Ajker Patrika

আশা দেখাচ্ছে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর

মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ২৩
আশা দেখাচ্ছে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদী ঘিরে ছোট-বড় অন্তত ৩০টি চর জেগে উঠেছে। গত কয়েক বছরে নতুন করে জেগে ওঠা এসব চর নিয়ে মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, চরগুলোকে উৎপাদনমুখী করে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড থেকে চেয়ারম্যান ঘাট হয়ে উত্তাল মেঘনায় ২১ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় দক্ষিণের হাতিয়ায়। একসময় দক্ষিণ দিকে এ হাতিয়াই ছিল জেলার শেষ সীমানা। কিন্তু বর্তমানে বরং হাতিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যেতে যেতে চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ নতুন ভূমি। যার কয়েকটিতে ইতিমধ্যে বসতিও গড়ে উঠেছে।

নীলক্ষ্মী, সাগরদি, হরণী, চানন্দী, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়ন নিয়ে হাতিয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৮৯০ সালের দিকে খরস্রোতা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছিল এসব ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশসহ বহু জনপদ। তবে যে পরিমাণ ভূমি বিলীন হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভূমি ফিরিয়ে দিয়েছে মেঘনা। বর্তমানে জেগে ওঠা এসব চরে হাজার হাজার একর জমি এখন দৃশ্যমান।

বন বিভাগের তথ্যমতে, নতুন করে জেগে ওঠা চরগুলোর মধ্যে চরঘাসিয়ার আয়তন ৫ হাজার ১ একর, ঢালচর ৪ হাজার, চর আতাউর ৫ হাজার ৬৮৩, চর মোহাম্মদ আলী ১ হাজার ১৭১, দমারচর ৬ হাজার ৩৬০, চর আয়েশা ৫ হাজার ২১৩, চর গাঙ্গুরিয়া ১০ হাজার ২, চর নুরুল ইসলাম ১০ হাজার ৩, চর প্রিয়া ২ হাজার ৯৯৯, চর ওছখালী ৭ হাজার ২, চর ইউনুস ৩ হাজার ৭০০, নতুন চর ইউনুস ৭০০, চরকমলা ১৩ হাজার ৩৩৯, চর ওসমান ৫ হাজার ৫০০, চর মুয়িদ ৩ হাজার ৩০০, চর কবিরা ২ হাজার, চর কালাম ৮ হাজার ৭৮৫, খাজারচর ৪ হাজার ৫০০, চর রৌশন ৪ হাজার ৫০০ ও চর জোহান ৫ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে প্রায় সবগুলো চরের ৪৫ হাজার একর জমি উদ্যানের আওতায় আনা হয়েছে।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, ইতিমধ্যে বসতি গড়ে উঠেছে চর ঘাসিয়া, ঢালচর, চরআতউরসহ কয়েকটি চরে। চর মোহাম্মদ আলী, দমারচর, চর জোনাক, চর গাঙ্গুরিয়া, চর নুরুল ইসলাম, চর প্রিয়া, চর ওছখালীসহ কয়েকটি চরে ধান চাষের পাশাপাশি রয়েছে গরু, মহিষ ও ভেড়ার বাতান।

চরে গরু-মহিষ পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্রাকৃতিক দুর্যোগে চরগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেলে নৌকা ও গাছে অবস্থান নিয়ে মানুষ রক্ষা পেলেও প্রাণহানি হয় নিরীহ পশুর। জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় একাধিকবার ধান চাষ করেও কৃষকদের পক্ষে মাত্র একবার ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে। এরপরও প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকার কৃষিপণ্য উৎপাদন হয় বিচ্ছিন্ন এসব চরে। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে চরগুলো কৃষির আওতায় আনা হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

তিন যুগ ধরে হাতিয়ার অনেক পরিবর্তন দেখা হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, হাতিয়ার চারপাশে প্রাকৃতিকভাবে যেভাবে ভূমি জেগে উঠছে, আগামী ১৫-২০ বছর পর চরগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত হয়ে বড় এলাকা হয়ে উঠবে। সরকারিভাবে এসব চরে বাঁধ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হলে কৃষি, শিল্প কারখানাসহ অনেক কিছু করা সম্ভব। এ ছাড়া নদীভাঙা ও ভূমিহীন মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা যাবে এসব চরে। চরগুলোকে উৎপাদনমুখী করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী তিনি।

কিছু চরে ইতিমধ্যে বসতি গড়ে উঠেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাহাতিয়ার সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু বলেন, জেগে ওঠা চরগুলোর সার্বিক উন্নয়নে ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষগুলোকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়ার চারপাশে জেগে ওঠা নতুন চরগুলোতে ধান, বাদাম, সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন হচ্ছে। বিস্তীর্ণ চরে অসংখ্য গরু-মহিষ পালন করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি অন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় কৃষক দলের দুই নেতা নিহত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চান্দাইকানা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক ও ডুমরাই গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮) এবং একই ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে চালক পালিয়ে গেছে। লাশ দুটি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়াগাঁতী এলাকা থেকে হাটিকুমরুলের দিকে যাচ্ছিলেন ফারুক ও ফরিদুল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুকও মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে চিরকুটসহ নবজাতক রেখে গেলেন দুজন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে নবজাতক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে নবজাতক। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বজনেরা। এ সময় নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে নবজাতককে দত্তক নিতে অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নবজাতকটি কন্যাশিশু। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নবজাতকের কাছে রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন হতোভাগি। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ—৪-১১-২০২৫, রোজ-মঙ্গলবার। এগুলো সব বাচ্চার ওষুধ। আমি মুসলমান জাতির মেয়ে।’

আজ বিকেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে। আমি শিশুটির মাকে খোঁজ করি। তাঁরা বলেন, শিশুটির মা নিচে আছে। আমি মাকে নিয়ে আসতে বললে বাচ্চাসহ ওই দম্পতি বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে শিশু ওয়ার্ডের বাইরে একটি বেডে বাচ্চাটিকে একা থাকতে দেখে অন্যরা বিষয়টি আমাদের জানান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির মা ও স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির বিছানায় একটি বাজারের ব্যাগে কিছু ওষুধ, ডায়াপার ও জামাকাপড় পাওয়া গেছে।’ এ সময় চিকিৎসক গোলাম আহাদ জানান, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের যে সময়কাল, তার আগেই নবজাতকের জন্ম। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, একটি ব্যাগে ভরে বাচ্চাটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত এনেছেন তার স্বজনেরা। এরই মধ্যে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদমদীঘিতে নারী গ্রেপ্তার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিড়ালের গলা কেটে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিড়ালের প্রতি এমন নির্মমতার প্রতিবাদে সরব হয় বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ নভেম্বর) আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংগঠনটির সদস্য এমরান হোসেন।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিড়াল হত্যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র‍্যালির আয়োজন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত