Ajker Patrika

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ছেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আমি কোনো প্রথাগত রাজনীতি করতে আসিনি’—এমন ঘোষণা দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানালেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হান।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নিজের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নির্বাচনী কৌশল তুলে ধরেন তপু রায়হান।

তপু রায়হান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের দরকার দুর্নীতিমুক্ত, দলীয়করণমুক্ত, রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডামুক্ত সত্যিকারের জনকল্যাণমুখী, সৃজনশীল একটি সরকার ও তার প্রশাসন। আমার বাবা জহির রায়হান রাজনৈতিক সচেতন হলেও কোনো দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না। বাবার মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধারণ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হয়েও মানবকল্যাণমুখী রাজনীতি করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তপু রায়হান জানান, ঢাকা-১৭ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে লড়বেন। ঢাকা-১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। মূলত গুলশান, বনানী, নিকেতন, মহাখালী, বারিধারা, শাহজাদপুর এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসনটি।

তপু রায়হান বলেন, ‘এই এলাকার সমস্যা সমাধানে আমি এলাকাভিত্তিক ইশতেহার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। কড়াইল বস্তির মতো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর মডেল তৈরির চেষ্টা করছি।’

তপু রায়হান আরও বলেন, ‘এই মাসেই এলাকাভিত্তিক ইশতেহারগুলো প্রকাশ করা হবে। এই ইশতেহার নিয়ে সব প্রার্থীর কাছে যাব এবং তাঁদের সহযোগিতা চাইব।’

সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতিই আমার নির্বাচনী প্রচারণার মূল ভিত্তি—উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জয়ী হই বা না হই, নির্বাচনের পর ঢাকা-১৭ আসনে যিনিই এমপি হন, এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করে যাব।’

জহির রায়হানপুত্র বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টামণ্ডলী তৈরির চেষ্টা করছি। নীতি (পলিসি) তৈরি, বাজেট প্রণয়ন এবং কাজ শুরু করার প্রতিটি ধাপে এই কমিটি আমাকে সাহায্য করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...