Ajker Patrika

সাংবাদিকের ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালালেন অসাধু ব্যবসায়ী

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
সাংবাদিকের ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালালেন অসাধু ব্যবসায়ী

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের লাহিড়ী বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে টিসিবির ২ লিটার ওজনের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২২০ টাকা দরে কিনলেও খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন ৩৪০ টাকা দামে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে হাতেনাতে ধরা খেয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনের। 

শুক্রবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাটের কয়েকটি দোকানে সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা টিসিবির বেশ কিছু বসুন্ধরা বোতলজাত সয়াবিন তেল। স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে একজন ক্রেতা সেজে তেল কিনতে চাইলে, তেলের বোতল দেওয়ার আগেই ২ লিটার তেলের মূল্য চাইলেন ৩৪০ টাকা। সেই বোতল হাতে নেওয়ার পর বোতলের একপাশে স্টিকার ছেঁড়া পাওয়া গেলেও গায়ে কোনো মূল্য লেখা ছিল না। 

এ সময় আকরাম আলী নামে এক দোকানির বসার স্থানের পেছনে পাওয়া যায় টিসিবির মনোগ্রামসহ আরও এক বাক্স সয়াবিন তেল। 

জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাসার খাওয়ার জন্য দোকানের কর্মচারীদের লাইনে দাড় করিয়ে দিয়ে কিনেছেন ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল। 

 ‘দোকানে ওই তেল রেখে বিক্রি করছেন কেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ওই দোকানি বলেন, ‘দোকানে কর্মচারী ছেলেটি ভুল করে বিক্রির চেষ্টা করছিল।’ তবে দোকানে পাওয়া টিসিবির বাক্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। 

এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তোলা শুরু করলে আশপাশের দোকানগুলো দ্রুত বন্ধ করে পালিয়ে যান দোকানিরা। 

বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাটে মুদি দোকানে পাওয়া টিসিবির বোতলজাত ২টা লিটারের সয়াবিন তেলবাজারের কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ীর জানিয়েছেন, বাজারের বেশির ভাগ দোকানে এ রকম টিসিবির তেল, ডাল ও চিনি পাওয়া যাবে। সবাই প্রায় খোলামেলা ভাবেই এগুলো বিক্রি করছে। টিভি ও পত্রিকায় এসব বন্ধে অভিযানের খবর শুনলেও বাস্তবে বাজারে এমন অভিযান দেখতে পাননি। 

এ বিষয়ে লাহিড়ী বাজার এলাকার টিসিবি ডিলার শিমুল বলেন, ‘দোকানে পাওয়া টিসিবির তেল কোথায় থেকে এসেছে আমার জানা নেই। আমি কোনো দোকানির কাছে কখনোই বিক্রি করিনি। নিয়ম মেনেই টিসিবির মাল বিক্রি করছি। এমনিতেই ক্রেতার অভাব নেই। দোকানের কাছে বিক্রি করার প্রশ্নই আসে না।’ 

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। টিসিবির কাছ থেকে কেনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রয়ের প্রমাণ মিললে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত