কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একটি স্বতন্ত্র দেশকে পরামর্শ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না ইইউ বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটুং-বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানের মূল অতিথি ছিলেন চার্লস হোয়াইটলি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘ইইউ রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি বাংলাদেশে সকল গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। একইভাবে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও ইউরোপীয় সংসদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কারণ আমাদের বুঝতে হবে দেশে কি হচ্ছে। সকলের সঙ্গে বৈঠক করা কূটনৈতিক শিষ্টাচার। আমরা যদি আমাদের কার্যালয়ে বসে থাকি, তবে মনে হবে আমরা এড়িয়ে চলছি।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনো পর্যবেক্ষক দল থাকবে কি না—জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি জানি না। জাতীয় নির্বাচন আরও ১৮ মাস পরে এবং এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ যৌথ কমিশনের বৈঠকে সরকারের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রমের প্রসঙ্গে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘ইইউ এ ক্ষেত্রে বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরি করছে।’ বাংলাদেশে মানবাধিকার সংক্রান্ত ইইউ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক কোন পর্যায়ে দেখতে চান—এমন প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘আগামী ১০ বছরে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছর বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারকে এর সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কূটনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ইউরোপে আর কোনো যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক সেটি ইইউ চায় না।’
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ, ভারত এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে কি না জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। একই সঙ্গে চীনও বিশ্বে একটি পরাশক্তি হয়ে উঠেছে। চীনের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও শরণার্থী সংকট রয়েছে। তাই আমরা জানি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া কতটা ব্যয়বহুল হতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব করা হবে।’
এ জন্য ভারত, চীনের মতো আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশগুলোকে এক ছাদের নিচে আনতে হবে। মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করে চার্লস হোয়াইটলি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একটি স্বতন্ত্র দেশকে পরামর্শ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না ইইউ বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার সকালে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটুং-বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানের মূল অতিথি ছিলেন চার্লস হোয়াইটলি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘ইইউ রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি বাংলাদেশে সকল গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। একইভাবে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও ইউরোপীয় সংসদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কারণ আমাদের বুঝতে হবে দেশে কি হচ্ছে। সকলের সঙ্গে বৈঠক করা কূটনৈতিক শিষ্টাচার। আমরা যদি আমাদের কার্যালয়ে বসে থাকি, তবে মনে হবে আমরা এড়িয়ে চলছি।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনো পর্যবেক্ষক দল থাকবে কি না—জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি জানি না। জাতীয় নির্বাচন আরও ১৮ মাস পরে এবং এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ যৌথ কমিশনের বৈঠকে সরকারের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রমের প্রসঙ্গে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘ইইউ এ ক্ষেত্রে বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরি করছে।’ বাংলাদেশে মানবাধিকার সংক্রান্ত ইইউ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক কোন পর্যায়ে দেখতে চান—এমন প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘আগামী ১০ বছরে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছর বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারকে এর সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কূটনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ইউরোপে আর কোনো যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক সেটি ইইউ চায় না।’
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ, ভারত এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে কি না জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। একই সঙ্গে চীনও বিশ্বে একটি পরাশক্তি হয়ে উঠেছে। চীনের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও শরণার্থী সংকট রয়েছে। তাই আমরা জানি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া কতটা ব্যয়বহুল হতে পারে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব করা হবে।’
এ জন্য ভারত, চীনের মতো আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশগুলোকে এক ছাদের নিচে আনতে হবে। মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করে চার্লস হোয়াইটলি।
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা)’ নীতির কথা বললেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ২০২০ সাল থেকে পাঁচ বছরে নিম্ন আদালতে রায় হওয়া মামলার ৫৭ শতাংশেরই আসামি খালাস পেয়েছেন। এসব মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো আপিলও করা হয়নি। এজাহার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সংশ্লিষ্ট
২৪ মিনিট আগেফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেটাকে সামাজিক সম্প্রীতি ব্যাহত করে এবং ঘৃণা ছড়ায় এমন অপতথ্যের মোকাবিলায় আরও কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৫ ঘণ্টা আগেগণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে