নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘মেঘনা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের ফসলের বৃদ্ধি ও উৎপাদনের ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতের খাদ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল নির্বাচন’ প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক গ্রিনহাউস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলে সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। এতে ৩০ হাজারের বেশি কৃষকের ১০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে কৃষকরা ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু গত প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে অধিকাংশ বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভৌগলিকভাবে হাইমচরবাসী মেঘনা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাড়ে বিভক্ত। পূর্বপাড়ের লোকজন মূলত কৃষিকাজ এবং পশ্চিমের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা মাছ ধরা ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চলে মহানলী, চালতা কোঠা, নল ডোগ, সাচি জাতের পান চাষ করে পরিবার চালাচ্ছেন হাজারো মানুষ।