Ajker Patrika

দাওয়াত দিয়ে বাসায় আটকে টাকা আদায় করতেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২২, ১২: ৫৫
দাওয়াত দিয়ে বাসায় আটকে  টাকা আদায় করতেন তাঁরা

কামাল হোসেন (ছদ্মনাম)। বয়স আনুমানিক ৬৩ বছর। জীবনের দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন জনপ্রতিনিধি। সন্তানেরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে রাজধানী ঢাকায় থাকায় এখন তাঁদের সঙ্গেই থাকছেন। পারিবারিক এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় ইভা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। সেই আলাপ থেকে একদিন কামালকে নিজের বাসায় দাওয়াত দেন ইভা। কামাল সেই ঠিকানায় গেলে ইভা তাঁকে অন্য একটি বাসায় নিয়ে যান। বাসাটি বীথি নামের অপর এক নারীর।

ওই বাসায় প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বদলে যায় দৃশ্যপট। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন যুবক অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে শুরু করেন নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে দাবি করা হয় টাকা। নিজের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও মানেননি চক্রের সদস্যরা। এরপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। এদিকে কামালকে না পেয়ে এবং কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে সন্তানেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগের নন্দীপাড়া দক্ষিণগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামালকে উদ্ধার এবং সেই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতারক চক্রের মূল হোতা সাইফুল ও তাঁর কথিত স্ত্রী বীথি আক্তার, মো. সজল তালুকদার, মো. শফিকুল ইসলাম শান্ত ও ইভা। তাঁদের কাছ থেকে নির্যাতনে ব্যবহৃত রশি, লাঠি, আটকে রেখে আদায় করা ৯০ হাজার টাকা, ১২টি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম জব্দ করা হয়।

চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টার্গেট করত।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান গতকাল বলেন, চক্রের মূল হোতা সাইফুল ও বীথি। প্রতারণার জন্যই তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিতেন। চক্রটি ২০১৩ সাল থেকে নারীদের ব্যবহার করে এমন কাজ করে আসছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত