বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পারসি ধর্মাবলম্বীদের জন্য তৈরি আইনটি ২০১৯ সালে পাস হলেও নিয়ম প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের মার্চে। তার পর থেকে আসাম সরকার বিদেশি ট্রাইব্যুনালে চলমান অসংখ্য মামলায় নির্দেশ দিয়েছে, ২০১৫ সালের আগে রাজ্যে প্রবেশ করা অমুসলিম
এই পরিবর্তনকে শুধু প্রশাসনিক নির্দেশিকা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, বরং বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই ধরা হচ্ছে। কারণ একদিকে এ পরিবর্তনের মাধ্যমে অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারে সমতার ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকত্ব জটিলতার ফাঁদে পড়ে এক পরিবার বছরের পর বছর ধরে মানবিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কেরালায় বসবাসরত এ পরিবারের দুই বোন বর্তমানে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। কারণ, পাকিস্তানি নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রমাণপত্র তাঁদের হাতে নেই।
ভারতের আসাম রাজ্যে আবারও শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে ধরপাকড়। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সীমান্ত পেরিয়ে আসামে অনেক বাংলাদেশি ঢুকেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, বাস্তবে এই অভিযানের মূল শিকার হচ্ছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আসামে থাকা বাংলা ভাষাভাষী পরিবারগুলো।