আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কিছুদিন আগে বঙ্গভবন এলাকায় বিক্ষোভ, অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্কসহ সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার জন্য আজ বুধবার রাজধানীতে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সভায় সমন্বয় বাড়াতে তিন ধরনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, এ সপ্তাহের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ২০ থেকে ২২ সদস্যের হবে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা থাকবেন। দ্বিতীয়ত, একটি অর্গানাইজিং (সাংগঠনিক) টিম থাকবে। এই টিম একাধিক সেলে বিভক্ত থাকবে এবং সেল অনুযায়ী কাজ করবে। এই অর্গানাইজিং টিম এ মাসের মধ্যে গঠন করার জন্য বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে অর্গানোগ্রাম দেওয়া হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির, সেটি এই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি; পাশাপাশি ঢাকায় শহীদদের পরিবারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, রিফাত রশীদ, আরিফ সোহেল, ওমামা ফাতেমা, আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে আবদুল হান্নান বলেন, অতিদ্রুত একটা নির্বাহী কমিটি করা হবে। কয়েকটি সেল করা হবে, যাতে মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়। একটা সাংগঠনিক কমিটি হবে, যারা সংগঠন ঠিক করবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকলে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সরকারের বাইরের অংশের সঙ্গে কী হচ্ছে, সেটা আলাপের বিষয় নয়। তাঁদের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে একটা রূপরেখা দেওয়া হবে।’
আরিফ সোহেল বলেন, তাঁদের সভায় নীতিনির্ধারণী ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয় নিয়ে তাঁরা মাঠে আছেন, সে বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে এগোবেন, সেটা আলোচনা হয়েছে। কমিটি কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আরিফ সোহেল বলেন, কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হচ্ছে, সেটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দলীয় সরকার ও সংসদীয় সরকার নেই, তাই সে আলোচনা করে নিয়োগের সুযোগ নেই। তাই কীভাবে নিয়োগ হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মতামত নিতে হবে।
তবে এর আগে দেওয়া তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সভা সূত্রে জানা যায়, অনেক সমন্বয়ক এই দাবি সম্পর্কে জানতেন না। বাহাত্তরের সংবিধানকে অনতিবিলম্বে বাতিল করে সেই জায়গায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লেখার বিষয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে আলোচনায় পাঁচ দফা থেকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে কথা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাজ কী, তা নিয়ে একজন নারী সহসমন্বয়ক প্রশ্ন তুলে বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কী করছে। সেটার একটা জবাবদিহি লাগবে। বৈষম্যবিরোধীরা কি সরকারকে সমর্থন করে, সেটা বলতে হবে; নাকি একটা অংশ আছে, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে আবার তারা ছাত্র হয়ে যাবে। আগে যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে রাস্তায় দাঁড়াতেন, সেভাবে রাস্তায় থাকি। না হলে জনগণ এসে গালি দিচ্ছে তাদের, যে উপদেষ্টা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কেউ জানছে না।
আরেকজন সহসমন্বয়ক বলেন, সরকারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী, সেটা জানানো। তারা যে দায়িত্ব নিয়েছে, সেখানে জনগণ কী চায়, সেটা দেখতে হবে।
একজন সহসমন্বয়ক কমিটির কাজ কী জানতে চেয়ে বলেন, তাদের যে জেলা কমিটি হচ্ছে, সেই জেলা কমিটির কাজ কী হবে। আগের সরকার ভুলত্রুটি ধরলে নিত না। জনগণ কী বলে, তা দেখতে হবে। জনগণের রায় দেখতে হবে। তারা বেশি না কম করছে, সেটাও দেখতে হবে।
সভায় সহসমন্বয়কের প্রশ্নে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, উপদেষ্টা যাঁদের করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন ছাড়া কেউ কথা বলেন না। মানুষের কাছে জবাবদিহি দেওয়া হচ্ছে না। উপদেষ্টারা কী কাজ করছেন, সেটা কারও কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হচ্ছে দ্বান্দ্বিক। সরকারের ভালো কাজগুলোতে সাহায্য করবে। আগে যেমন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল, তাঁরা সেটা চাচ্ছেন না। তাঁরা একটা পরিবর্তন চাচ্ছেন। সরকারের যে ভুল সিদ্ধান্ত, সেটার প্রতিবাদ জানানো তাঁদের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্যের দাম কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা তাঁদের দায়িত্ব। সব দায়িত্ব তাঁরা পালন করতে পারবেন না বলেই সরকার হয়েছে। এখন তারাও যদি সেই দায়িত্ব পালন না করে, তবে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। উপদেষ্টারা কে কী দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা সবার কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
নিজেদের ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে হান্নান বলেন, যে কাজ তিন মাস আগে করার কথা ছিল, তা তিন মাস পরে হয়েছে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। এই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বসিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক কিছুতে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক করতে হবে।
হান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর জানার পর একটা মব তৈরি হয়েছে। তখন সেনাপ্রধান দেশে নেই। ওখানে যদি কোনো ডিজাস্টার হয়, তখন কে দেখত। পরে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ তাঁরা কিছু দাবি দেন। তাঁরা ভাবেননি যে এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দেবে এবং বিরোধিতা করবে। এটা তাঁদের ভাবা উচিত ছিল। অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হলেও একটা বড় দল রাজি হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মোবাশ্বের বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন বলে একাধিক সূত্র জানায়। মোবাশ্বের বলেন, তাঁরা ‘কোনো বুঝ’ নিতে বৈঠকে বসেননি, তাঁরা সুস্পষ্ট উত্তর নিতে এসেছেন। একটা বুঝ দিলেই তাঁরা চলে যাবেন—এখন আর সেই সময় নেই। তাঁদেরকে এখন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে। সেটা তাঁদের জন্য এবং তাঁদের ব্যানারের জন্য দুঃখজনক। এই সভার বক্তব্য যেন উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আর উপদেষ্টা পরিষদে বসে আওয়ামী লীগ।
মোবাশ্বের আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করতে কতক্ষণ। বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে তাঁদের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক, তাহলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানে কি না। যদি মানে, তাহলে সেইভাবে ঘোষণা করা উচিত। না মানলে আবার তারা মাঠে নামবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আর এটাকে বিতর্কিত করলে গণ-অভ্যুত্থানের যে লেজিটিম্যাসি, সেটাকেও বিতর্কিত করা হবে। তাঁরা ক্রিটিক্যাল হচ্ছেন। ক্রিটিক্যাল হলেই প্রগেস আসে। তাঁরা সিট দখল করছেন না, কাউকে আন্দোলনে আসতে বাধ্য করছেন না, কেউ ক্যানটিনে বাকি খাচ্ছেন না। এই সভায় যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউ এটা করছেন না। তাঁদের পরিচয় ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। তাঁদেরকে তাঁদের ব্যানারটা ওন করতে হবে। ক্রাইসিস সময়ে কীভাবে ডিল করতে হয়, সেটা আলোচনা করতে হবে ৷ আন্দোলনের আগে তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তাঁদেরকে সাসটেইন করতে হলে ভিজিবল হতে হবে। তাঁদের হাইড অ্যান্ড সিক থাকা যাবে না।’
হাসনাত আরো বলেন, ‘আমলাতন্ত্র ও পুলিশ ঐতিহ্যগতভাবে চায়, তাদের পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকুক। তবে তারা তো পাওয়ার প্র্যাকটিস করছে না। তাঁদের মধ্যে অনেকে মন্ত্রণালয়ে যান, ডিজি-উপদেষ্টাদের সঙ্গে আসেন, কী করতে হবে। কাউকে প্রভাবিত করা আমরা নিরুৎসাহিত করি। তাই অনেকে তাঁদের মধ্যে পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁদের সঙ্গে মিলতে চাচ্ছেন।’

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কিছুদিন আগে বঙ্গভবন এলাকায় বিক্ষোভ, অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্কসহ সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার জন্য আজ বুধবার রাজধানীতে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সভায় সমন্বয় বাড়াতে তিন ধরনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, এ সপ্তাহের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ২০ থেকে ২২ সদস্যের হবে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা থাকবেন। দ্বিতীয়ত, একটি অর্গানাইজিং (সাংগঠনিক) টিম থাকবে। এই টিম একাধিক সেলে বিভক্ত থাকবে এবং সেল অনুযায়ী কাজ করবে। এই অর্গানাইজিং টিম এ মাসের মধ্যে গঠন করার জন্য বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে অর্গানোগ্রাম দেওয়া হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির, সেটি এই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি; পাশাপাশি ঢাকায় শহীদদের পরিবারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, রিফাত রশীদ, আরিফ সোহেল, ওমামা ফাতেমা, আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে আবদুল হান্নান বলেন, অতিদ্রুত একটা নির্বাহী কমিটি করা হবে। কয়েকটি সেল করা হবে, যাতে মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়। একটা সাংগঠনিক কমিটি হবে, যারা সংগঠন ঠিক করবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকলে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সরকারের বাইরের অংশের সঙ্গে কী হচ্ছে, সেটা আলাপের বিষয় নয়। তাঁদের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে একটা রূপরেখা দেওয়া হবে।’
আরিফ সোহেল বলেন, তাঁদের সভায় নীতিনির্ধারণী ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয় নিয়ে তাঁরা মাঠে আছেন, সে বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে এগোবেন, সেটা আলোচনা হয়েছে। কমিটি কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আরিফ সোহেল বলেন, কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হচ্ছে, সেটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দলীয় সরকার ও সংসদীয় সরকার নেই, তাই সে আলোচনা করে নিয়োগের সুযোগ নেই। তাই কীভাবে নিয়োগ হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মতামত নিতে হবে।
তবে এর আগে দেওয়া তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সভা সূত্রে জানা যায়, অনেক সমন্বয়ক এই দাবি সম্পর্কে জানতেন না। বাহাত্তরের সংবিধানকে অনতিবিলম্বে বাতিল করে সেই জায়গায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লেখার বিষয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে আলোচনায় পাঁচ দফা থেকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে কথা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাজ কী, তা নিয়ে একজন নারী সহসমন্বয়ক প্রশ্ন তুলে বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কী করছে। সেটার একটা জবাবদিহি লাগবে। বৈষম্যবিরোধীরা কি সরকারকে সমর্থন করে, সেটা বলতে হবে; নাকি একটা অংশ আছে, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে আবার তারা ছাত্র হয়ে যাবে। আগে যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে রাস্তায় দাঁড়াতেন, সেভাবে রাস্তায় থাকি। না হলে জনগণ এসে গালি দিচ্ছে তাদের, যে উপদেষ্টা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কেউ জানছে না।
আরেকজন সহসমন্বয়ক বলেন, সরকারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী, সেটা জানানো। তারা যে দায়িত্ব নিয়েছে, সেখানে জনগণ কী চায়, সেটা দেখতে হবে।
একজন সহসমন্বয়ক কমিটির কাজ কী জানতে চেয়ে বলেন, তাদের যে জেলা কমিটি হচ্ছে, সেই জেলা কমিটির কাজ কী হবে। আগের সরকার ভুলত্রুটি ধরলে নিত না। জনগণ কী বলে, তা দেখতে হবে। জনগণের রায় দেখতে হবে। তারা বেশি না কম করছে, সেটাও দেখতে হবে।
সভায় সহসমন্বয়কের প্রশ্নে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, উপদেষ্টা যাঁদের করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন ছাড়া কেউ কথা বলেন না। মানুষের কাছে জবাবদিহি দেওয়া হচ্ছে না। উপদেষ্টারা কী কাজ করছেন, সেটা কারও কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হচ্ছে দ্বান্দ্বিক। সরকারের ভালো কাজগুলোতে সাহায্য করবে। আগে যেমন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল, তাঁরা সেটা চাচ্ছেন না। তাঁরা একটা পরিবর্তন চাচ্ছেন। সরকারের যে ভুল সিদ্ধান্ত, সেটার প্রতিবাদ জানানো তাঁদের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্যের দাম কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা তাঁদের দায়িত্ব। সব দায়িত্ব তাঁরা পালন করতে পারবেন না বলেই সরকার হয়েছে। এখন তারাও যদি সেই দায়িত্ব পালন না করে, তবে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। উপদেষ্টারা কে কী দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা সবার কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
নিজেদের ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে হান্নান বলেন, যে কাজ তিন মাস আগে করার কথা ছিল, তা তিন মাস পরে হয়েছে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। এই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বসিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক কিছুতে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক করতে হবে।
হান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর জানার পর একটা মব তৈরি হয়েছে। তখন সেনাপ্রধান দেশে নেই। ওখানে যদি কোনো ডিজাস্টার হয়, তখন কে দেখত। পরে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ তাঁরা কিছু দাবি দেন। তাঁরা ভাবেননি যে এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দেবে এবং বিরোধিতা করবে। এটা তাঁদের ভাবা উচিত ছিল। অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হলেও একটা বড় দল রাজি হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মোবাশ্বের বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন বলে একাধিক সূত্র জানায়। মোবাশ্বের বলেন, তাঁরা ‘কোনো বুঝ’ নিতে বৈঠকে বসেননি, তাঁরা সুস্পষ্ট উত্তর নিতে এসেছেন। একটা বুঝ দিলেই তাঁরা চলে যাবেন—এখন আর সেই সময় নেই। তাঁদেরকে এখন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে। সেটা তাঁদের জন্য এবং তাঁদের ব্যানারের জন্য দুঃখজনক। এই সভার বক্তব্য যেন উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আর উপদেষ্টা পরিষদে বসে আওয়ামী লীগ।
মোবাশ্বের আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করতে কতক্ষণ। বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে তাঁদের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক, তাহলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানে কি না। যদি মানে, তাহলে সেইভাবে ঘোষণা করা উচিত। না মানলে আবার তারা মাঠে নামবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আর এটাকে বিতর্কিত করলে গণ-অভ্যুত্থানের যে লেজিটিম্যাসি, সেটাকেও বিতর্কিত করা হবে। তাঁরা ক্রিটিক্যাল হচ্ছেন। ক্রিটিক্যাল হলেই প্রগেস আসে। তাঁরা সিট দখল করছেন না, কাউকে আন্দোলনে আসতে বাধ্য করছেন না, কেউ ক্যানটিনে বাকি খাচ্ছেন না। এই সভায় যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউ এটা করছেন না। তাঁদের পরিচয় ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। তাঁদেরকে তাঁদের ব্যানারটা ওন করতে হবে। ক্রাইসিস সময়ে কীভাবে ডিল করতে হয়, সেটা আলোচনা করতে হবে ৷ আন্দোলনের আগে তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তাঁদেরকে সাসটেইন করতে হলে ভিজিবল হতে হবে। তাঁদের হাইড অ্যান্ড সিক থাকা যাবে না।’
হাসনাত আরো বলেন, ‘আমলাতন্ত্র ও পুলিশ ঐতিহ্যগতভাবে চায়, তাদের পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকুক। তবে তারা তো পাওয়ার প্র্যাকটিস করছে না। তাঁদের মধ্যে অনেকে মন্ত্রণালয়ে যান, ডিজি-উপদেষ্টাদের সঙ্গে আসেন, কী করতে হবে। কাউকে প্রভাবিত করা আমরা নিরুৎসাহিত করি। তাই অনেকে তাঁদের মধ্যে পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁদের সঙ্গে মিলতে চাচ্ছেন।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কিছুদিন আগে বঙ্গভবন এলাকায় বিক্ষোভ, অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্কসহ সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার জন্য আজ বুধবার রাজধানীতে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সভায় সমন্বয় বাড়াতে তিন ধরনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, এ সপ্তাহের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ২০ থেকে ২২ সদস্যের হবে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা থাকবেন। দ্বিতীয়ত, একটি অর্গানাইজিং (সাংগঠনিক) টিম থাকবে। এই টিম একাধিক সেলে বিভক্ত থাকবে এবং সেল অনুযায়ী কাজ করবে। এই অর্গানাইজিং টিম এ মাসের মধ্যে গঠন করার জন্য বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে অর্গানোগ্রাম দেওয়া হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির, সেটি এই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি; পাশাপাশি ঢাকায় শহীদদের পরিবারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, রিফাত রশীদ, আরিফ সোহেল, ওমামা ফাতেমা, আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে আবদুল হান্নান বলেন, অতিদ্রুত একটা নির্বাহী কমিটি করা হবে। কয়েকটি সেল করা হবে, যাতে মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়। একটা সাংগঠনিক কমিটি হবে, যারা সংগঠন ঠিক করবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকলে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সরকারের বাইরের অংশের সঙ্গে কী হচ্ছে, সেটা আলাপের বিষয় নয়। তাঁদের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে একটা রূপরেখা দেওয়া হবে।’
আরিফ সোহেল বলেন, তাঁদের সভায় নীতিনির্ধারণী ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয় নিয়ে তাঁরা মাঠে আছেন, সে বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে এগোবেন, সেটা আলোচনা হয়েছে। কমিটি কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আরিফ সোহেল বলেন, কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হচ্ছে, সেটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দলীয় সরকার ও সংসদীয় সরকার নেই, তাই সে আলোচনা করে নিয়োগের সুযোগ নেই। তাই কীভাবে নিয়োগ হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মতামত নিতে হবে।
তবে এর আগে দেওয়া তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সভা সূত্রে জানা যায়, অনেক সমন্বয়ক এই দাবি সম্পর্কে জানতেন না। বাহাত্তরের সংবিধানকে অনতিবিলম্বে বাতিল করে সেই জায়গায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লেখার বিষয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে আলোচনায় পাঁচ দফা থেকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে কথা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাজ কী, তা নিয়ে একজন নারী সহসমন্বয়ক প্রশ্ন তুলে বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কী করছে। সেটার একটা জবাবদিহি লাগবে। বৈষম্যবিরোধীরা কি সরকারকে সমর্থন করে, সেটা বলতে হবে; নাকি একটা অংশ আছে, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে আবার তারা ছাত্র হয়ে যাবে। আগে যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে রাস্তায় দাঁড়াতেন, সেভাবে রাস্তায় থাকি। না হলে জনগণ এসে গালি দিচ্ছে তাদের, যে উপদেষ্টা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কেউ জানছে না।
আরেকজন সহসমন্বয়ক বলেন, সরকারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী, সেটা জানানো। তারা যে দায়িত্ব নিয়েছে, সেখানে জনগণ কী চায়, সেটা দেখতে হবে।
একজন সহসমন্বয়ক কমিটির কাজ কী জানতে চেয়ে বলেন, তাদের যে জেলা কমিটি হচ্ছে, সেই জেলা কমিটির কাজ কী হবে। আগের সরকার ভুলত্রুটি ধরলে নিত না। জনগণ কী বলে, তা দেখতে হবে। জনগণের রায় দেখতে হবে। তারা বেশি না কম করছে, সেটাও দেখতে হবে।
সভায় সহসমন্বয়কের প্রশ্নে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, উপদেষ্টা যাঁদের করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন ছাড়া কেউ কথা বলেন না। মানুষের কাছে জবাবদিহি দেওয়া হচ্ছে না। উপদেষ্টারা কী কাজ করছেন, সেটা কারও কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হচ্ছে দ্বান্দ্বিক। সরকারের ভালো কাজগুলোতে সাহায্য করবে। আগে যেমন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল, তাঁরা সেটা চাচ্ছেন না। তাঁরা একটা পরিবর্তন চাচ্ছেন। সরকারের যে ভুল সিদ্ধান্ত, সেটার প্রতিবাদ জানানো তাঁদের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্যের দাম কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা তাঁদের দায়িত্ব। সব দায়িত্ব তাঁরা পালন করতে পারবেন না বলেই সরকার হয়েছে। এখন তারাও যদি সেই দায়িত্ব পালন না করে, তবে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। উপদেষ্টারা কে কী দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা সবার কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
