আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
৫ মিনিট আগে
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ মিনিট আগে
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
১৬ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী চীনের। এর মধ্যে ফুজিয়ানের এই সক্ষমতা দেশটির নৌবাহিনীকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে চীন অভূতপূর্ব গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুজিয়ান তার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট এবং সমতল ফ্লাইট ডেক ব্যবহার করে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করাতে পারে। নিজস্বভাবে নির্মিত এই রণতরিটি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করতে সক্ষম বিমান পরিচালনা করার পাশাপাশি দূরপাল্লার হামলার ক্ষেত্রেও সহায়ক। এর ফলে এটি চীনের আগের দুটি রুশ-নির্মিত রণতরি ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানদং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে দেশের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যার বিমানবাহী রণতরিতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রণতরিটির ডেকে ঘুরে দেখেন এবং সমুদ্রে এর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে সি চিন পিংই নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় রণতরির ফ্লাইট ডেক ও ঘাটে সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকা নাবিকদের সঙ্গে সি চিন পিং কথা বলেন। নাবিকেরা একযোগে স্লোগান দেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে চলব, জয়লাভের জন্য লড়ব, আর শ্রেষ্ঠ শৃঙ্খলা বজায় রাখব!’

চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী চীনের। এর মধ্যে ফুজিয়ানের এই সক্ষমতা দেশটির নৌবাহিনীকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে চীন অভূতপূর্ব গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুজিয়ান তার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট এবং সমতল ফ্লাইট ডেক ব্যবহার করে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করাতে পারে। নিজস্বভাবে নির্মিত এই রণতরিটি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করতে সক্ষম বিমান পরিচালনা করার পাশাপাশি দূরপাল্লার হামলার ক্ষেত্রেও সহায়ক। এর ফলে এটি চীনের আগের দুটি রুশ-নির্মিত রণতরি ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানদং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে দেশের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যার বিমানবাহী রণতরিতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রণতরিটির ডেকে ঘুরে দেখেন এবং সমুদ্রে এর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে সি চিন পিংই নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় রণতরির ফ্লাইট ডেক ও ঘাটে সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকা নাবিকদের সঙ্গে সি চিন পিং কথা বলেন। নাবিকেরা একযোগে স্লোগান দেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে চলব, জয়লাভের জন্য লড়ব, আর শ্রেষ্ঠ শৃঙ্খলা বজায় রাখব!’

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
২ ঘণ্টা আগে
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ মিনিট আগে
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
১৬ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিস ফিলহারমনি কনসার্ট হলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আয়োজক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তিন দফায় কিছু দর্শক কনসার্ট ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে দুবার তারা ধোঁয়া ছড়িয়েছে। পরে উপস্থিত দর্শকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিশৃঙ্খলাকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কনসার্ট পুনরায় শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।’ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নুনেজ এই ঘটনাটির ‘কঠোরভাবে নিন্দা’ জানিয়েছেন।
এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল আয়োজক সংস্থা ও ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন ‘জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার’-এর মধ্যে। গত মাসে ইউনিয়নটি দাবি করে, কনসার্ট হলে যেন গাজার চলমান পরিস্থিতি ও ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে দর্শকদের অবহিত করা হয়। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।’
তবে কনসার্ট হল কর্তৃপক্ষ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা কখনোই আমন্ত্রিত শিল্পীদের চলমান রাজনৈতিক বিরোধ বা সংবেদনশীল বিষয়ে অবস্থান নিতে বাধ্য করে না।
এদিকে ফ্রান্সের বামঘেঁষা রাজনীতিকদের কেউ কেউ ইসরায়েলি শিল্পীদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপজুড়ে রুশ শিল্পীদেরও এভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য মানোঁ ওব্রি বলেন, ‘রাশিয়া ইউরোভিশন থেকে বাদ পড়লে কেউ অবাক হয়নি। একইভাবে ইসরায়েলও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত।’
ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার পরিচালক লাহাভ শানি ইতিপূর্বে বেলজিয়ামেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স ফেস্টিভ্যাল তাঁর কনসার্ট বাতিল করেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আমাদের সবাইকে ব্যথিত করে, কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক বিবৃতি দিতে বাধ্য করা দুঃখজনক।’

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিস ফিলহারমনি কনসার্ট হলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আয়োজক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তিন দফায় কিছু দর্শক কনসার্ট ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে দুবার তারা ধোঁয়া ছড়িয়েছে। পরে উপস্থিত দর্শকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিশৃঙ্খলাকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কনসার্ট পুনরায় শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।’ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নুনেজ এই ঘটনাটির ‘কঠোরভাবে নিন্দা’ জানিয়েছেন।
এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল আয়োজক সংস্থা ও ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন ‘জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার’-এর মধ্যে। গত মাসে ইউনিয়নটি দাবি করে, কনসার্ট হলে যেন গাজার চলমান পরিস্থিতি ও ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে দর্শকদের অবহিত করা হয়। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।’
তবে কনসার্ট হল কর্তৃপক্ষ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা কখনোই আমন্ত্রিত শিল্পীদের চলমান রাজনৈতিক বিরোধ বা সংবেদনশীল বিষয়ে অবস্থান নিতে বাধ্য করে না।
এদিকে ফ্রান্সের বামঘেঁষা রাজনীতিকদের কেউ কেউ ইসরায়েলি শিল্পীদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপজুড়ে রুশ শিল্পীদেরও এভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য মানোঁ ওব্রি বলেন, ‘রাশিয়া ইউরোভিশন থেকে বাদ পড়লে কেউ অবাক হয়নি। একইভাবে ইসরায়েলও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত।’
ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার পরিচালক লাহাভ শানি ইতিপূর্বে বেলজিয়ামেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স ফেস্টিভ্যাল তাঁর কনসার্ট বাতিল করেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আমাদের সবাইকে ব্যথিত করে, কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক বিবৃতি দিতে বাধ্য করা দুঃখজনক।’

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
২ ঘণ্টা আগে
চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
৫ মিনিট আগে
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
১৬ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানঘাঁটিতে সন্দেহজনক পার্সেল খোলার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের (জেবিএ) মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
ঘটনাটি তদন্তে যুক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পার্সেলটিতে অজ্ঞাত সাদা গুঁড়ো পদার্থ পাওয়া গেছে।
এই বিমানঘাঁটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান ও তাঁর সহায়ক বিমানগুলো রাখা হয় এবং এখান থেকেই প্রেসিডেন্ট সাধারণত সফরে যাত্রা করেন।
ঘাঁটির মুখপাত্র জানান, পার্সেলটি যেই ভবনে খোলা হয়েছিল এবং তার সংলগ্ন আরেকটি ভবন ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ খালি করা হয় এবং এলাকাটিকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, দমকল ও জরুরি সাড়া দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিশ্চিত করেছে, তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই। এরপর ঘাঁটির স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে।
পার্সেল খোলার সময় যারা আশপাশে ছিলেন, তাঁদের অসুস্থতার প্রকৃতি বা তীব্রতা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানঘাঁটিতে সন্দেহজনক পার্সেল খোলার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের (জেবিএ) মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
ঘটনাটি তদন্তে যুক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পার্সেলটিতে অজ্ঞাত সাদা গুঁড়ো পদার্থ পাওয়া গেছে।
এই বিমানঘাঁটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান ও তাঁর সহায়ক বিমানগুলো রাখা হয় এবং এখান থেকেই প্রেসিডেন্ট সাধারণত সফরে যাত্রা করেন।
ঘাঁটির মুখপাত্র জানান, পার্সেলটি যেই ভবনে খোলা হয়েছিল এবং তার সংলগ্ন আরেকটি ভবন ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ খালি করা হয় এবং এলাকাটিকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, দমকল ও জরুরি সাড়া দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিশ্চিত করেছে, তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নেই। এরপর ঘাঁটির স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে।
পার্সেল খোলার সময় যারা আশপাশে ছিলেন, তাঁদের অসুস্থতার প্রকৃতি বা তীব্রতা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
২ ঘণ্টা আগে
চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
৫ মিনিট আগে
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
আজ সেটিই নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে ‘সম্প্রদায়তান্ত্রিক তোষণের’ কারণে কবিতার কিছু অংশ বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ সংস্করণকে জাতীয় পরিচয়ের গান হিসেবে গ্রহণ করে ‘দেশকে অসম্মান’ করেছে। সে সময় যে অংশগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল সেখানে তিন হিন্দু দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ ছিল।
আজ শুক্রবার সকালে কবিতাটি রচনার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিতার পূর্ণ সংস্করণ পাঠ করে বলেন, কংগ্রেস কবিতাটিকে ‘ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।’ মূলত কংগ্রেসের প্রতি মোদির তোপ দাগা থেকেই এর সূত্রপাত। এর প্রেক্ষাপটে বিজেপি প্রকাশ করেছে ১৯৩৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মধ্যে বিনিময় হওয়া কয়েকটি চিঠি। সেখানে নেহরু লিখেছিলেন, ‘বন্দে মাতরম-এর পটভূমি মুসলমানদের বিরক্ত করতে পারে।’
কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, যারা আজ নিজেদের জাতীয়তাবাদের রক্ষক দাবি করছে—বিজেপি ও তাদের আদর্শিক সংগঠন আরএসএস—তারাই বরাবরই ‘বন্দে মাতরম’ এড়িয়ে চলে। দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আজ যারা জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে ঘোরে, তারাই আসলে কখনো বন্দে মাতরম গাননি।’
সারা দিন ধরেই দুই দলের নেতা, এমনকি বিরোধী রাজনীতিকেরাও পাল্টাপাল্টি কটাক্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমি পর্যন্ত বলেন, ‘আমাকে কেউ জোর করে বন্দে মাতরম গাওয়াতে পারবে না।’ তিনি বলেন, মুসলমানের দেব–দেবী নয়, এক আল্লাহকে মানে।
ছয় স্তবকের এই গীতিকবিতায় বঙ্কিমচন্দ্র মাতৃশক্তির বন্দনা করেছেন। তিনি ভারতভূমিকে এক মাতৃরূপে কল্পনা করেছেন—যা একদিকে স্নেহময়ী, অন্যদিকে যোদ্ধা। কবিতায় তিনি মাতৃরূপ দেবীর শক্তি (‘…সত্তর কোটি হাতে ঝলসে ওঠে তরবারি, সত্তর কোটি কণ্ঠে গর্জে ওঠে তোমার নাম) এবং কোমলতা (‘…হে জননী, শান্তির দাত্রী, কোমল হাসি তোমার’)—দুটো দিকই তুলে ধরেছেন।
তবে কবিতার শেষ দুটি স্তবকে তিনি মাতৃরূপকে আরও স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেন—দুর্গা, কমলা (অর্থাৎ লক্ষ্মী) ও সরস্বতীর রূপে। সেখানে ভারতভূমিকে দেবী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে—‘অতুল, অনুপমা, নির্মলা।’ ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু সিদ্ধান্ত নেন—ফৈজাপুর অধিবেশনে জাতীয় অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবক ব্যবহার করা হবে। কারণ, দেবী-উল্লেখ থাকা অংশ মুসলমান সমাজের একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি; সেটি ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল।
বিজেপির দাবি, এই সিদ্ধান্তই কংগ্রেসের বিভাজনবাদী মানসিকতা প্রমাণ করে। মোদি বলেন, ‘এই অংশ বাদ দেওয়াই দেশের বিভাজনের বীজ বপন করেছিল।’ বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন যে চিঠিগুলো প্রকাশ করেছেন, সেখানে নেহরু বসুকে লিখেছিলেন, ‘গানের দেবী-সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটা অবাস্তব। আমার মনে হয় পুরো গানটাই নিরীহ, কেউ আপত্তি তোলার কারণ নেই।’
তবুও তিনি স্বীকার করেন, মুসলমান সমাজের কিছু অংশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল এবং বলেন, ‘এই বিতর্কে কিছুটা বাস্তবতা আছে, যদিও মূলত এটি সাম্প্রদায়িকদের সৃষ্টি।’ ফলস্বরূপ, ১৯৩৭ সালের ২৬-২৮ ডিসেম্বর ফৈজাপুর অধিবেশনে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, যে অংশে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ আছে, তা বাদ দিয়ে কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয়ভাবে গাওয়া হবে।
সেই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সব দিক বিবেচনা করে কমিটি সুপারিশ করছে যে জাতীয় অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবকই গাওয়া হবে।’ তবে কংগ্রেস তখনই এ-ও বলেছিল, ‘যে কেউ চাইলে অন্য কোনো দেশাত্মবোধক গান গাইতে বা ব্যবহার করতে পারেন।’
কিন্তু প্রায় ৯০ বছর পরও সেই সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ঘিরে দেশপ্রেম ও মুসলমান তোষণের বিতর্ক নতুন করে মাথা তুলেছে—আর ‘বন্দে মাতরম’ তার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে।

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
আজ সেটিই নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে ‘সম্প্রদায়তান্ত্রিক তোষণের’ কারণে কবিতার কিছু অংশ বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ সংস্করণকে জাতীয় পরিচয়ের গান হিসেবে গ্রহণ করে ‘দেশকে অসম্মান’ করেছে। সে সময় যে অংশগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল সেখানে তিন হিন্দু দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ ছিল।
আজ শুক্রবার সকালে কবিতাটি রচনার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিতার পূর্ণ সংস্করণ পাঠ করে বলেন, কংগ্রেস কবিতাটিকে ‘ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।’ মূলত কংগ্রেসের প্রতি মোদির তোপ দাগা থেকেই এর সূত্রপাত। এর প্রেক্ষাপটে বিজেপি প্রকাশ করেছে ১৯৩৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মধ্যে বিনিময় হওয়া কয়েকটি চিঠি। সেখানে নেহরু লিখেছিলেন, ‘বন্দে মাতরম-এর পটভূমি মুসলমানদের বিরক্ত করতে পারে।’
কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, যারা আজ নিজেদের জাতীয়তাবাদের রক্ষক দাবি করছে—বিজেপি ও তাদের আদর্শিক সংগঠন আরএসএস—তারাই বরাবরই ‘বন্দে মাতরম’ এড়িয়ে চলে। দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আজ যারা জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে ঘোরে, তারাই আসলে কখনো বন্দে মাতরম গাননি।’
সারা দিন ধরেই দুই দলের নেতা, এমনকি বিরোধী রাজনীতিকেরাও পাল্টাপাল্টি কটাক্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমি পর্যন্ত বলেন, ‘আমাকে কেউ জোর করে বন্দে মাতরম গাওয়াতে পারবে না।’ তিনি বলেন, মুসলমানের দেব–দেবী নয়, এক আল্লাহকে মানে।
ছয় স্তবকের এই গীতিকবিতায় বঙ্কিমচন্দ্র মাতৃশক্তির বন্দনা করেছেন। তিনি ভারতভূমিকে এক মাতৃরূপে কল্পনা করেছেন—যা একদিকে স্নেহময়ী, অন্যদিকে যোদ্ধা। কবিতায় তিনি মাতৃরূপ দেবীর শক্তি (‘…সত্তর কোটি হাতে ঝলসে ওঠে তরবারি, সত্তর কোটি কণ্ঠে গর্জে ওঠে তোমার নাম) এবং কোমলতা (‘…হে জননী, শান্তির দাত্রী, কোমল হাসি তোমার’)—দুটো দিকই তুলে ধরেছেন।
তবে কবিতার শেষ দুটি স্তবকে তিনি মাতৃরূপকে আরও স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেন—দুর্গা, কমলা (অর্থাৎ লক্ষ্মী) ও সরস্বতীর রূপে। সেখানে ভারতভূমিকে দেবী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে—‘অতুল, অনুপমা, নির্মলা।’ ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু সিদ্ধান্ত নেন—ফৈজাপুর অধিবেশনে জাতীয় অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবক ব্যবহার করা হবে। কারণ, দেবী-উল্লেখ থাকা অংশ মুসলমান সমাজের একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি; সেটি ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল।
বিজেপির দাবি, এই সিদ্ধান্তই কংগ্রেসের বিভাজনবাদী মানসিকতা প্রমাণ করে। মোদি বলেন, ‘এই অংশ বাদ দেওয়াই দেশের বিভাজনের বীজ বপন করেছিল।’ বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন যে চিঠিগুলো প্রকাশ করেছেন, সেখানে নেহরু বসুকে লিখেছিলেন, ‘গানের দেবী-সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটা অবাস্তব। আমার মনে হয় পুরো গানটাই নিরীহ, কেউ আপত্তি তোলার কারণ নেই।’
তবুও তিনি স্বীকার করেন, মুসলমান সমাজের কিছু অংশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল এবং বলেন, ‘এই বিতর্কে কিছুটা বাস্তবতা আছে, যদিও মূলত এটি সাম্প্রদায়িকদের সৃষ্টি।’ ফলস্বরূপ, ১৯৩৭ সালের ২৬-২৮ ডিসেম্বর ফৈজাপুর অধিবেশনে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, যে অংশে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ আছে, তা বাদ দিয়ে কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয়ভাবে গাওয়া হবে।
সেই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সব দিক বিবেচনা করে কমিটি সুপারিশ করছে যে জাতীয় অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবকই গাওয়া হবে।’ তবে কংগ্রেস তখনই এ-ও বলেছিল, ‘যে কেউ চাইলে অন্য কোনো দেশাত্মবোধক গান গাইতে বা ব্যবহার করতে পারেন।’
কিন্তু প্রায় ৯০ বছর পরও সেই সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ঘিরে দেশপ্রেম ও মুসলমান তোষণের বিতর্ক নতুন করে মাথা তুলেছে—আর ‘বন্দে মাতরম’ তার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে।

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
২ ঘণ্টা আগে
চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
৫ মিনিট আগে
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ মিনিট আগে
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কাছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজের মুখপাত্র জানান, যে ভবনে পার্সেলটি খোলা হয়েছিল, সেটি সঙ্গে সঙ্গে খালি করা হয়। চিকিৎসকেরা পরে নিশ্চিত করেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
১৬ মিনিট আগে