পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করেছেন বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডল পরীক্ষা-সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনার দায় ও ভুল স্বীকার করলে বিক্ষুব্ধরা পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়েন।
পঞ্চগড় সদরে নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার বেশি সময় বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলসহ কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষায় নানা অনিয়ম করা হচ্ছিল। পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত কক্ষ থাকলেও ছিল না নির্দিষ্ট আসন। কিছু কিছু কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বে ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের অফিস সহায়কেরা। তাঁরা আগে থেকে প্রশ্ন নিয়ে মোবাইল ফোনে উত্তর খোঁজাখুঁজি করছিলেন।
শাহ মো. খাইরুল ইসলাম নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘যারা এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ নিয়োগ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হবে।’
আরেক চাকরিপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একজন অফিস সহায়ক কীভাবে এই পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে? তাদের হাতে পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট আগেই প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মোবাইল ফোন বের করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিল।’
পরে বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ-সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সদস্যসচিব আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর তারিখের সব লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। নোটিশ জারির পর চাকরিপ্রার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলকে অবরুদ্ধ করেন।
মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহণের অব্যবস্থাপনার জন্য আজকের এই পরিস্থিতি। পরীক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বলছিল, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে যতটুকু সহযোগিতা চেয়েছে, আমরা করেছি। উনারা আমাদের কাছে কোনো সিট প্ল্যান দেয়নি। এই অব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের কলেজে প্রচুর ভাঙচুর হয়েছে।’
পরে সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ। এ সময় পরীক্ষার্থীরা আট দফা দাবি তোলেন। দাবিগুলো হলো—এই নিয়োগের সব পরীক্ষা বাতিল করতে হবে; নিয়োগ কমিটি বাতিল করতে হবে; প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনতে হবে; কেন্দ্র অব্যবস্থাপনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে; প্রশ্নপত্র সিলগালা অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরীক্ষা কক্ষে সরবরাহ করতে হবে; লিখিত পরীক্ষা ৯০ নম্বর এবং ভাইভা ১০ নম্বরে নিতে হবে; সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীকে থাকতে হবে এবং নতুন কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে পরীক্ষার সব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
পরে দুপুরে এই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডল বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষা-সংক্রান্ত যত অব্যবস্থাপনা হয়েছে—আমি এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায় স্বীকার করছি এবং এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। পরবর্তীতে যে পরীক্ষাগুলো হবে প্রতি বেঞ্চে রোল নম্বর বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করেছেন বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডল পরীক্ষা-সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনার দায় ও ভুল স্বীকার করলে বিক্ষুব্ধরা পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়েন।
পঞ্চগড় সদরে নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার বেশি সময় বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলসহ কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষায় নানা অনিয়ম করা হচ্ছিল। পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত কক্ষ থাকলেও ছিল না নির্দিষ্ট আসন। কিছু কিছু কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বে ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের অফিস সহায়কেরা। তাঁরা আগে থেকে প্রশ্ন নিয়ে মোবাইল ফোনে উত্তর খোঁজাখুঁজি করছিলেন।
শাহ মো. খাইরুল ইসলাম নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘যারা এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ নিয়োগ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হবে।’
আরেক চাকরিপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একজন অফিস সহায়ক কীভাবে এই পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে? তাদের হাতে পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট আগেই প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মোবাইল ফোন বের করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিল।’
পরে বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ-সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সদস্যসচিব আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর তারিখের সব লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। নোটিশ জারির পর চাকরিপ্রার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলকে অবরুদ্ধ করেন।
মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহণের অব্যবস্থাপনার জন্য আজকের এই পরিস্থিতি। পরীক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বলছিল, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে যতটুকু সহযোগিতা চেয়েছে, আমরা করেছি। উনারা আমাদের কাছে কোনো সিট প্ল্যান দেয়নি। এই অব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের কলেজে প্রচুর ভাঙচুর হয়েছে।’
পরে সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ। এ সময় পরীক্ষার্থীরা আট দফা দাবি তোলেন। দাবিগুলো হলো—এই নিয়োগের সব পরীক্ষা বাতিল করতে হবে; নিয়োগ কমিটি বাতিল করতে হবে; প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনতে হবে; কেন্দ্র অব্যবস্থাপনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে; প্রশ্নপত্র সিলগালা অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরীক্ষা কক্ষে সরবরাহ করতে হবে; লিখিত পরীক্ষা ৯০ নম্বর এবং ভাইভা ১০ নম্বরে নিতে হবে; সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীকে থাকতে হবে এবং নতুন কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে পরীক্ষার সব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
পরে দুপুরে এই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডল বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষা-সংক্রান্ত যত অব্যবস্থাপনা হয়েছে—আমি এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায় স্বীকার করছি এবং এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। পরবর্তীতে যে পরীক্ষাগুলো হবে প্রতি বেঞ্চে রোল নম্বর বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে ছেলের হাতে মা খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত করুনা রানী (৬২) মান্দারতা গ্রামের মৃত পটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলের নাম রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২)।
২৫ মিনিট আগেপ্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশসহ ৭ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী। অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বাম সংগঠন ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করছেন।
১ ঘণ্টা আগেনান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গির চর এলাকার বাসিন্দা ইনতাজ আলী ব্যাপারী প্রায় ৩০ বছর ধরে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে বয়সজনিত কারণে তিনি আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। গত পাঁচ বছরে ছয়জনের কাছে পাওনা ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেতে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
১ ঘণ্টা আগেআজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে আলগী ইউনিয়নবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। এই অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন আটকে পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে