হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’
রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুজন সহসভাপতি (ভিপি), একজন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ বাদ পড়েছেন ১৯ প্রার্থী। অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনে কোনো
২ ঘণ্টা আগেবেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বেশ কিছু পরিবহনশ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেদিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার পর নৌকা ভিড়ছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শনে। এটি শামুকের আড়ত। সকাল থেকে এখানে শুরু হয় জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথ
৩ ঘণ্টা আগে