Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৯
গোপালগঞ্জে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের মরদেহ গোপালগঞ্জে তাঁর বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আমিতোষ হালদার গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পাটিকেলবাড়ি ইউনিয়নের ভূপেন হালদারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষককেরা।

পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বাড়িতে কয়েক পাতা সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফসান জানি খান বলেন, ‘উনি আমাদের দুই বছরের সিনিয়র ছিলেন। বিভিন্ন সমস্যার কারণে তিনি পুনঃ ভর্তি হয়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি দরকার ছাড়া আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন না। সিনিয়র হওয়ায় আমরাও তেমন জোর করে সম্পর্ক করতে যেতাম না। আমাদের ধারণা, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। খুবই অসাধারণ মানুষ ছিলেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অমিতোষ হালদারের বিষয়ে আমি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহবধূর বদনাও নিয়ে গেল এনজিও

বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
গৃহবধূর বদনাও নিয়ে গেল এনজিও

বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর সোনার আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর এক কর্মী পাস বইয়ে আংটি বাবদ আট হাজার ও বদনা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন।

গতকাল শনিবার এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

উপজেলার আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা কান্নাজড়িতকণ্ঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তাঁর ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তাঁর স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন

এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপি হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় ওই এনজিওর কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। অফিসে নিয়ে তাঁকে ও তাঁর তিন বছরের কন্যাশিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে এনজিওর কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এ সময় তাঁর শিশুটি ক্ষুধায় ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, ‘গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপি ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় আটক তরুণ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব
রাজধানীর বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার মো. শান্তকে আটক করা হয়। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় মো. শান্ত নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে।

বিমানবন্দর গোলচত্বরসংলগ্ন এলাকা থেকে আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া শান্ত ঢাকার শাহজাহানপুরের রাজারবাগ গোলাপবাগের আক্কেল আলী ওরফে চান মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার) মো. পারভেজ রানা বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় তন্ময় (১৫) নামের স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাইকালে শান্ত (২১) নামের এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি তন্ময়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পারভেজ রানা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় পদ্মার চরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান, গ্রেপ্তার ৯

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার চরে অভিযান চালাতে নৌপথে পুলিশের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলে পুলিশের ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চলেছে। আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নিয়মিত মামলা, সাজা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে চরের গভীর এলাকা থেকে অপরাধীদের ব্যবহৃত দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, দুটি নৌকা, তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও অস্ত্র রাখার বিশেষভাবে তৈরি দুটি চেম্বার উদ্ধার করা হয়।

জেলাজুড়ে চলা অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং তদারকি করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শেখ জয়নুদ্দীন, পিপিএম-সেবা। অভিযানে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৩১৫ জন সদস্য অংশ নেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পদ্মার চরাঞ্চলে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘সকাল থেকে চলা অভিযানে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে আমরা পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।’ অন্যদিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পদ্মার চরের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে ১ নভেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী’ শিরোনামে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, দৌলতপুরের পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল ও ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কাকন ও মণ্ডল বাহিনীর পাশাপাশি টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক, বাহান্ন বাহিনীসহ ডজনখানেক সশস্ত্র দলের সক্রিয়তা রয়েছে সেখানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইট: কাকন বাহিনীর ২১ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও বাঘা প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৫
ছবি: মিলন শেখ
ছবি: মিলন শেখ

রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ‘কাকন বাহিনী’র ২১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোররাত থেকে রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযানে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি জানান, ‘কাকন বাহিনী’ দমনে পুলিশ, র‍্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’। এতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নিচ্ছেন। ডিআইজি বলেন, ‘অভিযান চলাকালে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি অস্ত্র, মাদক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাকন বাহিনীর ২১ সদস্যকে। অভিযান এখনো চলছে। আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন। পরবর্তী সময়ে বাহিনীপ্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলায় কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। কাকন বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘পদ্মা চরের আতঙ্ক কাকন বাহিনী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত