মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
মহাজোটের সমঝোতায় বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে নিজেদের প্রার্থী বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে সমঝোতা হলেও স্বতন্ত্র এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাপার প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। এর কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্বকে দায়ী করছেন নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম খালেদ হোসেন স্বপন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। শেষ দিনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে আওয়ামী লীগে হতাশা দেখা দেয়।
১৫ ডিসেম্বর বিকেলে আসন সমঝোতায় আওয়ামী লীগ বরিশাল-৩ আসনে রাশেদ খান মেননকে চূড়ান্ত করেন। ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রাশেদ খান মেননকে বরিশাল-২ আসন দিলে মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগে কিছুটা স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার ফলে এই আসনটি বর্তমান এমপি গোলাম কিবরিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, আসনটি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে থাকছেন। পাশাপাশি মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. আমিনুল হক কবীরও প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী এই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি শেখ মো. টিপু সুলতানও হাতুড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বরিশাল-৩ আসন জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। এতে নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনেও গোলাম কিবরিয়া টিপু আওয়ামী লীগের সমর্থন ও ভোটে এমপি হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগকে অবমূল্যায়ন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন। মুলাদী উপজেলায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করেননি কিংবা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সুবিধা দেননি তিনি। তাই এ বছর তাঁর পক্ষে কোনো নেতা-কর্মী নির্বাচনী কাজ করবেন কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র শফিক উজ্জামান রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমন্বয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছাড়া তৃণমূল আওয়ামী লীগ কারও পক্ষে কাজ করবে না।’
তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু চ্যালেঞ্জের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুলাদী উপজেলার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং যতটা সম্ভব উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। স্বতন্ত্র এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ মানুষ লাঙ্গল প্রতীককেই বিজয়ী করবে।’
মহাজোটের সমঝোতায় বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে নিজেদের প্রার্থী বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
তবে সমঝোতা হলেও স্বতন্ত্র এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাপার প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। এর কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্বকে দায়ী করছেন নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম খালেদ হোসেন স্বপন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। শেষ দিনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে আওয়ামী লীগে হতাশা দেখা দেয়।
১৫ ডিসেম্বর বিকেলে আসন সমঝোতায় আওয়ামী লীগ বরিশাল-৩ আসনে রাশেদ খান মেননকে চূড়ান্ত করেন। ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রাশেদ খান মেননকে বরিশাল-২ আসন দিলে মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগে কিছুটা স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার ফলে এই আসনটি বর্তমান এমপি গোলাম কিবরিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, আসনটি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে থাকছেন। পাশাপাশি মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. আমিনুল হক কবীরও প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী এই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি শেখ মো. টিপু সুলতানও হাতুড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বরিশাল-৩ আসন জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। এতে নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। এ ছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনেও গোলাম কিবরিয়া টিপু আওয়ামী লীগের সমর্থন ও ভোটে এমপি হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগকে অবমূল্যায়ন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন। মুলাদী উপজেলায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করেননি কিংবা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সুবিধা দেননি তিনি। তাই এ বছর তাঁর পক্ষে কোনো নেতা-কর্মী নির্বাচনী কাজ করবেন কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র শফিক উজ্জামান রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমন্বয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছাড়া তৃণমূল আওয়ামী লীগ কারও পক্ষে কাজ করবে না।’
তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু চ্যালেঞ্জের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুলাদী উপজেলার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং যতটা সম্ভব উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। স্বতন্ত্র এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ মানুষ লাঙ্গল প্রতীককেই বিজয়ী করবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
২০ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
২১ ঘণ্টা আগে