নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
কিন্তু অসংখ্য সদস্য হওয়ায় দলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা শিবির অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ জন্য মহানগর ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়নি। এবার বিএম কলেজে সেই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। তবে নেতৃত্ব দখলে তৎপর রয়েছে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ। সে জন্য কাউন্সিলের আগে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংগঠনটির একটি অংশের দাবি, নির্বাচনে জিততে ভোটার বানাতে এতসংখ্যক সদস্য নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএম কলেজে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য হতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ৩ জন এবং জাল ভোটার ৪ জন ধরা পড়েছে। কিন্তু শিবির গুপ্ত রাজনীতি করে, তাই তাদের ধরা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ কেউ নিজস্ব প্রার্থীকে সভাপতি-সম্পাদক করতে প্রভাব খাটাচ্ছেন।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সফিউল বাশার বলেন, ‘কাউন্সিলের প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। চরম দুর্দিনে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছে, তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ওপর যে সংখ্যক প্রাথমিক সদস্য করা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মী ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের ৩ জনই ছাত্রলীগের সদস্য।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব সজল তালুকদার বলেন, ‘হালনাগাদ ভোটার হয়েছে ২ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের মধ্যে নানা ত্রুটির কারণে দুই শতাধিক বাদ পড়বে। যদিও কিছু ভুয়া ভোটার ধরা পড়েছে, ওরা ছাত্রলীগ করত।’
প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শিবির ও ছাত্রলীগ ঢুকে পড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সজল তালুকদার বলেন, ‘বিএম কলেজ ছাত্রদলে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ রয়েছে। মিছিলে নামলে ৩০০ লোকও হতো না। এখন ২ হাজার ৭০০ জন কোথা থেকে এল?’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সোমবার (আজ)। আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হতে পারে।’
প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ ওরকম প্রভাব বিস্তার করছেন না। সবারই পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু এই কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে।’ গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা কী করে দলে ঢুকে পড়ে? মহানগর ছাত্রদলের বিএম কলেজে কেন এত তৎপরতা? তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে বিষয়টি জানাবেন এবং নির্বাচনে যাতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়, সে বিষয়ে নজর রাখবেন।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
কিন্তু অসংখ্য সদস্য হওয়ায় দলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা শিবির অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ জন্য মহানগর ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়নি। এবার বিএম কলেজে সেই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। তবে নেতৃত্ব দখলে তৎপর রয়েছে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ। সে জন্য কাউন্সিলের আগে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংগঠনটির একটি অংশের দাবি, নির্বাচনে জিততে ভোটার বানাতে এতসংখ্যক সদস্য নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএম কলেজে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য হতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ৩ জন এবং জাল ভোটার ৪ জন ধরা পড়েছে। কিন্তু শিবির গুপ্ত রাজনীতি করে, তাই তাদের ধরা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ কেউ নিজস্ব প্রার্থীকে সভাপতি-সম্পাদক করতে প্রভাব খাটাচ্ছেন।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সফিউল বাশার বলেন, ‘কাউন্সিলের প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। চরম দুর্দিনে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছে, তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ওপর যে সংখ্যক প্রাথমিক সদস্য করা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মী ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের ৩ জনই ছাত্রলীগের সদস্য।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব সজল তালুকদার বলেন, ‘হালনাগাদ ভোটার হয়েছে ২ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের মধ্যে নানা ত্রুটির কারণে দুই শতাধিক বাদ পড়বে। যদিও কিছু ভুয়া ভোটার ধরা পড়েছে, ওরা ছাত্রলীগ করত।’
প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শিবির ও ছাত্রলীগ ঢুকে পড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সজল তালুকদার বলেন, ‘বিএম কলেজ ছাত্রদলে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ রয়েছে। মিছিলে নামলে ৩০০ লোকও হতো না। এখন ২ হাজার ৭০০ জন কোথা থেকে এল?’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সোমবার (আজ)। আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হতে পারে।’
প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ ওরকম প্রভাব বিস্তার করছেন না। সবারই পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু এই কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে।’ গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা কী করে দলে ঢুকে পড়ে? মহানগর ছাত্রদলের বিএম কলেজে কেন এত তৎপরতা? তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে বিষয়টি জানাবেন এবং নির্বাচনে যাতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়, সে বিষয়ে নজর রাখবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
কিন্তু অসংখ্য সদস্য হওয়ায় দলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা শিবির অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ জন্য মহানগর ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়নি। এবার বিএম কলেজে সেই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। তবে নেতৃত্ব দখলে তৎপর রয়েছে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ। সে জন্য কাউন্সিলের আগে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংগঠনটির একটি অংশের দাবি, নির্বাচনে জিততে ভোটার বানাতে এতসংখ্যক সদস্য নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএম কলেজে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য হতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ৩ জন এবং জাল ভোটার ৪ জন ধরা পড়েছে। কিন্তু শিবির গুপ্ত রাজনীতি করে, তাই তাদের ধরা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ কেউ নিজস্ব প্রার্থীকে সভাপতি-সম্পাদক করতে প্রভাব খাটাচ্ছেন।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সফিউল বাশার বলেন, ‘কাউন্সিলের প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। চরম দুর্দিনে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছে, তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ওপর যে সংখ্যক প্রাথমিক সদস্য করা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মী ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের ৩ জনই ছাত্রলীগের সদস্য।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব সজল তালুকদার বলেন, ‘হালনাগাদ ভোটার হয়েছে ২ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের মধ্যে নানা ত্রুটির কারণে দুই শতাধিক বাদ পড়বে। যদিও কিছু ভুয়া ভোটার ধরা পড়েছে, ওরা ছাত্রলীগ করত।’
প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শিবির ও ছাত্রলীগ ঢুকে পড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সজল তালুকদার বলেন, ‘বিএম কলেজ ছাত্রদলে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ রয়েছে। মিছিলে নামলে ৩০০ লোকও হতো না। এখন ২ হাজার ৭০০ জন কোথা থেকে এল?’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সোমবার (আজ)। আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হতে পারে।’
প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ ওরকম প্রভাব বিস্তার করছেন না। সবারই পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু এই কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে।’ গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা কী করে দলে ঢুকে পড়ে? মহানগর ছাত্রদলের বিএম কলেজে কেন এত তৎপরতা? তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে বিষয়টি জানাবেন এবং নির্বাচনে যাতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়, সে বিষয়ে নজর রাখবেন।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
কিন্তু অসংখ্য সদস্য হওয়ায় দলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা শিবির অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ জন্য মহানগর ছাত্রদলের কোনো কোনো নেতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়নি। এবার বিএম কলেজে সেই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। তবে নেতৃত্ব দখলে তৎপর রয়েছে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ। সে জন্য কাউন্সিলের আগে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সদস্যদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংগঠনটির একটি অংশের দাবি, নির্বাচনে জিততে ভোটার বানাতে এতসংখ্যক সদস্য নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএম কলেজে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য হতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ৩ জন এবং জাল ভোটার ৪ জন ধরা পড়েছে। কিন্তু শিবির গুপ্ত রাজনীতি করে, তাই তাদের ধরা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ কেউ নিজস্ব প্রার্থীকে সভাপতি-সম্পাদক করতে প্রভাব খাটাচ্ছেন।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সফিউল বাশার বলেন, ‘কাউন্সিলের প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। চরম দুর্দিনে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছে, তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ওপর যে সংখ্যক প্রাথমিক সদস্য করা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মী ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের ৩ জনই ছাত্রলীগের সদস্য।’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব সজল তালুকদার বলেন, ‘হালনাগাদ ভোটার হয়েছে ২ হাজার ৭০০ জন। তাঁদের মধ্যে নানা ত্রুটির কারণে দুই শতাধিক বাদ পড়বে। যদিও কিছু ভুয়া ভোটার ধরা পড়েছে, ওরা ছাত্রলীগ করত।’
প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শিবির ও ছাত্রলীগ ঢুকে পড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সজল তালুকদার বলেন, ‘বিএম কলেজ ছাত্রদলে ৫ থেকে ৭টি গ্রুপ রয়েছে। মিছিলে নামলে ৩০০ লোকও হতো না। এখন ২ হাজার ৭০০ জন কোথা থেকে এল?’
বিএম কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে সোমবার (আজ)। আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হতে পারে।’
প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কেউ ওরকম প্রভাব বিস্তার করছেন না। সবারই পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু এই কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে।’ গত ১৬ বছরে বরিশাল জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা কী করে দলে ঢুকে পড়ে? মহানগর ছাত্রদলের বিএম কলেজে কেন এত তৎপরতা? তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে বিষয়টি জানাবেন এবং নির্বাচনে যাতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়, সে বিষয়ে নজর রাখবেন।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
৩ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক
আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
অভিযোগ রয়েছে, অসমাপ্ত অবকাঠামো, নিম্নমানের নির্মাণ ও নানা অনিয়মের কারণে শিল্প স্থাপন এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেক প্লটেই মাটি ভরাট হয়নি, ড্রেনেজ ও পানি-সংযোগ অকার্যকর, রাস্তা অসম্পূর্ণ। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন প্লট হাতে পেয়েও কাজে নামতে পারছেন না।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিসিক শিল্পপার্ক পুরোপুরি চালু হলে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে অসমাপ্ত কাজের কারণে সে সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও, এমনকি কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ হয়নি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন না হলে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে এবং সরকারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে।
সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পুকুরের মতো নিচু জমি, কোথাও আবার অর্ধসমাপ্ত রাস্তা। ড্রেনের পাইপ পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির পর পানি জমে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সরকার আর্ট প্রেসের মালিক সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্লটের বদলে পুকুর দিয়েছেন। হয়তো ভুলবশত পুকুরের জায়গায় প্লট লিখে ফেলেছেন। এখানে মাছ চাষ করা সম্ভব, ফ্যাক্টরি নয়।’
গোল্ডেন প্রিমিয়াম ওয়েল মিলসের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যে প্লট আমাদের দেওয়া হয়েছে, সেটা রাস্তার চেয়ে ৫-৬ ফুট নিচে। প্রায় ৫ লাখ সিএফটি বালু কম দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় শিল্প স্থাপন করা কঠিন।’
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘এখানে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখানে আমাদের মতো উদ্যোক্তারা এখন বিনিয়োগ করতেই ভয় পাচ্ছি। তবে যাঁরা এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করি।’
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ৭১৯ কোটি টাকায় নির্মিত এই বিশাল শিল্পপার্কে রয়েছে ৮২৯টি প্লট। এর মধ্যে ৫৫০টি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য, আর দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ ২৭৯টি।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই শিল্পপার্ক হতে পারে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্পাঞ্চল। নৌ, রেল ও সড়ক পথের সুবিধা থাকায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিসিক সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি উদ্যোক্তাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৫ একর। এতে প্লটের সংখ্যা রয়েছে ২৭৯টি। আমরা প্রথম পর্যায়ে ১৯৬টি বরাদ্দ দিয়েছি। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৩টি প্লট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর যেখানে প্লটের মাটি বা বালু কম রয়েছে, সেখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে সে কাজগুলো করা হবে।’
স্থানীয়ভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব নিয়ে অভিযোগ উঠেছে; এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের অবস্থান কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ২০২৫ সালে এখানে জয়েন করেছি। এর আগে যাঁরা দায়িত্ব ছিলেন, তাঁদের আপনি এ প্রশ্ন করেন।’
অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
অভিযোগ রয়েছে, অসমাপ্ত অবকাঠামো, নিম্নমানের নির্মাণ ও নানা অনিয়মের কারণে শিল্প স্থাপন এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেক প্লটেই মাটি ভরাট হয়নি, ড্রেনেজ ও পানি-সংযোগ অকার্যকর, রাস্তা অসম্পূর্ণ। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন প্লট হাতে পেয়েও কাজে নামতে পারছেন না।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিসিক শিল্পপার্ক পুরোপুরি চালু হলে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে অসমাপ্ত কাজের কারণে সে সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও, এমনকি কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ হয়নি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন না হলে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে এবং সরকারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে।
সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পুকুরের মতো নিচু জমি, কোথাও আবার অর্ধসমাপ্ত রাস্তা। ড্রেনের পাইপ পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির পর পানি জমে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সরকার আর্ট প্রেসের মালিক সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্লটের বদলে পুকুর দিয়েছেন। হয়তো ভুলবশত পুকুরের জায়গায় প্লট লিখে ফেলেছেন। এখানে মাছ চাষ করা সম্ভব, ফ্যাক্টরি নয়।’
গোল্ডেন প্রিমিয়াম ওয়েল মিলসের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যে প্লট আমাদের দেওয়া হয়েছে, সেটা রাস্তার চেয়ে ৫-৬ ফুট নিচে। প্রায় ৫ লাখ সিএফটি বালু কম দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় শিল্প স্থাপন করা কঠিন।’
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘এখানে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখানে আমাদের মতো উদ্যোক্তারা এখন বিনিয়োগ করতেই ভয় পাচ্ছি। তবে যাঁরা এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করি।’
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ৭১৯ কোটি টাকায় নির্মিত এই বিশাল শিল্পপার্কে রয়েছে ৮২৯টি প্লট। এর মধ্যে ৫৫০টি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য, আর দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ ২৭৯টি।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই শিল্পপার্ক হতে পারে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্পাঞ্চল। নৌ, রেল ও সড়ক পথের সুবিধা থাকায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিসিক সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশি উদ্যোক্তাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৫ একর। এতে প্লটের সংখ্যা রয়েছে ২৭৯টি। আমরা প্রথম পর্যায়ে ১৯৬টি বরাদ্দ দিয়েছি। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৩টি প্লট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর যেখানে প্লটের মাটি বা বালু কম রয়েছে, সেখানে ঠিকাদারের মাধ্যমে সে কাজগুলো করা হবে।’
স্থানীয়ভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব নিয়ে অভিযোগ উঠেছে; এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের অবস্থান কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ২০২৫ সালে এখানে জয়েন করেছি। এর আগে যাঁরা দায়িত্ব ছিলেন, তাঁদের আপনি এ প্রশ্ন করেন।’
অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
৩ ঘণ্টা আগেমনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলেছে, দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়েছে। রাসায়নিক পণ্য থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সূত্রপাত হওয়া আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করে।
সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে কী পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য আছে, তা নিরূপণে গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা কাস্টমস। প্রতিবেদন তৈরিতে ছিলেন কাস্টমসের পাঁচ কর্মকর্তা, নেতৃত্বে ছিলেন এআরও ফরিদ উদ্দিন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে ছিল জিংক ক্লোরাইড (যা ধুলা বা ধোঁয়ার সঙ্গে নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা করতে পারে), কেমিক্যাল পাউডার, অতি দাহ্য এভারক্লিয়ার, উচ্চমাত্রার বিষাক্ত কীটনাশক ক্লোরপাইরিফস, জৈব রঞ্জক রিঅ্যাকটিভ ডাইসসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য। এ ছাড়া ছিল বেশ কয়েক ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য।
সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আমদানি করা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেই ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যও রাখা হয়। তবে ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে এসব পণ্যের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা করা হয়নি। সবশেষ গত ডিসেম্বরেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি।
উড়োজাহাজ থেকে পণ্য নামানো থেকে শুরু করে আমদানিকারকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের। পণ্য নামানো, স্ক্যানিং, ওজন, হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ, বিলিং ও ডকুমেন্টেশন—সবই বিমান বাংলাদেশের কাজ। আমদানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে প্রতিদিনের জন্য আলাদা ফিও নেয় তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশও অবগত। তবে এ বিষয়ে বিমানের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিমান বাংলাদেশের একাধিক সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে কোনো পণ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মালপত্র বুঝে নিতে হয়। কেউ পণ্য না নিলে ২১ কার্যদিবস পর তা বাজেয়াপ্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা নিলাম করে। কার্গো কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে, সেগুলো নিলাম করে ধ্বংস করা কাস্টমসের আওতাধীন। বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাগাদা দেওয়ার পরও কাস্টমস এসব পণ্য নিলাম করেনি।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও কার্গো টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। এ জন্য বিমানবন্দর ব্যবহার, নিরাপত্তা যাচাই, স্ক্যানিং ও পার্কিং চার্জ নেয় বেবিচক।
ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে এরপর কী হয়েছে তা জানা নেই।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব সামগ্রী বিপজ্জনক ও আগুন লাগার ঝুঁকি রয়েছে বলে ঢাকা কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে বেবিচককে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। এগুলো দ্রুত সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানানো হলেও দীর্ঘদিন সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ বক্তব্য দেননি।
রপ্তানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লজিস্টিক অদক্ষতা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করছেন। সীমিত স্থান ও অপর্যাপ্ত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার কারণে পণ্যবাহী বড় উড়োজাহাজের পরিচালনাও সীমিত। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনাই এই বিপর্যয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।
গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ফলে কমপ্লেক্সের গুদামে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল পুড়ে গেছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবি, এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলেছে, দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়েছে। রাসায়নিক পণ্য থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সূত্রপাত হওয়া আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করে।
সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে কী পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য আছে, তা নিরূপণে গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা কাস্টমস। প্রতিবেদন তৈরিতে ছিলেন কাস্টমসের পাঁচ কর্মকর্তা, নেতৃত্বে ছিলেন এআরও ফরিদ উদ্দিন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে ছিল জিংক ক্লোরাইড (যা ধুলা বা ধোঁয়ার সঙ্গে নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা করতে পারে), কেমিক্যাল পাউডার, অতি দাহ্য এভারক্লিয়ার, উচ্চমাত্রার বিষাক্ত কীটনাশক ক্লোরপাইরিফস, জৈব রঞ্জক রিঅ্যাকটিভ ডাইসসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য। এ ছাড়া ছিল বেশ কয়েক ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য।
সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আমদানি করা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেই ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যও রাখা হয়। তবে ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে এসব পণ্যের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা করা হয়নি। সবশেষ গত ডিসেম্বরেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি।
উড়োজাহাজ থেকে পণ্য নামানো থেকে শুরু করে আমদানিকারকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের। পণ্য নামানো, স্ক্যানিং, ওজন, হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ, বিলিং ও ডকুমেন্টেশন—সবই বিমান বাংলাদেশের কাজ। আমদানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে প্রতিদিনের জন্য আলাদা ফিও নেয় তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশও অবগত। তবে এ বিষয়ে বিমানের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিমান বাংলাদেশের একাধিক সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে কোনো পণ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মালপত্র বুঝে নিতে হয়। কেউ পণ্য না নিলে ২১ কার্যদিবস পর তা বাজেয়াপ্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা নিলাম করে। কার্গো কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে, সেগুলো নিলাম করে ধ্বংস করা কাস্টমসের আওতাধীন। বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাগাদা দেওয়ার পরও কাস্টমস এসব পণ্য নিলাম করেনি।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও কার্গো টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। এ জন্য বিমানবন্দর ব্যবহার, নিরাপত্তা যাচাই, স্ক্যানিং ও পার্কিং চার্জ নেয় বেবিচক।
ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে এরপর কী হয়েছে তা জানা নেই।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব সামগ্রী বিপজ্জনক ও আগুন লাগার ঝুঁকি রয়েছে বলে ঢাকা কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে বেবিচককে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। এগুলো দ্রুত সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানানো হলেও দীর্ঘদিন সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ বক্তব্য দেননি।
রপ্তানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লজিস্টিক অদক্ষতা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করছেন। সীমিত স্থান ও অপর্যাপ্ত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার কারণে পণ্যবাহী বড় উড়োজাহাজের পরিচালনাও সীমিত। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনাই এই বিপর্যয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।
গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ফলে কমপ্লেক্সের গুদামে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল পুড়ে গেছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবি, এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৩ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
৩ ঘণ্টা আগেরাসায়নিকের গুদামে আগুন
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। একই রাস্তার আরেকটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী জুয়েল খানের কাছাকাছি রাসায়নিকের ড্রাম ছিটকে পড়েছিল। ড্রাম থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে অসুস্থ হলে তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। রাসায়নিক কারখানার আশপাশের দুই শ থেকে তিন শ মিটারের মধ্যে থাকা বহু মানুষ অসুস্থ হয়েছে।
এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির বিশেষজ্ঞরা রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এম এস আলম ট্রেডার্সে মজুত রাসায়নিক দ্রব্য এবং তার বিষাক্ত প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে দুর্ঘটনাস্থলের ১৫০-৩০০ মিটার এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এখনো বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ রয়ে গেছে, যা নিরাপদে সরিয়ে নিতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে ফায়ার সার্ভিস শনিবার জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনও বলছেন, আগুনে পোড়া রাসায়নিক পদার্থ থেকে ছড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অনেকে বিভিন্ন মাত্রায় অসুস্থ হয়েছেন। এরই মধ্যে শিশুসহ এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হয়েছে, আর কত দিন এর প্রভাব থাকবে, তা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। গতকাল রোববার ঘটনাস্থল এবং সেখান থেকে কয়েক শ গজ দূর পর্যন্ত জায়গার দোকানি, চাকরিজীবী, স্থায়ী বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এবং পাশের পোশাক কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ছয় দিন পার হলেও এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ধোঁয়া কমলেও ভবনগুলোকে এখনো নিরাপদ ঘোষণা করা হয়নি। গুদামের ভেতরে ও বাইরে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি রয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, এসব গ্যাস স্থানীয়দের শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে স্বল্পমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিরও আশঙ্কা রয়েছে।
১৪ অক্টোবর দুপুরে মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়ীর ওই রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পোশাক কারখানা থেকে ১৬ জনের অঙ্গার হওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছিল, রাসায়নিকের গুদামে ৬-৭ ধরনের পদার্থ মজুত ছিল। ওয়াশিং প্ল্যান্টসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোতে এসব উপাদান ব্যবহার করা হতো। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গুদাম থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া এবং গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
আলম ট্রেডার্স নামের গুদামে মূলত হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ব্লিচিং পাউডার, ডিটারজেন্ট ও অন্যান্য দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ছিল। এগুলো আগুনে পুড়লে বিক্রিয়া করে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস ও বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ তৈরি করতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম বড় অগ্নিকাণ্ডের প্রথম কয়েক দিন ধোঁয়া ও গ্যাসের ঘনত্ব বেশি থাকে, পরে ধীরে ধীরে কমে যায়। কিছু রাসায়নিক দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ মাটিতে থেকে পরবর্তী কিছুদিন ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। দাহ চলার সময় উচ্চমাত্রার কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়। এসবের কারণে শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, গলাব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস বা দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। এমনকি তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ক্লোরিনেটেড অর্গানিক যৌগ ও ডাইঅক্সিন তৈরি হলে দেখা দিতে পারে আরও কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা।’
পরিবেশবিদেরা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে রাসায়নিক পদার্থ পুড়ে ঘন ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাতাসে সব সময় ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম ২.৫ ও পিএম ১০) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেছে। ধোঁয়ায় থাকা ভারী ধাতুসহ বিষাক্ত উপাদান জলাধার ও মাটিতে মিশে ভবিষ্যতে আরও বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। কয়েক দিন পর্যন্ত এলাকাবাসীর মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলাকার কারও হাঁপানি (অ্যাজমা), দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ ও ফুসফুসের টিস্যুর প্রদাহ থাকলে তাদের অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাদের উচ্চমাত্রার ওষুধ ও স্টেরয়েড নিতেও হতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্ট নেই, তাদেরও প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এখানে ছড়ানো বিষাক্ত গ্যাসগুলো শরীরে ঢুকলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা; যেমন শ্বাসনালির ক্ষতি, সিওপিডি ও ফাইব্রোসিস তৈরি হতে পারে।
গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিয়ালবাড়ীর কে ব্লকের ৩ নম্বর সড়কে পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনী দায়িত্বে রয়েছে। ওই সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলের ঠিক বিপরীতের চায়ের দোকানটি খোলা। দোকানি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইমরান হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে মোট চার দিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। শুরুতে বাতাসে গ্যাসের মাত্রা ছিল বেশি। রোববার থেকে কিছুটা কমেছে।
কে ব্লকের ২, ৪ নম্বর এবং মূল সড়কের পশ্চিম দিকের দুটি উপসড়ক মিলিয়ে ঘটনাস্থলের অন্তত এক হাজার গজ পর্যন্ত এলাকায় বাতাসে পোড়া জিনিস ও গ্যাসের মতো কটু গন্ধ পাওয়া যায়।
প্লটগুলোর কাছেই রয়েছে ওষুধের দোকান আরফান ফার্মা। সেখানকার কর্মী মেহেদী হাসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বেশি লোক এসেছেন বমি, সর্দি ও মাথা ঘোরার ওষুধ নিতে।
১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিবেদক জানান, রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে নিহত ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার পর ঢামেক মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান।
পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আজ (গতকাল) রাতে মালিবাগ সিআইডি ফরেনসিক থেকে ১৬ জনের লাশের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনদের খবর দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে এনে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রকৌশলী মো. জাকির হোসাইন স্বজনদের কাছে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
ডিএনএ নমুনা অনুযায়ী হস্তান্তর করা মরদেহগুলো হলো বরগুনার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪), ভোলার লালমোহনের দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহর মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৮),শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নিজ পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫), গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম সরকার (২৩), বরগুনার আমতলীর দাড়িকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল মামুন (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২০), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার গোল্লা রাজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫), বরগুনা সদরের ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯), নাটোরের সিংড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (১৪), নেত্রকোনার বারহাট্টার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০), মোহনগঞ্জের সাউথখালী গ্রামের নয়ন মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (১৩) এবং একই উপজেলার জয়পুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (১৮), মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের সনু মিয়ার মেয়ে মুনা আক্তার সামিয়া (১৬), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী খাতুন (২২), শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর গ্রামের মুছা দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৬) এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৪০)।
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। একই রাস্তার আরেকটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী জুয়েল খানের কাছাকাছি রাসায়নিকের ড্রাম ছিটকে পড়েছিল। ড্রাম থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে অসুস্থ হলে তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। রাসায়নিক কারখানার আশপাশের দুই শ থেকে তিন শ মিটারের মধ্যে থাকা বহু মানুষ অসুস্থ হয়েছে।
এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির বিশেষজ্ঞরা রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এম এস আলম ট্রেডার্সে মজুত রাসায়নিক দ্রব্য এবং তার বিষাক্ত প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে দুর্ঘটনাস্থলের ১৫০-৩০০ মিটার এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এখনো বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ রয়ে গেছে, যা নিরাপদে সরিয়ে নিতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে ফায়ার সার্ভিস শনিবার জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনও বলছেন, আগুনে পোড়া রাসায়নিক পদার্থ থেকে ছড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অনেকে বিভিন্ন মাত্রায় অসুস্থ হয়েছেন। এরই মধ্যে শিশুসহ এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হয়েছে, আর কত দিন এর প্রভাব থাকবে, তা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। গতকাল রোববার ঘটনাস্থল এবং সেখান থেকে কয়েক শ গজ দূর পর্যন্ত জায়গার দোকানি, চাকরিজীবী, স্থায়ী বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণির অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এবং পাশের পোশাক কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ছয় দিন পার হলেও এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ধোঁয়া কমলেও ভবনগুলোকে এখনো নিরাপদ ঘোষণা করা হয়নি। গুদামের ভেতরে ও বাইরে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি রয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, এসব গ্যাস স্থানীয়দের শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে স্বল্পমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিরও আশঙ্কা রয়েছে।
১৪ অক্টোবর দুপুরে মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়ীর ওই রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পোশাক কারখানা থেকে ১৬ জনের অঙ্গার হওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছিল, রাসায়নিকের গুদামে ৬-৭ ধরনের পদার্থ মজুত ছিল। ওয়াশিং প্ল্যান্টসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোতে এসব উপাদান ব্যবহার করা হতো। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গুদাম থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া এবং গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
আলম ট্রেডার্স নামের গুদামে মূলত হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ব্লিচিং পাউডার, ডিটারজেন্ট ও অন্যান্য দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ছিল। এগুলো আগুনে পুড়লে বিক্রিয়া করে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস ও বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ তৈরি করতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম বড় অগ্নিকাণ্ডের প্রথম কয়েক দিন ধোঁয়া ও গ্যাসের ঘনত্ব বেশি থাকে, পরে ধীরে ধীরে কমে যায়। কিছু রাসায়নিক দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ মাটিতে থেকে পরবর্তী কিছুদিন ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। দাহ চলার সময় উচ্চমাত্রার কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়। এসবের কারণে শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, গলাব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস বা দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। এমনকি তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ক্লোরিনেটেড অর্গানিক যৌগ ও ডাইঅক্সিন তৈরি হলে দেখা দিতে পারে আরও কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা।’
পরিবেশবিদেরা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে রাসায়নিক পদার্থ পুড়ে ঘন ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাতাসে সব সময় ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম ২.৫ ও পিএম ১০) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেছে। ধোঁয়ায় থাকা ভারী ধাতুসহ বিষাক্ত উপাদান জলাধার ও মাটিতে মিশে ভবিষ্যতে আরও বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। কয়েক দিন পর্যন্ত এলাকাবাসীর মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলাকার কারও হাঁপানি (অ্যাজমা), দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ ও ফুসফুসের টিস্যুর প্রদাহ থাকলে তাদের অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাদের উচ্চমাত্রার ওষুধ ও স্টেরয়েড নিতেও হতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্ট নেই, তাদেরও প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এখানে ছড়ানো বিষাক্ত গ্যাসগুলো শরীরে ঢুকলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা; যেমন শ্বাসনালির ক্ষতি, সিওপিডি ও ফাইব্রোসিস তৈরি হতে পারে।
গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিয়ালবাড়ীর কে ব্লকের ৩ নম্বর সড়কে পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনী দায়িত্বে রয়েছে। ওই সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলের ঠিক বিপরীতের চায়ের দোকানটি খোলা। দোকানি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইমরান হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে মোট চার দিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। শুরুতে বাতাসে গ্যাসের মাত্রা ছিল বেশি। রোববার থেকে কিছুটা কমেছে।
কে ব্লকের ২, ৪ নম্বর এবং মূল সড়কের পশ্চিম দিকের দুটি উপসড়ক মিলিয়ে ঘটনাস্থলের অন্তত এক হাজার গজ পর্যন্ত এলাকায় বাতাসে পোড়া জিনিস ও গ্যাসের মতো কটু গন্ধ পাওয়া যায়।
প্লটগুলোর কাছেই রয়েছে ওষুধের দোকান আরফান ফার্মা। সেখানকার কর্মী মেহেদী হাসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বেশি লোক এসেছেন বমি, সর্দি ও মাথা ঘোরার ওষুধ নিতে।
১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিবেদক জানান, রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে নিহত ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার পর ঢামেক মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান।
পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আজ (গতকাল) রাতে মালিবাগ সিআইডি ফরেনসিক থেকে ১৬ জনের লাশের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনদের খবর দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে এনে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রকৌশলী মো. জাকির হোসাইন স্বজনদের কাছে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
ডিএনএ নমুনা অনুযায়ী হস্তান্তর করা মরদেহগুলো হলো বরগুনার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪), ভোলার লালমোহনের দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহর মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৮),শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নিজ পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫), গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম সরকার (২৩), বরগুনার আমতলীর দাড়িকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল মামুন (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২০), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার গোল্লা রাজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫), বরগুনা সদরের ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯), নাটোরের সিংড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (১৪), নেত্রকোনার বারহাট্টার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০), মোহনগঞ্জের সাউথখালী গ্রামের নয়ন মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (১৩) এবং একই উপজেলার জয়পুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (১৮), মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের সনু মিয়ার মেয়ে মুনা আক্তার সামিয়া (১৬), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী খাতুন (২২), শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর গ্রামের মুছা দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৬) এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৪০)।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৩ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
৩ ঘণ্টা আগেবিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, শিশুখাদ্য, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকা। আগুন নেভানোর পর ওই ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। সরকার এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেখানে ব্যবসায়ীদের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডসহ মিরপুর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন নাশকতামূলক কি না, তা খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্যের অর্থমূল্য এবং ওজনভিত্তিক হিসাব তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ইনস্যুরেন্স ও সরকারি বিমা ব্যবস্থার আওতায় সহায়তা দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেকের কুরিয়ার সার্ভিস অংশ থেকে গত শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। ভেতরে কিছুই অবশিষ্ট নেই।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কার্গো ভিলেজ থেকে আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। ফলে গুদামে পণ্য মজুত ছিল বেশি। মজুত থাকা গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধের কাঁচামাল, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার শিপমেন্ট, মোবাইল যন্ত্রাংশ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্যসহ সব পুড়ে ছাই হয়েছে।
গতকাল দিনভর ঘটনাস্থলে ভিড় করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তাঁদের একজন উত্তরার গার্মেন্টস ইনপুট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফার্স্ট অ্যান্ড সেফে’র মালিক মো. বেনজির বলেন, হংকং ও চীন থেকে রেডিমেড গার্মেন্টসের দুটি শিপমেন্ট এসেছিল। আগুনে স্যাম্পলসহ সবই পুড়ে গেছে। রোববার (গতকাল) মালামাল খালাসের কথা ছিল। তিনি ছোট ব্যবসায়ী। এটি তাঁর জন্য বিশাল ক্ষতি।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি শিপমেন্ট সাধারণত আকাশপথে পাঠানো হয়। আগুনে এসব পণ্য ছাই হয়ে গেছে। এর প্রভাব শুধু বর্তমান রপ্তানিতেই নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগেও পড়বে। তাঁর আশঙ্কা, আগুনে পোশাকশিল্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। ইনামুল হক খান বলেন, বিজিএমইএ ইতিমধ্যে ক্ষতির তালিকা তৈরি শুরু করেছে। প্রতিদিন ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হতে পারে।
বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদের মতে, পুরো আমদানি সেকশন পুড়ে গেছে। ক্ষতি এক বিলিয়ন টাকার বেশি হতে পারে।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা দাবি করছেন, ক্ষতি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে। বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল, অ্যাকসেসরিজসহ উৎপাদনসামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় কারখানাগুলোর পণ্য তৈরি ও রপ্তানি আটকে যাবে। এতে পরোক্ষ ক্ষতি হবে অনেক।
কেপিআইভুক্ত কার্গো ভিলেজ এলাকার অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, এটি দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রগুলোর একটি। এমন জায়গায় যদি আগুনে সব পুড়ে যায়, তবে নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট। এখানে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল কি না, তা তদন্ত করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আমাদের যেসব ক্রেতা রয়েছেন, তাঁরাও বেশ উদ্বিগ্ন।’
ধ্বংসস্তূপে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম এবং ওষুধের কাঁচামাল
আমদানি কার্গো ভবনে আগুনে সেখানে থাকা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও পুড়ে গেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মমতা ট্রেডিং কোম্পানির বিপ্লব হোসাইন বলেন, ছয় দিন আগে পণ্যগুলো এসেছে, রোববার (গতকাল) খালাসের কথা ছিল। কিন্তু এনওসি পেতে দেরি হওয়ায় খালাসের আগেই সব পুড়ে গেছে।
ওষুধের জন্য আমদানি করা কাঁচামালও পুড়ে গেছে। এতে ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমএস জি এস কোম্পানির কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তাঁদের আমদানি করা প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে। তাঁরা দেশের নামীদামি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর জন্য চীন, ভারত ও জার্মানি থেকে কাঁচামাল আনেন। ভেতরে তাঁদের ২০টি শিপমেন্ট ছিল, সবই পুড়ে গেছে। এসব কাঁচামাল দিয়ে ক্যানসারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হতো। এতে ওষুধ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।
ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস এলেও সঙ্গে সঙ্গে ঢুকতে পারেনি। ৮ নম্বর গেটে তাদের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। এই সময়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গেটে দেখা গাড়ি হয়তো অন্য সংস্থার ছিল।’
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়। বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কাজ শুরু করেছে। এটি একটি কেপিআই এলাকা, এখানে নিজস্ব ব্যবস্থাও রয়েছে।
আগুনে নেভাতে বেশি সময় লাগার পাঁচ কারণ
আগুন নেভাতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা লাগার জন্য পাঁচটি কারণ বলেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রথমত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর আধিক্য, দ্বিতীয়ত স্টিল স্ট্রাকচারে তাপ শোষণ, তৃতীয়ত অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, চতুর্থত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সর্বশেষ ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয়েছে। তিনি বলেন, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, এর প্রতিটি জায়গা খোপ খোপ করে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে অনেক অংশ স্টিলের তৈরি। স্টিলের কাঠামো দিয়ে একতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত আছে, এ জন্য আগুন নেভাতে এত সময় লেগেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যদি অ্যাকটিভ অথবা প্যাসিভ—মানে আমাদের যেকোনো ধরনের ডিটেকশন সিস্টেম থাকত এবং তার সঙ্গে প্রোটেকশন সিস্টেম থাকত, তাহলে হয়তো দুর্ঘটনা এত বড় হতো না। আমাদেরও তদন্ত করে বের করতে হবে, আসলে কখন কীভাবে এই আগুন লাগল।’
ক্ষতিপূরণ দেবে কে
উড়োজাহাজ থেকে পণ্য নামানো থেকে আমদানিকারকের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত দায়িত্বে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও কার্গো টার্মিনাল তদারক করে। এ জন্য ব্যবহার ও নিরাপত্তা বাবদ আলাদা চার্জ নেয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, পণ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ ও বেবিচকের। চার্জ তারা নেয়, এখন ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য দেশের বিমানবন্দরের চেয়ে বেশি চার্জ নেওয়ার পরও এখানে অবকাঠামো দুর্বল ও নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষতির দায় এখনো নির্ধারিত হয়নি।
বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ লাখ টন পণ্য পরিবহন হয়, যার ১৭ শতাংশ বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অংশ বহন করে এমিরেটস, কাতার, টার্কিশ, ক্যাথে প্যাসিফিক ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস।
নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখছে সরকার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ীতে আগুনের ঘটনাগুলো নাশকতামূলক কি না, তা খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে তদন্ত ও তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিতে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী নির্দেশিকা’ সংক্রান্ত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, দেশের কেপিআইভুক্ত এলাকাগুলোর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা যথাযথ আছে কি না, তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীসহ সারা দেশের বহুতল ভবন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানগুলোতেও অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা কার্যকর আছে কি না, তা যাচাই করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে ত্রাণ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আগামী ৫ নভেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী নির্দেশিকা-সংক্রান্ত পরবর্তী বৈঠক হবে। এর আগেই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আমদানি পণ্য খালাস ও রাখার বিকল্প ব্যবস্থা
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি পণ্যের খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ীভাবে তৃতীয় টার্মিনালে জিএসই মেইনটেন্যান্স (গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট) এলাকা পণ্য সংরক্ষণের জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। সেখানে শুল্কায়নপ্রক্রিয়া শেষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য খালাস করছে।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আপাতত আমদানি পণ্য তৃতীয় টার্মিনালে রাখা হবে। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সংস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, শিশুখাদ্য, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকা। আগুন নেভানোর পর ওই ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। সরকার এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেখানে ব্যবসায়ীদের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডসহ মিরপুর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন নাশকতামূলক কি না, তা খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্যের অর্থমূল্য এবং ওজনভিত্তিক হিসাব তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ইনস্যুরেন্স ও সরকারি বিমা ব্যবস্থার আওতায় সহায়তা দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেকের কুরিয়ার সার্ভিস অংশ থেকে গত শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। ভেতরে কিছুই অবশিষ্ট নেই।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কার্গো ভিলেজ থেকে আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। ফলে গুদামে পণ্য মজুত ছিল বেশি। মজুত থাকা গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধের কাঁচামাল, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার শিপমেন্ট, মোবাইল যন্ত্রাংশ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্যসহ সব পুড়ে ছাই হয়েছে।
