনিধিদের। তাঁদের দাবি, এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া জলকামান থেকে পানি এবং সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে পুলিশ।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করে আসছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের এক দফা দাবি হলো—সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে আমি নিজেও আহত হই। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন।’

সেলিম মিয়া বলেন, ‘এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ শিক্ষকদের এমপিও প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (প্যাট্রল) বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘নন-এমপিও শিক্ষকেরা দুপুরের দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যান। সচিবালয়ের ব্যারিকেডের সামনে আমরা তাঁদের কিছুক্ষণ অবস্থান করতে অনুমতি দিই। তাঁদের প্রতিনিধি পাঠাতে চাইলে আমরা যাওয়ার ব্যবস্থা করব বলেও জানাই।’

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, তাঁদের নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাধারণ শিক্ষকেরা তা অমান্য করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৮ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন, এ সময় তাঁরা কয়েকবার সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত