খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কমিটি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির একটি পক্ষ বলেছে, খুলনার আলোচিত শেখবাড়ির আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচন কমিটি গঠনের দাবি তাদের। আর এ দাবিতে তারা ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছে। তবে অপর গ্রুপটি বলেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে, এখানে তাদের কোনো হাত নেই।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আমলে বিসিডিএস নিয়ন্ত্রিত হতো আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দ্বারা। শেষ কয়েক বছর খুলনার শেখবাড়ি থেকেই কমিটি দেওয়া হতো। তাদের মতের বাইরে যারাই যেত, তাদের বাদ দিয়ে ঘোষণা করা হতো কমিটি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। এরপর থেকে শেখবাড়ির হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই লম্বা সময়ে সরকারি হাসপাতালের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
বিসিডিএসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আজিজুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এই কমিটির মধ্যে ১০ জনই আগের কমিটির সদস্য। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে খান মাহতাব আহমেদকে। যিনি কোনো ব্যবসায়ীই নন। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী খান সাইফুল ইসলামকে, যাঁর বিরুদ্ধে খুলনার সব হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ সিন্ডিকেটের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনা শিশু হাসপাতালের ওষুধ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, যা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ আমলেও সব কমিটিতে ছিলেন। আবার কতিপয় নেতাকে ভুল বুঝিয়ে বর্তমান কমিটিতেও বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পূর্বের কমিটির মো. আব্দুল লতিফ শেখ, আনিছুর রহমান লিটু, মো. ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার, হেদায়েতুল ইসলাম পলাশ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল মান্নান মোড়ল, মো. আবিদউজ্জামান, মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. তৌফিক হোসেন।
অভিযোগ উঠেছে এসব সদস্য আগে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। শেখবাড়ি ব্যবহার করে সমিতির নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। তাদের দিয়ে গঠিত এই কমিটি আবারও ওষুধ ব্যবসায়ীদের জন্য ফ্যাসিবাদ জন্ম দেবে।
এদিকে এই কমিটি বাদ দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনকালীন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে গতকাল শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, উক্ত আওয়ামী কমিটি অনতিবিলম্বে বাতিল করে নির্বাচন কমিটি গঠন করে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা না হলে খুলনার সাধারণ কেমিস্টগণ পরবর্তী ৪ দফা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মারকলিপি প্রদান, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, মানববন্ধন কর্মসূচি ও খুলনা জেলাব্যাপী ফার্মেসি দোকান বন্ধ রাখা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমিতিতে এখন তিনটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর। এর একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কবির উদ্দিন বাবলু। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোজাম্মেল হক। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস পোড়ানোর মামলা রয়েছে। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন খান সাইফুল ইসলাম, যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনিয়মের অভিযোগে মামলাও হয়। অন্যদিকে সাধারণ সদস্যদের একটি অংশ এ দুই গ্রুপের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কমিটি গঠন করতে চাইছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক খান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৯ আগস্ট আগের কমিটি বাতিল করে ১৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।’
খুলনা জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কমিটি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির একটি পক্ষ বলেছে, খুলনার আলোচিত শেখবাড়ির আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচন কমিটি গঠনের দাবি তাদের। আর এ দাবিতে তারা ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছে। তবে অপর গ্রুপটি বলেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে, এখানে তাদের কোনো হাত নেই।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আমলে বিসিডিএস নিয়ন্ত্রিত হতো আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দ্বারা। শেষ কয়েক বছর খুলনার শেখবাড়ি থেকেই কমিটি দেওয়া হতো। তাদের মতের বাইরে যারাই যেত, তাদের বাদ দিয়ে ঘোষণা করা হতো কমিটি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। এরপর থেকে শেখবাড়ির হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই লম্বা সময়ে সরকারি হাসপাতালের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
বিসিডিএসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আজিজুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এই কমিটির মধ্যে ১০ জনই আগের কমিটির সদস্য। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে খান মাহতাব আহমেদকে। যিনি কোনো ব্যবসায়ীই নন। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী খান সাইফুল ইসলামকে, যাঁর বিরুদ্ধে খুলনার সব হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ সিন্ডিকেটের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনা শিশু হাসপাতালের ওষুধ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, যা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ আমলেও সব কমিটিতে ছিলেন। আবার কতিপয় নেতাকে ভুল বুঝিয়ে বর্তমান কমিটিতেও বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পূর্বের কমিটির মো. আব্দুল লতিফ শেখ, আনিছুর রহমান লিটু, মো. ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার, হেদায়েতুল ইসলাম পলাশ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল মান্নান মোড়ল, মো. আবিদউজ্জামান, মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. তৌফিক হোসেন।
অভিযোগ উঠেছে এসব সদস্য আগে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। শেখবাড়ি ব্যবহার করে সমিতির নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। তাদের দিয়ে গঠিত এই কমিটি আবারও ওষুধ ব্যবসায়ীদের জন্য ফ্যাসিবাদ জন্ম দেবে।
এদিকে এই কমিটি বাদ দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনকালীন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে গতকাল শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, উক্ত আওয়ামী কমিটি অনতিবিলম্বে বাতিল করে নির্বাচন কমিটি গঠন করে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা না হলে খুলনার সাধারণ কেমিস্টগণ পরবর্তী ৪ দফা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মারকলিপি প্রদান, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, মানববন্ধন কর্মসূচি ও খুলনা জেলাব্যাপী ফার্মেসি দোকান বন্ধ রাখা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমিতিতে এখন তিনটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর। এর একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কবির উদ্দিন বাবলু। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোজাম্মেল হক। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস পোড়ানোর মামলা রয়েছে। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন খান সাইফুল ইসলাম, যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনিয়মের অভিযোগে মামলাও হয়। অন্যদিকে সাধারণ সদস্যদের একটি অংশ এ দুই গ্রুপের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কমিটি গঠন করতে চাইছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক খান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৯ আগস্ট আগের কমিটি বাতিল করে ১৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।’
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান চালায়। এ সময় পুরো হাসপাতাল চত্বর ঘুরে ঘুরে দেখেন দুদকের সদস্যরা।
৪ মিনিট আগেশেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সাংবাদিক মো. খোরশেদ আলমের ওপর চোরাকারবারিদের হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত দুই ও অজ্ঞাতনামা আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১১ মিনিট আগেগণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের নীতি ছিল লুটেপুটে খাওয়া। সেই লুটপাটের নীতির ফলে অসংখ্য মিল ও কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থানের পথ রুদ্ধ হয়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে।’
১৩ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে ফসলি জমিতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু তালেব (৫৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগে