নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
ভারত সরকার দেশটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা। রাজ্য সরকার গতকাল শনিবার এই বিষয়ে একটি আবেদন করেছে। পাশাপাশি একই আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
১৯ মার্চ এই আবেদনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেদিন কেরালা সরকার ও আসাদুদ্দিন ওয়াইসির আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে হতে পারে। এর আগেও সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় সিএএ নিয়ে ভারতের দক্ষিণের এই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল।
১৪ মার্চ কেরালা সরকার বিবৃতি দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সেই বিরোধিতার অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কার্যকারিতার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ খতিয়ে দেখতে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা সরকার।
এদিকে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান ও হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, ভারত সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও এর পেছনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করা হচ্ছে।
ওয়াইসির অভিযোগ, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ভারতের কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর গত ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করে। এই আইন অনুসারে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যদি সে দেশের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আশ্রয় চায়, তবে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দেবে।
তবে অনেকেই মনে করছেন, এই আইনের মধ্যে বিতর্কের উপাদান আছে। এই আইনের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে যে কথা বলা হয়েছে, সেখানে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিষ্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও কোথাও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আর সে কারণেই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন রাজ্য এর বিরোধিতায় সরব। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পরে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
ভারত সরকার দেশটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা। রাজ্য সরকার গতকাল শনিবার এই বিষয়ে একটি আবেদন করেছে। পাশাপাশি একই আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
১৯ মার্চ এই আবেদনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেদিন কেরালা সরকার ও আসাদুদ্দিন ওয়াইসির আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে হতে পারে। এর আগেও সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় সিএএ নিয়ে ভারতের দক্ষিণের এই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল।
১৪ মার্চ কেরালা সরকার বিবৃতি দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সেই বিরোধিতার অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কার্যকারিতার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ খতিয়ে দেখতে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা সরকার।
এদিকে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান ও হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, ভারত সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও এর পেছনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করা হচ্ছে।
ওয়াইসির অভিযোগ, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ভারতের কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর গত ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করে। এই আইন অনুসারে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যদি সে দেশের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আশ্রয় চায়, তবে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দেবে।
তবে অনেকেই মনে করছেন, এই আইনের মধ্যে বিতর্কের উপাদান আছে। এই আইনের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে যে কথা বলা হয়েছে, সেখানে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিষ্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও কোথাও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আর সে কারণেই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন রাজ্য এর বিরোধিতায় সরব। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পরে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
সম্প্রতি কুয়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ। আল-কাবাস পত্রিকাকে তিনি জানান, কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগেমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী; তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব; সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব; শিবসেনার সঞ্জয় রাউতসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের হাতে ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি?’ লেখা পোস্টার ছিল এবং তাঁরা ‘ভোট চুরি মানছি না, মানব না’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
২ ঘণ্টা আগে