Ajker Patrika

তিন সন্তানের পর মা-বাবাও না ফেরার দেশে

ঢামেক প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮: ৩০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের কাগজীটোলা এলাকায় একটি বাসায় বিস্ফোরণে লাগা আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচজনের সবাই একে একে মারা গেছে। ১০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সূত্রাপুর কাগজীটোলা এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিপন (৪০)।

এর আগে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপনের তিন সন্তান—দেড় বছরের আয়েশা, রোকন (১৪) ও তামিম (১৮) মারা যান। আর দগ্ধ স্ত্রী চাঁদনী (৩৫) গত বুধবার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় যাওয়ার পথে মারা যান।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মারা যায় রোকন। আগের দিন রাতে মারা গেছে তাঁর দেড় বছরের বোন আয়েশা। গত বুধবার সকালে মারা যান তামিম।

আজ রাতে রিপনের মামা জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন ছেলেমেয়ের মৃত্যুর পর মা চাঁদনী আর হাসপাতালে থাকতে চাননি। গত বুধবার দুই ছেলের (রোকন ও তামিম) মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। বাড়ি যাওয়ার পথেই অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় চাঁদনীর। পরে বাড়িতে তাদের লাশ দাফন করা হয়।

তিনি আরও জানান, সূত্রাপুর কাগজীটোলা সাঈদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকত পরিবারটি। ওই রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সবাই দগ্ধ হয়। পুড়ে গেছে আসবাবও। আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জাকির বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় গ্যাস লিকেজের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

এর আগে আজ সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। রিপনের স্ত্রী চাঁদনী ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে গত বুধবার বাড়ি চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত