জহিরুল আলম পিলু
রাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র তিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সব হাট ভরে গেছে গবাদিপশুতে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া নিয়ে ট্রাক আসছে হাটগুলোতে। আগেভাগেই হাট বসলেও ইজারার শর্ত অনুযায়ী গতকালই ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরুর দিন।
হাজারীবাগ ও পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু, ছাগল, ভেড়ার পাশাপাশি দুম্বাও এনেছেন ব্যাপারীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত গবাদিপশু এসেছে। তবে ক্রেতা ও দর্শনার্থী অন্যবারের চেয়ে কম। বিক্রেতাদের কেউ কেউ পশুর যত্ন করছেন। এ ছাড়া অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বললেন, সাধারণত ঈদের পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে হাট জমে। এবার এখনো ক্রেতা কম। অনেকে আসছেন দাম যাচাই করতে। কোরবানির পশুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে কেউ কেউ বলছেন, দাম একই রকম আছে। ক্রেতাদের মধ্যেও দেখা গেছে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
হাট ইজারাদার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো ক্রেতার সংখ্যা কম। বুধবার থেকে ছুটি শুরু হলে বেচাকেনা বাড়বে।
হাজারীবাগ পশুর হাটে শুয়ে থাকতে দেখা যায় ব্যাপারী রাজু জোয়ারদারকে। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে মাঝারি ও বড় আকারের ৪৫টি দেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন। ঘুম ঘুম চোখে বললেন, ‘তিন দিনে মাত্র দুইটা গরু বিক্রি করলাম।
হাট এখনো জমেনি। আশা করি বুধবার থেকে হাটে ক্রেতা বাড়বে। এবার গরু মণপ্রতি ৩০ হাজার টাকা ধরে দাম হিসাব করা হচ্ছে। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার গরুপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি পড়বে।
তবে পাবনা থেকে আসা জামাল ব্যাপারী বলেন, গরুর দাম আগের মতোই আছে।
ওই হাটে মিজানুর রহমান বগুড়া থেকে গত সোমবার ৫৪টি ছাগল নিয়ে এসেছেন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চারটি। তিনি বলেন, গতবার ৮০টি ছাগল আনলেও সব বিক্রি না হওয়ায় এবার কম এনেছেন। বেচাকেনার এখনো যে অবস্থা, এবারও হয়তো থেকে যাবে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গার ‘মল্লিক ডেইরি ফার্ম’ থেকে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাটে আনা হয়েছে ২০টি বড় ও মাঝারি গরু। ফার্মের মালিক জানান, তাঁর কাছে ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা দামের গরু আছে। গত শনিবার এসেছেন, এখনো একটি গরুও বিক্রি হয়নি। পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হবে।
হাজারীবাগ হাটে দেখা হয় আজিমপুর থেকে গরু কিনতে আসা শিরিন আক্তার ও তাঁর ছেলে তুষার আহমেদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, গরু কিনতে তাঁদের বাজেট ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতবার ১ লাখ ১০ হাজারে যে গরু কিনেছেন, সেই আকারের গরু এবার চাইছে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি।
হাজারীবাগ থেকে ১ লাখ টাকায় একটি ষাঁড় কিনেছেন আশরাফুল ইসলাম। চোখে-মুখে বিজয়ের আনন্দ নিয়ে তিনি বলেন, গতবারের সঙ্গে দামে খুব পার্থক্য নেই। তবে তিনি গতবারের চেয়ে ভালো কিনেছেন। এমন ষাঁড় গতবার অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল।
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাটে সপরিবার গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, এবার গরুর দাম একটু বেশি। একটি গরুর দাম ৭ লাখ টাকা চাইলে তিনি সাড়ে ৩ লাখ বলেছেন। কিন্তু দেননি ব্যাপারী।
হাটের ইজারাদারেরা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সুবিধার জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, তিন থেকে চারটি ব্যাংকের বুথ, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল, পর্যাপ্ত থাকা-খাওয়া ও পানির ব্যবস্থা, টয়লেট এবং পশু চিকিৎসকের সেবার সুবিধা রাখা হয়েছে।
হাটের ব্যবস্থাপনা, শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাঁরা একটি তদারকি কমিটি করেছেন। আনসার নিয়োগ দিয়েছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তাঁদের লোকের পাশাপাশি ইজারাদারেরা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র তিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সব হাট ভরে গেছে গবাদিপশুতে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া নিয়ে ট্রাক আসছে হাটগুলোতে। আগেভাগেই হাট বসলেও ইজারার শর্ত অনুযায়ী গতকালই ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরুর দিন।
হাজারীবাগ ও পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু, ছাগল, ভেড়ার পাশাপাশি দুম্বাও এনেছেন ব্যাপারীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত গবাদিপশু এসেছে। তবে ক্রেতা ও দর্শনার্থী অন্যবারের চেয়ে কম। বিক্রেতাদের কেউ কেউ পশুর যত্ন করছেন। এ ছাড়া অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বললেন, সাধারণত ঈদের পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে হাট জমে। এবার এখনো ক্রেতা কম। অনেকে আসছেন দাম যাচাই করতে। কোরবানির পশুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে কেউ কেউ বলছেন, দাম একই রকম আছে। ক্রেতাদের মধ্যেও দেখা গেছে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
হাট ইজারাদার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো ক্রেতার সংখ্যা কম। বুধবার থেকে ছুটি শুরু হলে বেচাকেনা বাড়বে।
হাজারীবাগ পশুর হাটে শুয়ে থাকতে দেখা যায় ব্যাপারী রাজু জোয়ারদারকে। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে মাঝারি ও বড় আকারের ৪৫টি দেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন। ঘুম ঘুম চোখে বললেন, ‘তিন দিনে মাত্র দুইটা গরু বিক্রি করলাম।
হাট এখনো জমেনি। আশা করি বুধবার থেকে হাটে ক্রেতা বাড়বে। এবার গরু মণপ্রতি ৩০ হাজার টাকা ধরে দাম হিসাব করা হচ্ছে। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার গরুপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি পড়বে।
তবে পাবনা থেকে আসা জামাল ব্যাপারী বলেন, গরুর দাম আগের মতোই আছে।
ওই হাটে মিজানুর রহমান বগুড়া থেকে গত সোমবার ৫৪টি ছাগল নিয়ে এসেছেন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চারটি। তিনি বলেন, গতবার ৮০টি ছাগল আনলেও সব বিক্রি না হওয়ায় এবার কম এনেছেন। বেচাকেনার এখনো যে অবস্থা, এবারও হয়তো থেকে যাবে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গার ‘মল্লিক ডেইরি ফার্ম’ থেকে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাটে আনা হয়েছে ২০টি বড় ও মাঝারি গরু। ফার্মের মালিক জানান, তাঁর কাছে ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা দামের গরু আছে। গত শনিবার এসেছেন, এখনো একটি গরুও বিক্রি হয়নি। পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হবে।
হাজারীবাগ হাটে দেখা হয় আজিমপুর থেকে গরু কিনতে আসা শিরিন আক্তার ও তাঁর ছেলে তুষার আহমেদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, গরু কিনতে তাঁদের বাজেট ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতবার ১ লাখ ১০ হাজারে যে গরু কিনেছেন, সেই আকারের গরু এবার চাইছে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি।
হাজারীবাগ থেকে ১ লাখ টাকায় একটি ষাঁড় কিনেছেন আশরাফুল ইসলাম। চোখে-মুখে বিজয়ের আনন্দ নিয়ে তিনি বলেন, গতবারের সঙ্গে দামে খুব পার্থক্য নেই। তবে তিনি গতবারের চেয়ে ভালো কিনেছেন। এমন ষাঁড় গতবার অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল।
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাটে সপরিবার গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, এবার গরুর দাম একটু বেশি। একটি গরুর দাম ৭ লাখ টাকা চাইলে তিনি সাড়ে ৩ লাখ বলেছেন। কিন্তু দেননি ব্যাপারী।
হাটের ইজারাদারেরা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সুবিধার জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, তিন থেকে চারটি ব্যাংকের বুথ, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল, পর্যাপ্ত থাকা-খাওয়া ও পানির ব্যবস্থা, টয়লেট এবং পশু চিকিৎসকের সেবার সুবিধা রাখা হয়েছে।
হাটের ব্যবস্থাপনা, শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাঁরা একটি তদারকি কমিটি করেছেন। আনসার নিয়োগ দিয়েছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তাঁদের লোকের পাশাপাশি ইজারাদারেরা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছেন।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৫ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৫ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে