Ajker Patrika

বগুড়া-১ আসন: দলের নেতারাই প্রার্থীর বিপক্ষে

  • সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে।
  • বিএনপির গ্রুপিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জামায়াত।
গনেশ দাস, বগুড়া 
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০২: ১৭
কাজী রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
কাজী রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দলের একাংশ। আবার দলীয় পদে রয়েছেন এমন অনেক নেতা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। নির্বাচনী মাঠে বিএনপির এই গ্রুপিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জামায়াতে ইসলামী।

বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-১ আসন। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই আসনে বারবার বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দীর্ঘদিন আসনটি ছিল আওয়ামী লীগের দখলে।

নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের ৫ আগস্টের পরপরই মাঠে নেমেছিলেন অনেকেই। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা কমে যায়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরে আজম বাবু বেশ কিছুদিন ধরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত। এ কারণে তিনি নির্বাচনী মাঠে নেই। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানও মাঠে নেই।

সাধারণ কর্মীরা বলছেন, কাজী রফিকুল ইসলামকে পছন্দ করেন না সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। এ কারণে তিনিও নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

তবে সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়ন যাকে দেওয়া হবে, আমি তার সঙ্গেই কাজ করব।’ নীরব ভূমিকা পালন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু চূড়ান্ত মনোনয়ন হয়নি, সে কারণে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে ধানের শীষের ভোট চাচ্ছি।’

এদিকে জামায়াত আরও তিন মাস আগে তাদের একক প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের নাম ঘোষণা করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে অংশ নিলেও এবারই প্রথম তারা এককভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।

বগুড়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণই বিচার-বিবেচনা করে ভোট দেবেন।’

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজী রফিকুল ইসলাম মাঠে কাজ শুরু করার পরপরই গত শনিবার তাঁর বিপক্ষে বিএনপির একটি অংশ মাঠে নামে। সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজী রফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে তাঁকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির প্রার্থী হতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এবার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা না হওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ। এ কারণে সোনাতলা উপজেলা বিএনপিও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আহসানুল তৈয়ব জাকির নীরব থাকলেও সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক লিপন কাজী রফিকুল ইসলামের পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।

আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি।’

প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। দলের নির্দেশ সব সময় মেনে চলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সি’ গ্রেডের গভর্নর খেতাব পেলেন ড. আহসান মনসুর

বাসে আগুন দেওয়ার সময় ‘বিশেষ জেলার’ একজন গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার

গুলশান থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত লাশটি পটুয়াখালীর ছাত্রদল নেতার

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির সুযোগ নেই, প্রজ্ঞাপন হতে পারে: সালাহউদ্দিন

সংবিধান মতেই সব হলে নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে: হামিদুর রহমান আযাদ

এলাকার খবর
Loading...