Ajker Patrika

ফরিদপুরে এ কে আজাদের গণসংযোগে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৫৬
ফরিদপুরে এ কে আজাদের গণসংযোগে হামলা—গাড়ি ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে এ কে আজাদের গণসংযোগে হামলা—গাড়ি ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুর সাবেক এমপি ও শিল্পপতি এ কে আজাদের গণসংযোগ চলাকালে শোডাউন করেছেন বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় এ কে আজাদের দুটি গাড়ি ভাঙচুরসহ তাঁর ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ রোববার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, পরমানন্দপুরে আজ ছিল হাটের দিন। সেখানে এ কে আজাদ গণসংযোগ করতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে যুবদলের লোকজনও গণসংযোগ করছিল। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় চলে এলে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে বাজারে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে ১৫-১৬টি গাড়িবহর নিয়ে পৌঁছান এ কে আজাদ। একই সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে শতাধিক লোক সেখানে জমায়েত হয়।

তাঁরা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচার করেন এবং গণসংযোগ করেন। নায়াব ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির একাংশের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী।

পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফরিদপুর শহরে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগে মশাল মিছিল করেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদল নেতা পারভেজ খান আহানের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এ কে আজাদের সমর্থকেরা জানান, গণসংযোগের গাড়িবহর পৌঁছালে এ কে আজাদের উদ্দেশে স্লোগান দেন বিএনপির লোকজন। তাঁরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দিয়ে এ কে আজাদকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ সময় মিছিলকারীদের নায়াব ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা যায়।

ওই সময় এ কে আজাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশের চেষ্টায় অধিকাংশ গাড়ি পার হয়ে গেলে বহরের শেষ দিকে থাকা দুটি গাড়িতে আঘাত করেন বিএনপির লোকজন। এ সময় দুটি গাড়ির সামনের গ্লাস ফেটে যায়।

জানতে চাইলে যুবদল নেতা মো. নান্নু মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘এ কে আজাদ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে এনে জনসংযোগ করছিলেন; যারা জুলাই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছিল। বিষয়টি তৃণমূলের নেতা-কর্মী মেনে নিতে পারেননি।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিল্পপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘রাজনীতিতে এ সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকও এ-জাতীয় আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এ-জাতীয় আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করেনি। এসব ঘটনা রাজনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করবে।’

অন্যদিকে মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘এ কে আজাদ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই, তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কথা বলছেন, যাতে আমার ক্ষতি হয়।’ তিনি বলেন, তাঁর বহরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ পদধারী নেতারা থাকেন। তাঁদের দেখে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রাহকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

‎জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রী সপরিবারে পুলিশ হেফাজতে

পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়িতে জবি ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ

৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১২১৯

একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক

এলাকার খবর
Loading...