সম্পাদকীয়
বাগছাস নেতা এসে স্কুলের ফেল করা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে যাচ্ছেন—এটাকে কি রূপকথার গল্প বলে মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে কারও অলীক কল্পনা? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন। একজন ছাত্র একটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন এবং সেই ক্ষমতাবলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন—এ ঘটনা আমাদের অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি করে।
শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার এক অশুভ ঐতিহ্য আমাদের মতো দেশগুলোয় রয়েছে। শিক্ষকেরাও মনে করেন, শাসন না করলে শিক্ষার্থী মানুষ হবে না। একধরনের আধিপত্যবাদের প্রকাশ ঘটে এ ধরনের আচরণে। অনেকে ছাত্রজীবনে লাঠিপেটা খেয়েছেন বলে ছাত্রদের ওপর সেই অপমানের ঝাল মেটান। কিন্তু এই আচরণ দিয়ে তো একজন শিক্ষকের মনস্তত্ত্ব বোঝা গেল, কিন্তু স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক এ রকম একটি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন কেন? সেই সঙ্গে এ প্রসঙ্গটিও আনতে হবে সামনে—কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, তাঁরা ঘটনাটির মীমাংসা করে ফেলেছেন? এই তাঁরা কারা? যে শিক্ষার্থীদের তিনি পিটিয়েছেন, তাদের সঙ্গে যে মীমাংসা হয়নি, তা একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা জিডি থেকেই বোঝা যায়।
এখনো পড়াশোনা করছেন, এমন একজন ছাত্র কেন একটি স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হবেন? এই পদের জন্য কি যোগ্য, অভিজ্ঞ লোক আর নেই? কেন এ রকম একটি কমিটি করা হলো, সে প্রশ্নও তো এখানে উঠে আসে। আর স্কুলের কোনো ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করলে কোন ক্ষমতাবলে তিনি তাদের শরীরে হাত তুলতে পারেন? এ রকম আচরণকে আড়াল করার জন্য প্রধান শিক্ষক কেন মীমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, সে প্রশ্নও তো তোলা উচিত।
হতে পারে, ক্ষমতা আছে বলে ক্ষমতা প্রকাশের একটি নমুনা দেখিয়েছেন ইমতিয়াজ আহম্মদ। কিন্তু সেটা তো তাঁর নৃশংস স্বভাবের ইঙ্গিত দেয়। এমন একজন মানুষের হাতে একটি স্কুল কতটা নিরাপদ? প্রধান শিক্ষক কোন মীমাংসার কথা বলছেন? কৃতকর্মের জন্য কি ক্ষমা চেয়েছেন এই নেতা? যাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হলো, তারা কি ন্যায্য বিচার পেল? এ রকম অঘটন ভবিষ্যতে ঘটবে না, এই গ্যারান্টি কে দেবে? প্রধান শিক্ষক কি বারবার এ রকম ঘটনা ঘটতে থাকলে বারবারই ‘মীমাংসা’ করার কথা বলে যাবেন?
বড্ড বেদনাদায়ক সত্য হলো, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত শিক্ষকদের সামনে থেকে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁরা কেউ টুঁ শব্দটিও করেননি। কেন শিক্ষকেরা নীরব থাকেন, কেন প্রধান শিক্ষক বলেন মীমাংসা হয়ে গেছে, সেটা যদি জানা যায়, তাহলে হয়তো বেরিয়ে আসবে এই ছাত্রনেতা তথা স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়কের ক্ষমতার উৎস। তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।
বাগছাস নেতা এসে স্কুলের ফেল করা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে যাচ্ছেন—এটাকে কি রূপকথার গল্প বলে মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে কারও অলীক কল্পনা? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন। একজন ছাত্র একটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন এবং সেই ক্ষমতাবলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন—এ ঘটনা আমাদের অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি করে।
শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার এক অশুভ ঐতিহ্য আমাদের মতো দেশগুলোয় রয়েছে। শিক্ষকেরাও মনে করেন, শাসন না করলে শিক্ষার্থী মানুষ হবে না। একধরনের আধিপত্যবাদের প্রকাশ ঘটে এ ধরনের আচরণে। অনেকে ছাত্রজীবনে লাঠিপেটা খেয়েছেন বলে ছাত্রদের ওপর সেই অপমানের ঝাল মেটান। কিন্তু এই আচরণ দিয়ে তো একজন শিক্ষকের মনস্তত্ত্ব বোঝা গেল, কিন্তু স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক এ রকম একটি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন কেন? সেই সঙ্গে এ প্রসঙ্গটিও আনতে হবে সামনে—কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, তাঁরা ঘটনাটির মীমাংসা করে ফেলেছেন? এই তাঁরা কারা? যে শিক্ষার্থীদের তিনি পিটিয়েছেন, তাদের সঙ্গে যে মীমাংসা হয়নি, তা একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা জিডি থেকেই বোঝা যায়।
এখনো পড়াশোনা করছেন, এমন একজন ছাত্র কেন একটি স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হবেন? এই পদের জন্য কি যোগ্য, অভিজ্ঞ লোক আর নেই? কেন এ রকম একটি কমিটি করা হলো, সে প্রশ্নও তো এখানে উঠে আসে। আর স্কুলের কোনো ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করলে কোন ক্ষমতাবলে তিনি তাদের শরীরে হাত তুলতে পারেন? এ রকম আচরণকে আড়াল করার জন্য প্রধান শিক্ষক কেন মীমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, সে প্রশ্নও তো তোলা উচিত।
হতে পারে, ক্ষমতা আছে বলে ক্ষমতা প্রকাশের একটি নমুনা দেখিয়েছেন ইমতিয়াজ আহম্মদ। কিন্তু সেটা তো তাঁর নৃশংস স্বভাবের ইঙ্গিত দেয়। এমন একজন মানুষের হাতে একটি স্কুল কতটা নিরাপদ? প্রধান শিক্ষক কোন মীমাংসার কথা বলছেন? কৃতকর্মের জন্য কি ক্ষমা চেয়েছেন এই নেতা? যাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হলো, তারা কি ন্যায্য বিচার পেল? এ রকম অঘটন ভবিষ্যতে ঘটবে না, এই গ্যারান্টি কে দেবে? প্রধান শিক্ষক কি বারবার এ রকম ঘটনা ঘটতে থাকলে বারবারই ‘মীমাংসা’ করার কথা বলে যাবেন?
বড্ড বেদনাদায়ক সত্য হলো, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত শিক্ষকদের সামনে থেকে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁরা কেউ টুঁ শব্দটিও করেননি। কেন শিক্ষকেরা নীরব থাকেন, কেন প্রধান শিক্ষক বলেন মীমাংসা হয়ে গেছে, সেটা যদি জানা যায়, তাহলে হয়তো বেরিয়ে আসবে এই ছাত্রনেতা তথা স্কুলের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়কের ক্ষমতার উৎস। তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।
রাজনীতির মাঠে অশালীন শব্দ ব্যবহার করলে আর মিথ্যা কথা বললে জনপ্রিয়তা বাড়ে—এ রকম বক্তব্যসহ সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের লেখা একটি উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের আজকের পত্রিকায়। ব্যাপারটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভাইরাল নিউজ চোখে পড়ল। একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ক্লিনার বকশিশ চেয়ে না পেয়ে অসুস্থ শিশুর মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে ফেলেন। এতে সেই শিশুর একপর্যায়ে করুণ মৃত্যু হয়। এমন অভিযোগ শিশুর মায়ের।
২ ঘণ্টা আগেদেশের দু’টি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ—ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের অভাবনীয় উত্থান সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যে সংগঠনটি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে নিষিদ্ধ ছিল, তারাই কীভাবে এত সংখ্যক পদে জয়ী হলো—এই প্রশ্ন শিক্ষিত সমাজকে
৮ ঘণ্টা আগেযশোর-খুলনা অঞ্চলের দুঃখ বলা হয় ভবদহকে। কারণ, প্রায় চার দশক ধরে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ এক অভিশপ্ত জলাবদ্ধতার শিকার। বছরের অধিকাংশ সময়ই তারা পানির মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। বিভিন্ন সরকারের আমলে জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও কোনোটাই তাদের জীবনে স্বস্তি বয়ে আনেনি।
১ দিন আগে