চারঘাট প্রতিনিধি
সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করছেন গম। এতে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গম সংগ্রহ শুরু করতে পারেনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা খাদ্য বিভাগ।
খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের কথা থাকলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এক ছটাক গমও কিনতে পারেনি চারঘাট খাদ্যগুদাম। তবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। যদিও গম সংগ্রহ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সরকারিভাবে প্রতি কেজি গমের দাম ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে গমের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে কৃষকেরা গুদামে গম দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চারঘাট উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। এবার গম উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের আওতায় সারা দেশে দেড় লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উপজেলায় গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। গত ১ এপ্রিল থেকে উপজেলায় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কৃষক গম দিতে আসেননি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গম সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময়ে সরকার নির্ধারিত দাম হয় কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। কিন্তু সে সময় স্থানীয় বাজারে ৩২ টাকা কেজি দরে গম বিক্রি হচ্ছিল। আর এখন স্থানীয় পাইকারি বাজার বানেশ্বর হাটে প্রতি কেজি গম ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে বেশি লোকসান গুনতে হবে তাঁদের।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, গত কয়েক বছর এক ব্যক্তির মাধ্যমে সরকারি গুদামে গম বিক্রি করেছেন। এতে কিছু টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর সরকার যে দর দিয়েছে, তাতে অনেক লোকসান হবে। কৃষক কেন লোকসান দিয়ে সরকারের কাছে গম বিক্রি করবেন, এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শলুয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর আলী বলেন, বর্তমানে খাদ্যগুদামের চেয়ে বাজারে গমের দাম কেজিতে ১০-১২ টাকা বেশি। তবে এখন সরকার দাম বাড়ালেও কৃষকেরা গুদামে গম দিতে পারবেন না। কারণ, কৃষকদের কাছে তো আর গম মজুত নেই। সব বড় ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়েছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, সরকারিভাবে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, এখন সেই দামের চেয়েও অনেক বেশিতে গম বেচাকেনা হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। কৃষক যেখানে ফসলের দাম বেশি পাবেন, সেখানেই বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গত বারের চেয়ে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বাড়লেও গুদামে গম সংগ্রহ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত এক কেজি গমও সংগ্রহ হয়নি।
সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করছেন গম। এতে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গম সংগ্রহ শুরু করতে পারেনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা খাদ্য বিভাগ।
খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের কথা থাকলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এক ছটাক গমও কিনতে পারেনি চারঘাট খাদ্যগুদাম। তবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। যদিও গম সংগ্রহ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সরকারিভাবে প্রতি কেজি গমের দাম ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে গমের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে কৃষকেরা গুদামে গম দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চারঘাট উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। এবার গম উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের আওতায় সারা দেশে দেড় লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উপজেলায় গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ৫০০ মেট্রিক টন বেশি। গত ১ এপ্রিল থেকে উপজেলায় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কৃষক গম দিতে আসেননি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গম সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময়ে সরকার নির্ধারিত দাম হয় কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। কিন্তু সে সময় স্থানীয় বাজারে ৩২ টাকা কেজি দরে গম বিক্রি হচ্ছিল। আর এখন স্থানীয় পাইকারি বাজার বানেশ্বর হাটে প্রতি কেজি গম ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে বেশি লোকসান গুনতে হবে তাঁদের।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, গত কয়েক বছর এক ব্যক্তির মাধ্যমে সরকারি গুদামে গম বিক্রি করেছেন। এতে কিছু টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর সরকার যে দর দিয়েছে, তাতে অনেক লোকসান হবে। কৃষক কেন লোকসান দিয়ে সরকারের কাছে গম বিক্রি করবেন, এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শলুয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর আলী বলেন, বর্তমানে খাদ্যগুদামের চেয়ে বাজারে গমের দাম কেজিতে ১০-১২ টাকা বেশি। তবে এখন সরকার দাম বাড়ালেও কৃষকেরা গুদামে গম দিতে পারবেন না। কারণ, কৃষকদের কাছে তো আর গম মজুত নেই। সব বড় ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়েছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, সরকারিভাবে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, এখন সেই দামের চেয়েও অনেক বেশিতে গম বেচাকেনা হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। কৃষক যেখানে ফসলের দাম বেশি পাবেন, সেখানেই বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গত বারের চেয়ে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বাড়লেও গুদামে গম সংগ্রহ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত এক কেজি গমও সংগ্রহ হয়নি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