Ajker Patrika

দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলনে কুয়েট শিক্ষক সমিতি, মানববন্ধন শিক্ষার্থীদেরও

খুলনা প্রতিনিধি
শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের জন্য তিন সপ্তাহের সময় দিয়ে তাঁরা ক্লাসে ফিরেছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবস্থান কর্মসূচিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়ে ক্লাসে ফিরেছি। কিন্তু এই সময়ে লাঞ্ছনায় জড়িত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী ২৬ আগস্টের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব। এ ছাড়া আগামী ২৫ ও ২৬ আগস্ট আবারও একই কর্মসূচি পালন করা হবে।’

কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে কুয়েটের নতুন উপাচার্য আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসন করছেন অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। দুপুরে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রাহুল জাবেদ, ইফাজ জমাদ্দার, শাকিব ফয়সাল অয়ন, জিলানী, রাজিম, সিয়াম, মাসুম, খাইরুল প্রমুখ।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত আমার কোনো মন্তব্য নেই। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। চার-পাঁচজন নিয়ে মানববন্ধন। আপনারা ফেসবুক দেখেন, সেখানে কে কী বলছেন।’

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীর পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েক শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছনা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। তবে শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। তারা ২৮ জুলাই পর্যন্ত টানা তিন মাস ক্লাস বন্ধ রাখে। সব মিলিয়ে পাঁচ মাস লেখাপড়া বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৯ জুলাই থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

সরকারের কমিটি পছন্দ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ‎প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত