Ajker Patrika

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই পুরুষের টানাটানি, শেষে ৩ জনই কারাগারে

­যশোর প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছেন চল্লিশোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি। তাঁরা দুজনই ওই নারীকে স্ত্রী দাবি করছেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। আর তাই দেখতে ভিড় জমে উৎসুক মানুষদের। খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়। সেখানে গিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। থানা চত্বরেই কয়েক দফা টানাটানি হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনজনকেই ১৫১ ধারায় (নিরাপত্তা হেফাজত) আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই তিন ব্যক্তি হলেন— ফরিদপুরের কানাইপুরের এলাকার বিকাশ অধিকারী, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডু ও একই এলাকার সীমা অধিকারী।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী, যার সঙ্গে সীমা অধিকারীর প্রায় ৩৬ বছরের সংসার। এই সংসারে তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সীমা অধিকারী সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত সোমবার রাতে তারা যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশ সেই হোটেলে এসে হাজির হন। এরপরই ত্রিমুখী টানাটানি গড়ায় থানা পর্যন্ত।

পলাশ কুন্ডু সাংবাদিকদের জানান, সীমার সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সম্পর্ক। তাঁরা দুজনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসাথে থাকতে চান। কিন্তু তাদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ। সীমা অধিকারী বলেন, বিকাশের সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে বিকাশকে ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করেছেন।

অন্যদিকে বিকাশ অধিকারীর অভিযোগ, সীমার পরকীয়ায় কারণে তাঁদের সাজানো সংসার ভেঙে যাচ্ছে। সীমা শুধু বাড়ি ছাড়েননি, বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তিনি সীমাকে যেকোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান।

এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল আজকে পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও কোন সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। পরে ১৫১ ধারায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।’

যশোর আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক রোকসানা খাতুন আজকের পত্রিকা বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শান্তনু কুমার মন্ডল তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

মার্কা শাপলাই হতে হবে, না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেব: সারজিস আলম

ইসির তালিকায় ‘শাপলা’ নেই, বিকল্প প্রতীক নিতে হবে এনসিপিকে

এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে এক বিন্দুও দুর্বল করবে না: তাসনিম জারা

‘রাষ্ট্রীয় সফররত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ’, বিকেলে বিক্ষোভ ডেকেছে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত