
বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নাওয়াজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্রমিক ছাঁটাই হয়। সেই বাস্তবতায় বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কীভাবে টিকে আছে?
আলী নাওয়াজ: সত্যি বলতে, বেক্সিমকো ফার্মার জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে সুনামের ওপর। নামের আগে ‘বেক্সিমকো’ থাকায় অনেক নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। অফিস ও ডিপোতে হামলা হয়েছে, ৪-৫টি ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি আমাদের আরজেএসসিতে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার অ্যাকসেস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে ছয় সপ্তাহ লেগেছে। এসব নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক বছরে বেক্সিমকো ফার্মা আরও এগিয়েছে। কারণ, বেক্সিমকো ফার্মা মূলত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। মালিকদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার, বাকি ৮৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ফার্মার উৎপাদন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং কর্মসংস্থান সব সময় সচল রাখার। এতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তাও আমরা পেয়েছি। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতেও বেক্সিমকো ফার্মা সচল রাখার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূল অবস্থায়ও কোম্পানি কীভাবে স্থিতিশীল থাকতে পেরেছে?
আলী নাওয়াজ: এর পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বেক্সিমকো ফার্মার ম্যানেজমেন্ট সব সময় পেশাদারদের হাতেই থেকেছে। আমাদের বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা ছিল, তারা দৈনন্দিন কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। দ্বিতীয়ত, ফার্মার মার্কেটিং টিম মাঠে এই প্রতিকূল সময়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছে এবং সবাইকে বুঝিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার ও বিনিয়োগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার। তৃতীয়ত, ফার্মার ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের; তাই রোগী ও চিকিৎসকদের আস্থা সব সময় একটা বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর জন্য গত এক বছরে একজন কর্মীও চাকরি ছাড়েননি, ছাঁটাইয়ের প্রশ্নই ওঠেনি।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো গ্রুপের বিশাল ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বেক্সিমকো ফার্মার ঋণ পরিস্থিতি কেমন?
আলী নাওয়াজ: আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আছে; কিন্তু বাস্তবে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ নিয়েছিলাম; যার থেকে ব্যবহার হয়েছিল ১০০ কোটির কম। বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটির মধ্যে। বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিক্রি হয়, তাই বেক্সিমকো ফার্মার কোনো ঋণের চাপ নেই।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্জিত মুনাফা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্য কোম্পানিকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিএফও হিসেবে আপনার বক্তব্য কী?
আলী নাওয়াজ: অভিযোগটি আমরাও শুনেছি, যা সত্য নয়। কারণ, এটা সম্ভবও নয়। বেক্সিমকো ফার্মা গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তদুপরি বেক্সিমকো ফার্মা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত, যেখানে কঠোরভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা মনিটর করা হয়।
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ওষুধশিল্প কীভাবে বেড়েছে বলে মনে করেন?
আলী নাওয়াজ: ২০১০ সালের পর থেকে ওষুধশিল্প ধারাবাহিকভাবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শুধু কোভিড-১৯ সময়টা ব্যতিক্রম। দেশের অর্থনীতি বেড়েছে, মানুষের আয় ও জীবনমান উন্নত হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসাসেবা পৌঁছেছে। ফলে মানুষ ফুল কোর্সে ওষুধ কিনছে। প্রতিবছর বড় কোম্পানিগুলো ২০-৩০টি নতুন ওষুধ বাজারে আনছে। এখন বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৯৮ শতাংশই স্থানীয় উৎপাদন।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো সীমিত। সমস্যাগুলো কোথায়?
আলী নাওয়াজ: ওষুধ রপ্তানি খুব জটিল প্রক্রিয়া। আফ্রিকার একটি দেশে যেতে হলেও এজেন্ট নিয়োগ, ডসিয়ার তৈরি, রেজিস্ট্রেশন, এমনকি ওষুধ কর্তৃপক্ষের কারখানা পরিদর্শন করতে হয়। অনুমোদন পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ, প্রায় সাড়ে তিন বছর লেগে যায়। খরচও বিপুল; শুধু মার্কিন নিবন্ধনের ফি মাঝারি কোম্পানির জন্য এক মিলিয়ন ডলারের বেশি। বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিবছর লাইসেন্স ও অডিট বজায় রাখতেই দেড় মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মার রপ্তানির অবস্থা কী?
আলী নাওয়াজ: আমরা ৬০টির বেশি দেশে প্রায় ২৫০ ধরনের ওষুধ রপ্তানি করি। সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ২০টি ওষুধের নিবন্ধন আছে এবং ৮টি আমরা রপ্তানি করছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার। লাভজনক হতে হলে অন্তত ১০-১৫ মিলিয়নের ওপরে আয় করতে হয়; কারণ, খরচ বেশি। তবে একবার ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে অন্য দেশে অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
আজকের পত্রিকা: এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধ খাতের জন্য কী চ্যালেঞ্জ আসবে?
আলী নাওয়াজ: সবচেয়ে বড় সুবিধা, এখন আমরা পেটেন্ট ছাড় পাই। ফলে নতুন ওষুধ এলেই দ্রুত উৎপাদন করতে পারি। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেটা থাকবে না, আবিষ্কারক কোম্পানির লাইসেন্স লাগবে। ইতিমধ্যে বাজারজাত করা পেটেন্টের ওষুধের জন্য রয়্যালটি দাবি করতে পারে। অনেক দেশ আমাদের জেনেরিক নিতে পারবে না, রপ্তানি কমে যাবে। দামও বাড়বে; কারণ, পেটেন্ট হোল্ডার কোম্পানিকে লাইসেন্স ফি ও রয়্যালটি দিতে হবে; অথবা তাদের নির্ধারিত দামে কাঁচামাল কিনতে হবে। আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে জানাচ্ছি এবং শিল্প সমিতি থেকেও আলাপ চলছে। প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান ফোকাস কী হবে?
আলী নাওয়াজ: বেক্সিমকো ফার্মার মূল দৃষ্টি এখন বায়োলজিকসের দিকে; বিশেষ করে অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টি ডায়াবেটিস ওষুধে। বিশ্বজুড়ে এগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আমরা চাই, বাংলাদেশে প্রথমেই এসব পণ্য আনতে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নতুন কিছু ওষুধ রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে; যাতে বলা যায়, এগুলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই বাজারে এসেছে। এ ছাড়া নোভিস্তা ফার্মা ও সাইনোভিয়া ফার্মা নামক দুটি বহুজাতিক কোম্পানির বাংলাদেশের শেয়ার আমরা কিনে নিয়েছি; যাতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হয়।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্রমিক ছাঁটাই হয়। সেই বাস্তবতায় বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কীভাবে টিকে আছে?
আলী নাওয়াজ: সত্যি বলতে, বেক্সিমকো ফার্মার জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে সুনামের ওপর। নামের আগে ‘বেক্সিমকো’ থাকায় অনেক নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। অফিস ও ডিপোতে হামলা হয়েছে, ৪-৫টি ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি আমাদের আরজেএসসিতে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার অ্যাকসেস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে ছয় সপ্তাহ লেগেছে। এসব নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক বছরে বেক্সিমকো ফার্মা আরও এগিয়েছে। কারণ, বেক্সিমকো ফার্মা মূলত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। মালিকদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার, বাকি ৮৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ফার্মার উৎপাদন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং কর্মসংস্থান সব সময় সচল রাখার। এতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তাও আমরা পেয়েছি। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতেও বেক্সিমকো ফার্মা সচল রাখার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূল অবস্থায়ও কোম্পানি কীভাবে স্থিতিশীল থাকতে পেরেছে?
আলী নাওয়াজ: এর পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বেক্সিমকো ফার্মার ম্যানেজমেন্ট সব সময় পেশাদারদের হাতেই থেকেছে। আমাদের বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা ছিল, তারা দৈনন্দিন কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। দ্বিতীয়ত, ফার্মার মার্কেটিং টিম মাঠে এই প্রতিকূল সময়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছে এবং সবাইকে বুঝিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার ও বিনিয়োগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার। তৃতীয়ত, ফার্মার ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের; তাই রোগী ও চিকিৎসকদের আস্থা সব সময় একটা বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর জন্য গত এক বছরে একজন কর্মীও চাকরি ছাড়েননি, ছাঁটাইয়ের প্রশ্নই ওঠেনি।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো গ্রুপের বিশাল ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বেক্সিমকো ফার্মার ঋণ পরিস্থিতি কেমন?
আলী নাওয়াজ: আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আছে; কিন্তু বাস্তবে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ নিয়েছিলাম; যার থেকে ব্যবহার হয়েছিল ১০০ কোটির কম। বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটির মধ্যে। বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিক্রি হয়, তাই বেক্সিমকো ফার্মার কোনো ঋণের চাপ নেই।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্জিত মুনাফা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্য কোম্পানিকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিএফও হিসেবে আপনার বক্তব্য কী?
আলী নাওয়াজ: অভিযোগটি আমরাও শুনেছি, যা সত্য নয়। কারণ, এটা সম্ভবও নয়। বেক্সিমকো ফার্মা গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তদুপরি বেক্সিমকো ফার্মা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত, যেখানে কঠোরভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা মনিটর করা হয়।
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ওষুধশিল্প কীভাবে বেড়েছে বলে মনে করেন?
আলী নাওয়াজ: ২০১০ সালের পর থেকে ওষুধশিল্প ধারাবাহিকভাবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শুধু কোভিড-১৯ সময়টা ব্যতিক্রম। দেশের অর্থনীতি বেড়েছে, মানুষের আয় ও জীবনমান উন্নত হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসাসেবা পৌঁছেছে। ফলে মানুষ ফুল কোর্সে ওষুধ কিনছে। প্রতিবছর বড় কোম্পানিগুলো ২০-৩০টি নতুন ওষুধ বাজারে আনছে। এখন বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৯৮ শতাংশই স্থানীয় উৎপাদন।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো সীমিত। সমস্যাগুলো কোথায়?
আলী নাওয়াজ: ওষুধ রপ্তানি খুব জটিল প্রক্রিয়া। আফ্রিকার একটি দেশে যেতে হলেও এজেন্ট নিয়োগ, ডসিয়ার তৈরি, রেজিস্ট্রেশন, এমনকি ওষুধ কর্তৃপক্ষের কারখানা পরিদর্শন করতে হয়। অনুমোদন পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ, প্রায় সাড়ে তিন বছর লেগে যায়। খরচও বিপুল; শুধু মার্কিন নিবন্ধনের ফি মাঝারি কোম্পানির জন্য এক মিলিয়ন ডলারের বেশি। বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিবছর লাইসেন্স ও অডিট বজায় রাখতেই দেড় মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মার রপ্তানির অবস্থা কী?
আলী নাওয়াজ: আমরা ৬০টির বেশি দেশে প্রায় ২৫০ ধরনের ওষুধ রপ্তানি করি। সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ২০টি ওষুধের নিবন্ধন আছে এবং ৮টি আমরা রপ্তানি করছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার। লাভজনক হতে হলে অন্তত ১০-১৫ মিলিয়নের ওপরে আয় করতে হয়; কারণ, খরচ বেশি। তবে একবার ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে অন্য দেশে অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
আজকের পত্রিকা: এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধ খাতের জন্য কী চ্যালেঞ্জ আসবে?
আলী নাওয়াজ: সবচেয়ে বড় সুবিধা, এখন আমরা পেটেন্ট ছাড় পাই। ফলে নতুন ওষুধ এলেই দ্রুত উৎপাদন করতে পারি। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেটা থাকবে না, আবিষ্কারক কোম্পানির লাইসেন্স লাগবে। ইতিমধ্যে বাজারজাত করা পেটেন্টের ওষুধের জন্য রয়্যালটি দাবি করতে পারে। অনেক দেশ আমাদের জেনেরিক নিতে পারবে না, রপ্তানি কমে যাবে। দামও বাড়বে; কারণ, পেটেন্ট হোল্ডার কোম্পানিকে লাইসেন্স ফি ও রয়্যালটি দিতে হবে; অথবা তাদের নির্ধারিত দামে কাঁচামাল কিনতে হবে। আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে জানাচ্ছি এবং শিল্প সমিতি থেকেও আলাপ চলছে। প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান ফোকাস কী হবে?
আলী নাওয়াজ: বেক্সিমকো ফার্মার মূল দৃষ্টি এখন বায়োলজিকসের দিকে; বিশেষ করে অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টি ডায়াবেটিস ওষুধে। বিশ্বজুড়ে এগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আমরা চাই, বাংলাদেশে প্রথমেই এসব পণ্য আনতে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নতুন কিছু ওষুধ রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে; যাতে বলা যায়, এগুলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই বাজারে এসেছে। এ ছাড়া নোভিস্তা ফার্মা ও সাইনোভিয়া ফার্মা নামক দুটি বহুজাতিক কোম্পানির বাংলাদেশের শেয়ার আমরা কিনে নিয়েছি; যাতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হয়।
আরও খবর পড়ুন:

বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নাওয়াজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্রমিক ছাঁটাই হয়। সেই বাস্তবতায় বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কীভাবে টিকে আছে?
আলী নাওয়াজ: সত্যি বলতে, বেক্সিমকো ফার্মার জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে সুনামের ওপর। নামের আগে ‘বেক্সিমকো’ থাকায় অনেক নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। অফিস ও ডিপোতে হামলা হয়েছে, ৪-৫টি ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি আমাদের আরজেএসসিতে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার অ্যাকসেস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে ছয় সপ্তাহ লেগেছে। এসব নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক বছরে বেক্সিমকো ফার্মা আরও এগিয়েছে। কারণ, বেক্সিমকো ফার্মা মূলত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। মালিকদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার, বাকি ৮৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ফার্মার উৎপাদন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং কর্মসংস্থান সব সময় সচল রাখার। এতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তাও আমরা পেয়েছি। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতেও বেক্সিমকো ফার্মা সচল রাখার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূল অবস্থায়ও কোম্পানি কীভাবে স্থিতিশীল থাকতে পেরেছে?
আলী নাওয়াজ: এর পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বেক্সিমকো ফার্মার ম্যানেজমেন্ট সব সময় পেশাদারদের হাতেই থেকেছে। আমাদের বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা ছিল, তারা দৈনন্দিন কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। দ্বিতীয়ত, ফার্মার মার্কেটিং টিম মাঠে এই প্রতিকূল সময়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছে এবং সবাইকে বুঝিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার ও বিনিয়োগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার। তৃতীয়ত, ফার্মার ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের; তাই রোগী ও চিকিৎসকদের আস্থা সব সময় একটা বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর জন্য গত এক বছরে একজন কর্মীও চাকরি ছাড়েননি, ছাঁটাইয়ের প্রশ্নই ওঠেনি।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো গ্রুপের বিশাল ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বেক্সিমকো ফার্মার ঋণ পরিস্থিতি কেমন?
আলী নাওয়াজ: আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আছে; কিন্তু বাস্তবে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ নিয়েছিলাম; যার থেকে ব্যবহার হয়েছিল ১০০ কোটির কম। বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটির মধ্যে। বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিক্রি হয়, তাই বেক্সিমকো ফার্মার কোনো ঋণের চাপ নেই।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্জিত মুনাফা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্য কোম্পানিকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিএফও হিসেবে আপনার বক্তব্য কী?
আলী নাওয়াজ: অভিযোগটি আমরাও শুনেছি, যা সত্য নয়। কারণ, এটা সম্ভবও নয়। বেক্সিমকো ফার্মা গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তদুপরি বেক্সিমকো ফার্মা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত, যেখানে কঠোরভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা মনিটর করা হয়।
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ওষুধশিল্প কীভাবে বেড়েছে বলে মনে করেন?
আলী নাওয়াজ: ২০১০ সালের পর থেকে ওষুধশিল্প ধারাবাহিকভাবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শুধু কোভিড-১৯ সময়টা ব্যতিক্রম। দেশের অর্থনীতি বেড়েছে, মানুষের আয় ও জীবনমান উন্নত হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসাসেবা পৌঁছেছে। ফলে মানুষ ফুল কোর্সে ওষুধ কিনছে। প্রতিবছর বড় কোম্পানিগুলো ২০-৩০টি নতুন ওষুধ বাজারে আনছে। এখন বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৯৮ শতাংশই স্থানীয় উৎপাদন।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো সীমিত। সমস্যাগুলো কোথায়?
আলী নাওয়াজ: ওষুধ রপ্তানি খুব জটিল প্রক্রিয়া। আফ্রিকার একটি দেশে যেতে হলেও এজেন্ট নিয়োগ, ডসিয়ার তৈরি, রেজিস্ট্রেশন, এমনকি ওষুধ কর্তৃপক্ষের কারখানা পরিদর্শন করতে হয়। অনুমোদন পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ, প্রায় সাড়ে তিন বছর লেগে যায়। খরচও বিপুল; শুধু মার্কিন নিবন্ধনের ফি মাঝারি কোম্পানির জন্য এক মিলিয়ন ডলারের বেশি। বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিবছর লাইসেন্স ও অডিট বজায় রাখতেই দেড় মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মার রপ্তানির অবস্থা কী?
আলী নাওয়াজ: আমরা ৬০টির বেশি দেশে প্রায় ২৫০ ধরনের ওষুধ রপ্তানি করি। সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ২০টি ওষুধের নিবন্ধন আছে এবং ৮টি আমরা রপ্তানি করছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার। লাভজনক হতে হলে অন্তত ১০-১৫ মিলিয়নের ওপরে আয় করতে হয়; কারণ, খরচ বেশি। তবে একবার ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে অন্য দেশে অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
আজকের পত্রিকা: এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধ খাতের জন্য কী চ্যালেঞ্জ আসবে?
আলী নাওয়াজ: সবচেয়ে বড় সুবিধা, এখন আমরা পেটেন্ট ছাড় পাই। ফলে নতুন ওষুধ এলেই দ্রুত উৎপাদন করতে পারি। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেটা থাকবে না, আবিষ্কারক কোম্পানির লাইসেন্স লাগবে। ইতিমধ্যে বাজারজাত করা পেটেন্টের ওষুধের জন্য রয়্যালটি দাবি করতে পারে। অনেক দেশ আমাদের জেনেরিক নিতে পারবে না, রপ্তানি কমে যাবে। দামও বাড়বে; কারণ, পেটেন্ট হোল্ডার কোম্পানিকে লাইসেন্স ফি ও রয়্যালটি দিতে হবে; অথবা তাদের নির্ধারিত দামে কাঁচামাল কিনতে হবে। আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে জানাচ্ছি এবং শিল্প সমিতি থেকেও আলাপ চলছে। প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান ফোকাস কী হবে?
আলী নাওয়াজ: বেক্সিমকো ফার্মার মূল দৃষ্টি এখন বায়োলজিকসের দিকে; বিশেষ করে অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টি ডায়াবেটিস ওষুধে। বিশ্বজুড়ে এগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আমরা চাই, বাংলাদেশে প্রথমেই এসব পণ্য আনতে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নতুন কিছু ওষুধ রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে; যাতে বলা যায়, এগুলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই বাজারে এসেছে। এ ছাড়া নোভিস্তা ফার্মা ও সাইনোভিয়া ফার্মা নামক দুটি বহুজাতিক কোম্পানির বাংলাদেশের শেয়ার আমরা কিনে নিয়েছি; যাতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হয়।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্রমিক ছাঁটাই হয়। সেই বাস্তবতায় বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কীভাবে টিকে আছে?
আলী নাওয়াজ: সত্যি বলতে, বেক্সিমকো ফার্মার জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে সুনামের ওপর। নামের আগে ‘বেক্সিমকো’ থাকায় অনেক নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। অফিস ও ডিপোতে হামলা হয়েছে, ৪-৫টি ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি আমাদের আরজেএসসিতে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার অ্যাকসেস বন্ধ রাখা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে ছয় সপ্তাহ লেগেছে। এসব নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক বছরে বেক্সিমকো ফার্মা আরও এগিয়েছে। কারণ, বেক্সিমকো ফার্মা মূলত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। মালিকদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার, বাকি ৮৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ফার্মার উৎপাদন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং কর্মসংস্থান সব সময় সচল রাখার। এতে সরকারের প্রশাসনিক সহায়তাও আমরা পেয়েছি। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতেও বেক্সিমকো ফার্মা সচল রাখার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূল অবস্থায়ও কোম্পানি কীভাবে স্থিতিশীল থাকতে পেরেছে?
আলী নাওয়াজ: এর পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বেক্সিমকো ফার্মার ম্যানেজমেন্ট সব সময় পেশাদারদের হাতেই থেকেছে। আমাদের বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা ছিল, তারা দৈনন্দিন কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। দ্বিতীয়ত, ফার্মার মার্কেটিং টিম মাঠে এই প্রতিকূল সময়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছে এবং সবাইকে বুঝিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার ও বিনিয়োগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ার। তৃতীয়ত, ফার্মার ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের; তাই রোগী ও চিকিৎসকদের আস্থা সব সময় একটা বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর জন্য গত এক বছরে একজন কর্মীও চাকরি ছাড়েননি, ছাঁটাইয়ের প্রশ্নই ওঠেনি।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো গ্রুপের বিশাল ব্যাংকঋণ নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। বেক্সিমকো ফার্মার ঋণ পরিস্থিতি কেমন?
আলী নাওয়াজ: আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আছে; কিন্তু বাস্তবে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ নিয়েছিলাম; যার থেকে ব্যবহার হয়েছিল ১০০ কোটির কম। বর্তমানে ঋণ নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটির মধ্যে। বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিক্রি হয়, তাই বেক্সিমকো ফার্মার কোনো ঋণের চাপ নেই।
আজকের পত্রিকা: বেক্সিমকো ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্জিত মুনাফা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্য কোম্পানিকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিএফও হিসেবে আপনার বক্তব্য কী?
আলী নাওয়াজ: অভিযোগটি আমরাও শুনেছি, যা সত্য নয়। কারণ, এটা সম্ভবও নয়। বেক্সিমকো ফার্মা গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তদুপরি বেক্সিমকো ফার্মা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত, যেখানে কঠোরভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা মনিটর করা হয়।
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ওষুধশিল্প কীভাবে বেড়েছে বলে মনে করেন?
আলী নাওয়াজ: ২০১০ সালের পর থেকে ওষুধশিল্প ধারাবাহিকভাবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শুধু কোভিড-১৯ সময়টা ব্যতিক্রম। দেশের অর্থনীতি বেড়েছে, মানুষের আয় ও জীবনমান উন্নত হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসাসেবা পৌঁছেছে। ফলে মানুষ ফুল কোর্সে ওষুধ কিনছে। প্রতিবছর বড় কোম্পানিগুলো ২০-৩০টি নতুন ওষুধ বাজারে আনছে। এখন বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৯৮ শতাংশই স্থানীয় উৎপাদন।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো সীমিত। সমস্যাগুলো কোথায়?
আলী নাওয়াজ: ওষুধ রপ্তানি খুব জটিল প্রক্রিয়া। আফ্রিকার একটি দেশে যেতে হলেও এজেন্ট নিয়োগ, ডসিয়ার তৈরি, রেজিস্ট্রেশন, এমনকি ওষুধ কর্তৃপক্ষের কারখানা পরিদর্শন করতে হয়। অনুমোদন পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ, প্রায় সাড়ে তিন বছর লেগে যায়। খরচও বিপুল; শুধু মার্কিন নিবন্ধনের ফি মাঝারি কোম্পানির জন্য এক মিলিয়ন ডলারের বেশি। বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিবছর লাইসেন্স ও অডিট বজায় রাখতেই দেড় মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মার রপ্তানির অবস্থা কী?
আলী নাওয়াজ: আমরা ৬০টির বেশি দেশে প্রায় ২৫০ ধরনের ওষুধ রপ্তানি করি। সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ২০টি ওষুধের নিবন্ধন আছে এবং ৮টি আমরা রপ্তানি করছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার। লাভজনক হতে হলে অন্তত ১০-১৫ মিলিয়নের ওপরে আয় করতে হয়; কারণ, খরচ বেশি। তবে একবার ইউএস এফডিএ সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে অন্য দেশে অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
আজকের পত্রিকা: এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ওষুধ খাতের জন্য কী চ্যালেঞ্জ আসবে?
আলী নাওয়াজ: সবচেয়ে বড় সুবিধা, এখন আমরা পেটেন্ট ছাড় পাই। ফলে নতুন ওষুধ এলেই দ্রুত উৎপাদন করতে পারি। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেটা থাকবে না, আবিষ্কারক কোম্পানির লাইসেন্স লাগবে। ইতিমধ্যে বাজারজাত করা পেটেন্টের ওষুধের জন্য রয়্যালটি দাবি করতে পারে। অনেক দেশ আমাদের জেনেরিক নিতে পারবে না, রপ্তানি কমে যাবে। দামও বাড়বে; কারণ, পেটেন্ট হোল্ডার কোম্পানিকে লাইসেন্স ফি ও রয়্যালটি দিতে হবে; অথবা তাদের নির্ধারিত দামে কাঁচামাল কিনতে হবে। আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে জানাচ্ছি এবং শিল্প সমিতি থেকেও আলাপ চলছে। প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান ফোকাস কী হবে?
আলী নাওয়াজ: বেক্সিমকো ফার্মার মূল দৃষ্টি এখন বায়োলজিকসের দিকে; বিশেষ করে অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টি ডায়াবেটিস ওষুধে। বিশ্বজুড়ে এগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আমরা চাই, বাংলাদেশে প্রথমেই এসব পণ্য আনতে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নতুন কিছু ওষুধ রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে; যাতে বলা যায়, এগুলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই বাজারে এসেছে। এ ছাড়া নোভিস্তা ফার্মা ও সাইনোভিয়া ফার্মা নামক দুটি বহুজাতিক কোম্পানির বাংলাদেশের শেয়ার আমরা কিনে নিয়েছি; যাতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হয়।
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২৪ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২৪ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

বেক্সিমকো ফার্মা গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে তাদের অবস্থান ঠিক স্বাভাবিক সময়ের মতো। যেখানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার কথা, সেখানে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে সুসংহত হচ্ছে, এত কিছু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২৪ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে