Ajker Patrika

সিলেটে ইফতারের ঐতিহ্য পাতলা খিচুড়ি

লবীব আহমদ, সিলেট
সিলেটে ইফতারের ঐতিহ্য পাতলা খিচুড়ি

পবিত্র রমজান মাস ঘিরে সিলেট অঞ্চলের রয়েছে ব্যতিক্রম ঐতিহ্য। সারা দিনের রোজা শেষে ইফতারে যত বাহারি পদ থাকুক না কেন, পাতলা বা ল্যাটকা খিচুড়ি যদি না থাকে, তাহলে সিলেটিদের আয়োজনই যেন জমে না।

চাল, ডাল ও সবজির মতো সাধারণ উপকরণ দিয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায় এই খিচুড়ি। ইফতারে শরবত ও খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙার পর খিচুড়ি দিনের সবটুকু ক্লান্তি দূর করে দেয়। এটি যেমন বাসাবাড়িতে তৈরি হয়, তেমনি রমজানে খাবারের দোকানগুলোতেও পাওয়া যায়।

সম্প্রতি নগরের চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, সোবহানিঘাট, শিবগঞ্জ, মীরাবাজার, উপশহরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেস্তোরাঁগুলোতে নানা পদের ইফতারির সঙ্গে খিচুড়ি বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় রমজানে যেসব অস্থায়ী ইফতারির দোকান বসানো হয়, সেগুলোতেও খিচুড়ি রাখা হয়েছে। সবখানেই ক্রেতাদের রয়েছে প্রচুর ভিড়। বিশেষ করে ইফতারের আগে রেস্তোরাঁয় পাতলা খিচুড়ি কেনার জন্য লাইন লেগে যাচ্ছে। প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রুবেল আহমদ নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই পাতলা খিচুড়ি নিতে আসি। ইফতারে খিচুড়ি খাওয়া আমাদের সিলেটিদের ঐতিহ্য। খিচুড়ি খেলে আলাদা একটা শান্তি পাওয়া যায়। এটি খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। আর এটি খেতে ভালো লাগে বলেই প্রতিদিন নিতে আসি।’

বাদশা মিয়া নামের এক বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতিদিন ৫০০-৬০০ কেজির মতো খিচুড়ি বিক্রি করেন। তিনি চিনিগুঁড়া চাল আর ছয় ধরনের ডালের সঙ্গে শাকসবজি দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করেন।

সিলেটিদের ইফতার-সংস্কৃতির বিষয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খিচুড়ি। এই খিচুড়ির মধ্যে পাতলা খিচুড়িটা সিলেট অঞ্চলে বিশেষভাবে চলে। খিচুড়ি না হলে যেন ইফতারই হয় না। খাবার হিসেবেও এটি স্বাস্থ্যসম্মত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ৭ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত