Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় পদ্মার চরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান, গ্রেপ্তার ৯

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলে পুলিশের ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চলেছে। আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নিয়মিত মামলা, সাজা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে চরের গভীর এলাকা থেকে অপরাধীদের ব্যবহৃত দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, দুটি নৌকা, তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও অস্ত্র রাখার বিশেষভাবে তৈরি দুটি চেম্বার উদ্ধার করা হয়।

জেলাজুড়ে চলা অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং তদারকি করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শেখ জয়নুদ্দীন, পিপিএম-সেবা। অভিযানে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৩১৫ জন সদস্য অংশ নেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পদ্মার চরাঞ্চলে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘সকাল থেকে চলা অভিযানে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে আমরা পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’ অন্যদিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পদ্মার চরের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে ১ নভেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী’ শিরোনামে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, দৌলতপুরের পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল ও ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কাকন ও মণ্ডল বাহিনীর পাশাপাশি টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক, বাহান্ন বাহিনীসহ ডজনখানেক সশস্ত্র দলের সক্রিয়তা রয়েছে সেখানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...