
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাত্র এক সপ্তাহেই অনেক কিছু ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ব্যাপক সহিংসতা, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং শনিবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ। নির্বাচন কবে হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত।
গতকাল শনিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র বিক্ষোভের মুখেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি ‘অনেক মানুষ হত্যা করা’ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং দলটি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। দেশে হিন্দুদের ওপর যেসব আক্রমণ হয়েছে, সেগুলো কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এগুলো ঘটানো কোনো ‘পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডার’ অংশ নয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো চরমপন্থীদের সংযোগ ছিল না।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাবেক শাসনামলের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এই শাসনামলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছিল। তিনি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ ছিলেন না এবং সে কারণেই দাবিটি খুব বেশি ছিল।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত শাসনামলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
নির্বাচন কবে
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন, তখন সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশে আবার কবে নির্বাচন হবে।
এই সপ্তাহেই কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। বহুবিধ রোগের কারণে এই দেশে তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল না এবং আমরা তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিচার বিভাগ ও সরকারের কাছে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তা হয়নি...চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি এখন ভ্রমণের অবস্থায় নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে লড়বেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় লাগবে বলেও মানেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজেই রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বলেছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কোনো জবরদস্তি বা কিছু ছিল না। এটি ছিল একটি বিপ্লব। যখন লাখ লাখ মানুষের ভিড় হাসিনার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী তাঁকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল—হয় এখানে থেকে জনস্রোতের মুখোমুখি হন, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান। শেষ মুহূর্তে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ
এ বিষয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সুদৃঢ় থাকবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও সত্য নয়। আমাদের দেশ বা কোনো দেশে যখন কোনো পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কিছু লোক আছে, যারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি বিপ্লবের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মুসলিম কিংবা হিন্দু যা-ই হোন না কেন, কোনো বাছবিচার না করেই রোষের শিকার হন। কিন্তু এটি মোটেও রাজনৈতিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ দেশে অসাধারণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা তাঁর সরকারের ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্মূল করা হবে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের পরিকল্পিত হত্যা বা জোরপূর্বক গুম করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মামলাগুলো তদন্ত করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে বলেও বিশ্বাস করেন না বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে যে তারাই দেশের ত্রাণকর্তা। তাই আমি মনে করি না, তারা এমন কিছু করবে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে।’
চরমপন্থী সংযোগ?
মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেশে সহিংসতা অনেকাংশে কমে গেছে এবং হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কোনো চরমপন্থী উপাদান জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘জামায়াত (জামায়াতে ইসলামী) চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয়। তবে বাংলাদেশে কিছু চরমপন্থী দল ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি না যে এখন তাদের অস্তিত্ব আছে। চরমপন্থীরা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অসাধারণ মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।
সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।
গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।
সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।
গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গোপনে দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, নির্বাচন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ আগস্ট ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে