শাহীন রহমান, পাবনা
পাবনা বিসিক শিল্পনগরী ভাঙা রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। কারখানা থেকে মালামাল পরিবহন করতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় উদ্যোক্তাদের। সামান্য বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে গাড়ি চলাচল করাও দুরূহ হয়ে পড়ে। বছরের বেশির ভাগ সময় জলাবদ্ধতা থাকায় করুণ পরিস্থিতিতে পড়েন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর লোকজন।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পানি ঢোকে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে ৯০ একর জায়গা নিয়ে পাবনা পৌর সদরের ছাতিয়ানী এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। পরবর্তী সময়ে আরও ৩৫ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে বর্তমানে ১২৫ একর জায়গা নিয়ে জেলার এই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। পাবনা বিসিকের তিনটি প্রবেশপথে ৪ কিলোমিটার সড়ক ও ৮ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০৩টি। এর মধ্যে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপ, এ আর গ্রুপের রাইস মিল, ময়েজ উদ্দিন স্টিল, বনলতা সুইটসসহ বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই শিল্পনগরীতে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বছরে প্রায় এক শ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করতে একই স্থানে নানা প্রতিষ্ঠানের জায়গা দিয়ে সরকারি তত্ত্বাবধানে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে বিসিক কাজ করে যাচ্ছে। তবে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ সেখানকার ব্যবসায়ীরা। অপরিকল্পিত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মালবাহী পরিবহনগুলোকেও নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। শিল্পনগরীর মধ্যে অবস্থিত সড়কের এই অবস্থার কারণে মালবাহী পরিবহনগুলো সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে না। আবার খানাখন্দে পড়ে ক্ষতি হয় যানবাহনের।
পাবনা বিসিকে পণ্য নিয়ে আসা পরিবহনচালক মতিউর রহমান বলেন, পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর মতো এত বাজে অবস্থা আর কোথাও নেই। এখানে মালামাল নিয়ে এলে প্রতিটি যানবাহনের ক্ষতি হয়। খাদে পড়ে ট্রাকের পাতিসহ ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। আবার সড়ক বেহাল হওয়ায় মালামাল ওঠানামায় সময় বেশি লাগে।
বিসিকের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, সরকারকে রাজস্ব, ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বিসিক শিল্পনগরীতে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে গুদামে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল মেলেনি।
এ বিষয়ে কথা হলে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপমহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পনগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান দেওয়া আছে। বাজেট সংকটের কারণে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে সম্প্রতি কিছু অংশের কাজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাজেট বরাদ্দ হলে সব সমস্যার সমাধান করা হবে।’
পাবনা বিসিক শিল্পনগরী ভাঙা রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। কারখানা থেকে মালামাল পরিবহন করতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় উদ্যোক্তাদের। সামান্য বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে গাড়ি চলাচল করাও দুরূহ হয়ে পড়ে। বছরের বেশির ভাগ সময় জলাবদ্ধতা থাকায় করুণ পরিস্থিতিতে পড়েন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর লোকজন।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে পানি ঢোকে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে ৯০ একর জায়গা নিয়ে পাবনা পৌর সদরের ছাতিয়ানী এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। পরবর্তী সময়ে আরও ৩৫ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে বর্তমানে ১২৫ একর জায়গা নিয়ে জেলার এই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। পাবনা বিসিকের তিনটি প্রবেশপথে ৪ কিলোমিটার সড়ক ও ৮ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০৩টি। এর মধ্যে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপ, এ আর গ্রুপের রাইস মিল, ময়েজ উদ্দিন স্টিল, বনলতা সুইটসসহ বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই শিল্পনগরীতে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বছরে প্রায় এক শ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন করতে একই স্থানে নানা প্রতিষ্ঠানের জায়গা দিয়ে সরকারি তত্ত্বাবধানে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে বিসিক কাজ করে যাচ্ছে। তবে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ সেখানকার ব্যবসায়ীরা। অপরিকল্পিত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মালবাহী পরিবহনগুলোকেও নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। শিল্পনগরীর মধ্যে অবস্থিত সড়কের এই অবস্থার কারণে মালবাহী পরিবহনগুলো সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে না। আবার খানাখন্দে পড়ে ক্ষতি হয় যানবাহনের।
পাবনা বিসিকে পণ্য নিয়ে আসা পরিবহনচালক মতিউর রহমান বলেন, পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর মতো এত বাজে অবস্থা আর কোথাও নেই। এখানে মালামাল নিয়ে এলে প্রতিটি যানবাহনের ক্ষতি হয়। খাদে পড়ে ট্রাকের পাতিসহ ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। আবার সড়ক বেহাল হওয়ায় মালামাল ওঠানামায় সময় বেশি লাগে।
বিসিকের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, সরকারকে রাজস্ব, ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বিসিক শিল্পনগরীতে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে গুদামে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল মেলেনি।
এ বিষয়ে কথা হলে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপমহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পনগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান দেওয়া আছে। বাজেট সংকটের কারণে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে সম্প্রতি কিছু অংশের কাজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাজেট বরাদ্দ হলে সব সমস্যার সমাধান করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