নিজেদের ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে হান্নান বলেন, যে কাজ তিন মাস আগে করার কথা ছিল, তা তিন মাস পরে হয়েছে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। এই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বসিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক কিছুতে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক করতে হবে।
হান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর জানার পর একটা মব তৈরি হয়েছে। তখন সেনাপ্রধান দেশে নেই। ওখানে যদি কোনো ডিজাস্টার হয়, তখন কে দেখত। পরে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ তাঁরা কিছু দাবি দেন। তাঁরা ভাবেননি যে এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দেবে এবং বিরোধিতা করবে। এটা তাঁদের ভাবা উচিত ছিল। অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হলেও একটা বড় দল রাজি হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মোবাশ্বের বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন বলে একাধিক সূত্র জানায়। মোবাশ্বের বলেন, তাঁরা ‘কোনো বুঝ’ নিতে বৈঠকে বসেননি, তাঁরা সুস্পষ্ট উত্তর নিতে এসেছেন। একটা বুঝ দিলেই তাঁরা চলে যাবেন—এখন আর সেই সময় নেই। তাঁদেরকে এখন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে। সেটা তাঁদের জন্য এবং তাঁদের ব্যানারের জন্য দুঃখজনক। এই সভার বক্তব্য যেন উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আর উপদেষ্টা পরিষদে বসে আওয়ামী লীগ।
মোবাশ্বের আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করতে কতক্ষণ। বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে তাঁদের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক, তাহলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানে কি না। যদি মানে, তাহলে সেইভাবে ঘোষণা করা উচিত। না মানলে আবার তারা মাঠে নামবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আর এটাকে বিতর্কিত করলে গণ-অভ্যুত্থানের যে লেজিটিম্যাসি, সেটাকেও বিতর্কিত করা হবে। তাঁরা ক্রিটিক্যাল হচ্ছেন। ক্রিটিক্যাল হলেই প্রগেস আসে। তাঁরা সিট দখল করছেন না, কাউকে আন্দোলনে আসতে বাধ্য করছেন না, কেউ ক্যানটিনে বাকি খাচ্ছেন না। এই সভায় যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউ এটা করছেন না। তাঁদের পরিচয় ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। তাঁদেরকে তাঁদের ব্যানারটা ওন করতে হবে। ক্রাইসিস সময়ে কীভাবে ডিল করতে হয়, সেটা আলোচনা করতে হবে ৷ আন্দোলনের আগে তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তাঁদেরকে সাসটেইন করতে হলে ভিজিবল হতে হবে। তাঁদের হাইড অ্যান্ড সিক থাকা যাবে না।’
হাসনাত আরো বলেন, ‘আমলাতন্ত্র ও পুলিশ ঐতিহ্যগতভাবে চায়, তাদের পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকুক। তবে তারা তো পাওয়ার প্র্যাকটিস করছে না। তাঁদের মধ্যে অনেকে মন্ত্রণালয়ে যান, ডিজি-উপদেষ্টাদের সঙ্গে আসেন, কী করতে হবে। কাউকে প্রভাবিত করা আমরা নিরুৎসাহিত করি। তাই অনেকে তাঁদের মধ্যে পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁদের সঙ্গে মিলতে চাচ্ছেন।’

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কিছুদিন আগে বঙ্গভবন এলাকায় বিক্ষোভ, অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্কসহ সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার জন্য আজ বুধবার রাজধানীতে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সভায় সমন্বয় বাড়াতে তিন ধরনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, এ সপ্তাহের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি ২০ থেকে ২২ সদস্যের হবে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা থাকবেন। দ্বিতীয়ত, একটি অর্গানাইজিং (সাংগঠনিক) টিম থাকবে। এই টিম একাধিক সেলে বিভক্ত থাকবে এবং সেল অনুযায়ী কাজ করবে। এই অর্গানাইজিং টিম এ মাসের মধ্যে গঠন করার জন্য বলা হয়েছে। তৃতীয়ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে অর্গানোগ্রাম দেওয়া হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির, সেটি এই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি; পাশাপাশি ঢাকায় শহীদদের পরিবারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, রিফাত রশীদ, আরিফ সোহেল, ওমামা ফাতেমা, আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে আবদুল হান্নান বলেন, অতিদ্রুত একটা নির্বাহী কমিটি করা হবে। কয়েকটি সেল করা হবে, যাতে মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়। একটা সাংগঠনিক কমিটি হবে, যারা সংগঠন ঠিক করবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা থাকলে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সরকারের বাইরের অংশের সঙ্গে কী হচ্ছে, সেটা আলাপের বিষয় নয়। তাঁদের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে একটা রূপরেখা দেওয়া হবে।’
আরিফ সোহেল বলেন, তাঁদের সভায় নীতিনির্ধারণী ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয় নিয়ে তাঁরা মাঠে আছেন, সে বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে এগোবেন, সেটা আলোচনা হয়েছে। কমিটি কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আরিফ সোহেল বলেন, কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হচ্ছে, সেটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দলীয় সরকার ও সংসদীয় সরকার নেই, তাই সে আলোচনা করে নিয়োগের সুযোগ নেই। তাই কীভাবে নিয়োগ হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মতামত নিতে হবে।
তবে এর আগে দেওয়া তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সভা সূত্রে জানা যায়, অনেক সমন্বয়ক এই দাবি সম্পর্কে জানতেন না। বাহাত্তরের সংবিধানকে অনতিবিলম্বে বাতিল করে সেই জায়গায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লেখার বিষয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে আলোচনায় পাঁচ দফা থেকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে কথা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাজ কী, তা নিয়ে একজন নারী সহসমন্বয়ক প্রশ্ন তুলে বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কী করছে। সেটার একটা জবাবদিহি লাগবে। বৈষম্যবিরোধীরা কি সরকারকে সমর্থন করে, সেটা বলতে হবে; নাকি একটা অংশ আছে, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে আবার তারা ছাত্র হয়ে যাবে। আগে যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে রাস্তায় দাঁড়াতেন, সেভাবে রাস্তায় থাকি। না হলে জনগণ এসে গালি দিচ্ছে তাদের, যে উপদেষ্টা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কেউ জানছে না।
আরেকজন সহসমন্বয়ক বলেন, সরকারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী, সেটা জানানো। তারা যে দায়িত্ব নিয়েছে, সেখানে জনগণ কী চায়, সেটা দেখতে হবে।
একজন সহসমন্বয়ক কমিটির কাজ কী জানতে চেয়ে বলেন, তাদের যে জেলা কমিটি হচ্ছে, সেই জেলা কমিটির কাজ কী হবে। আগের সরকার ভুলত্রুটি ধরলে নিত না। জনগণ কী বলে, তা দেখতে হবে। জনগণের রায় দেখতে হবে। তারা বেশি না কম করছে, সেটাও দেখতে হবে।
সভায় সহসমন্বয়কের প্রশ্নে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, উপদেষ্টা যাঁদের করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন ছাড়া কেউ কথা বলেন না। মানুষের কাছে জবাবদিহি দেওয়া হচ্ছে না। উপদেষ্টারা কী কাজ করছেন, সেটা কারও কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হচ্ছে দ্বান্দ্বিক। সরকারের ভালো কাজগুলোতে সাহায্য করবে। আগে যেমন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল, তাঁরা সেটা চাচ্ছেন না। তাঁরা একটা পরিবর্তন চাচ্ছেন। সরকারের যে ভুল সিদ্ধান্ত, সেটার প্রতিবাদ জানানো তাঁদের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্যের দাম কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা তাঁদের দায়িত্ব। সব দায়িত্ব তাঁরা পালন করতে পারবেন না বলেই সরকার হয়েছে। এখন তারাও যদি সেই দায়িত্ব পালন না করে, তবে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে। উপদেষ্টারা কে কী দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা সবার কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
নিজেদের ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে হান্নান বলেন, যে কাজ তিন মাস আগে করার কথা ছিল, তা তিন মাস পরে হয়েছে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। এই সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বসিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক কিছুতে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক করতে হবে।
হান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর জানার পর একটা মব তৈরি হয়েছে। তখন সেনাপ্রধান দেশে নেই। ওখানে যদি কোনো ডিজাস্টার হয়, তখন কে দেখত। পরে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ তাঁরা কিছু দাবি দেন। তাঁরা ভাবেননি যে এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দেবে এবং বিরোধিতা করবে। এটা তাঁদের ভাবা উচিত ছিল। অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হলেও একটা বড় দল রাজি হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মোবাশ্বের বৈঠকে ক্ষোভ ঝাড়েন বলে একাধিক সূত্র জানায়। মোবাশ্বের বলেন, তাঁরা ‘কোনো বুঝ’ নিতে বৈঠকে বসেননি, তাঁরা সুস্পষ্ট উত্তর নিতে এসেছেন। একটা বুঝ দিলেই তাঁরা চলে যাবেন—এখন আর সেই সময় নেই। তাঁদেরকে এখন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে। সেটা তাঁদের জন্য এবং তাঁদের ব্যানারের জন্য দুঃখজনক। এই সভার বক্তব্য যেন উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আর উপদেষ্টা পরিষদে বসে আওয়ামী লীগ।
মোবাশ্বের আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করতে কতক্ষণ। বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে তাঁদের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক, তাহলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানে কি না। যদি মানে, তাহলে সেইভাবে ঘোষণা করা উচিত। না মানলে আবার তারা মাঠে নামবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আর এটাকে বিতর্কিত করলে গণ-অভ্যুত্থানের যে লেজিটিম্যাসি, সেটাকেও বিতর্কিত করা হবে। তাঁরা ক্রিটিক্যাল হচ্ছেন। ক্রিটিক্যাল হলেই প্রগেস আসে। তাঁরা সিট দখল করছেন না, কাউকে আন্দোলনে আসতে বাধ্য করছেন না, কেউ ক্যানটিনে বাকি খাচ্ছেন না। এই সভায় যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউ এটা করছেন না। তাঁদের পরিচয় ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। তাঁদেরকে তাঁদের ব্যানারটা ওন করতে হবে। ক্রাইসিস সময়ে কীভাবে ডিল করতে হয়, সেটা আলোচনা করতে হবে ৷ আন্দোলনের আগে তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তাঁদেরকে সাসটেইন করতে হলে ভিজিবল হতে হবে। তাঁদের হাইড অ্যান্ড সিক থাকা যাবে না।’
হাসনাত আরো বলেন, ‘আমলাতন্ত্র ও পুলিশ ঐতিহ্যগতভাবে চায়, তাদের পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকুক। তবে তারা তো পাওয়ার প্র্যাকটিস করছে না। তাঁদের মধ্যে অনেকে মন্ত্রণালয়ে যান, ডিজি-উপদেষ্টাদের সঙ্গে আসেন, কী করতে হবে। কাউকে প্রভাবিত করা আমরা নিরুৎসাহিত করি। তাই অনেকে তাঁদের মধ্যে পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁদের সঙ্গে মিলতে চাচ্ছেন।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।
সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।
গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।
সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।
গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
১৪ নভেম্বর ২০২৪
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
১৪ নভেম্বর ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
১৪ নভেম্বর ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
৫ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

ওই সভায় ১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৮ জন। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের অনেকে নানা বিষয়ে সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
১৪ নভেম্বর ২০২৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজকে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
৩ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
৩ ঘণ্টা আগে