গতকাল দিনভর ঘটনাস্থলে ভিড় করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তাঁদের একজন উত্তরার গার্মেন্টস ইনপুট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফার্স্ট অ্যান্ড সেফে’র মালিক মো. বেনজির বলেন, হংকং ও চীন থেকে রেডিমেড গার্মেন্টসের দুটি শিপমেন্ট এসেছিল। আগুনে স্যাম্পলসহ সবই পুড়ে গেছে। রোববার (গতকাল) মালামাল খালাসের কথা ছিল। তিনি ছোট ব্যবসায়ী। এটি তাঁর জন্য বিশাল ক্ষতি।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি শিপমেন্ট সাধারণত আকাশপথে পাঠানো হয়। আগুনে এসব পণ্য ছাই হয়ে গেছে। এর প্রভাব শুধু বর্তমান রপ্তানিতেই নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগেও পড়বে। তাঁর আশঙ্কা, আগুনে পোশাকশিল্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। ইনামুল হক খান বলেন, বিজিএমইএ ইতিমধ্যে ক্ষতির তালিকা তৈরি শুরু করেছে। প্রতিদিন ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হতে পারে।
বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদের মতে, পুরো আমদানি সেকশন পুড়ে গেছে। ক্ষতি এক বিলিয়ন টাকার বেশি হতে পারে।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা দাবি করছেন, ক্ষতি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে। বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল, অ্যাকসেসরিজসহ উৎপাদনসামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় কারখানাগুলোর পণ্য তৈরি ও রপ্তানি আটকে যাবে। এতে পরোক্ষ ক্ষতি হবে অনেক।
কেপিআইভুক্ত কার্গো ভিলেজ এলাকার অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, এটি দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রগুলোর একটি। এমন জায়গায় যদি আগুনে সব পুড়ে যায়, তবে নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট। এখানে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল কি না, তা তদন্ত করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আমাদের যেসব ক্রেতা রয়েছেন, তাঁরাও বেশ উদ্বিগ্ন।’
ধ্বংসস্তূপে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম এবং ওষুধের কাঁচামাল
আমদানি কার্গো ভবনে আগুনে সেখানে থাকা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও পুড়ে গেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মমতা ট্রেডিং কোম্পানির বিপ্লব হোসাইন বলেন, ছয় দিন আগে পণ্যগুলো এসেছে, রোববার (গতকাল) খালাসের কথা ছিল। কিন্তু এনওসি পেতে দেরি হওয়ায় খালাসের আগেই সব পুড়ে গেছে।
ওষুধের জন্য আমদানি করা কাঁচামালও পুড়ে গেছে। এতে ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমএস জি এস কোম্পানির কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তাঁদের আমদানি করা প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে। তাঁরা দেশের নামীদামি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর জন্য চীন, ভারত ও জার্মানি থেকে কাঁচামাল আনেন। ভেতরে তাঁদের ২০টি শিপমেন্ট ছিল, সবই পুড়ে গেছে। এসব কাঁচামাল দিয়ে ক্যানসারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হতো। এতে ওষুধ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।
ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস এলেও সঙ্গে সঙ্গে ঢুকতে পারেনি। ৮ নম্বর গেটে তাদের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। এই সময়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গেটে দেখা গাড়ি হয়তো অন্য সংস্থার ছিল।’
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়। বিমানবন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কাজ শুরু করেছে। এটি একটি কেপিআই এলাকা, এখানে নিজস্ব ব্যবস্থাও রয়েছে।
আগুনে নেভাতে বেশি সময় লাগার পাঁচ কারণ
আগুন নেভাতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা লাগার জন্য পাঁচটি কারণ বলেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রথমত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর আধিক্য, দ্বিতীয়ত স্টিল স্ট্রাকচারে তাপ শোষণ, তৃতীয়ত অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, চতুর্থত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সর্বশেষ ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয়েছে। তিনি বলেন, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, এর প্রতিটি জায়গা খোপ খোপ করে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে অনেক অংশ স্টিলের তৈরি। স্টিলের কাঠামো দিয়ে একতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত আছে, এ জন্য আগুন নেভাতে এত সময় লেগেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যদি অ্যাকটিভ অথবা প্যাসিভ—মানে আমাদের যেকোনো ধরনের ডিটেকশন সিস্টেম থাকত এবং তার সঙ্গে প্রোটেকশন সিস্টেম থাকত, তাহলে হয়তো দুর্ঘটনা এত বড় হতো না। আমাদেরও তদন্ত করে বের করতে হবে, আসলে কখন কীভাবে এই আগুন লাগল।’
ক্ষতিপূরণ দেবে কে
উড়োজাহাজ থেকে পণ্য নামানো থেকে আমদানিকারকের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত দায়িত্বে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও কার্গো টার্মিনাল তদারক করে। এ জন্য ব্যবহার ও নিরাপত্তা বাবদ আলাদা চার্জ নেয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, পণ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ ও বেবিচকের। চার্জ তারা নেয়, এখন ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য দেশের বিমানবন্দরের চেয়ে বেশি চার্জ নেওয়ার পরও এখানে অবকাঠামো দুর্বল ও নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষতির দায় এখনো নির্ধারিত হয়নি।
বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ লাখ টন পণ্য পরিবহন হয়, যার ১৭ শতাংশ বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অংশ বহন করে এমিরেটস, কাতার, টার্কিশ, ক্যাথে প্যাসিফিক ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস।
নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখছে সরকার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ীতে আগুনের ঘটনাগুলো নাশকতামূলক কি না, তা খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে তদন্ত ও তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিতে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী নির্দেশিকা’ সংক্রান্ত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, দেশের কেপিআইভুক্ত এলাকাগুলোর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা যথাযথ আছে কি না, তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীসহ সারা দেশের বহুতল ভবন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানগুলোতেও অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা কার্যকর আছে কি না, তা যাচাই করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে ত্রাণ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আগামী ৫ নভেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী নির্দেশিকা-সংক্রান্ত পরবর্তী বৈঠক হবে। এর আগেই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আমদানি পণ্য খালাস ও রাখার বিকল্প ব্যবস্থা
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি পণ্যের খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ীভাবে তৃতীয় টার্মিনালে জিএসই মেইনটেন্যান্স (গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট) এলাকা পণ্য সংরক্ষণের জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। সেখানে শুল্কায়নপ্রক্রিয়া শেষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য খালাস করছে।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আপাতত আমদানি পণ্য তৃতীয় টার্মিনালে রাখা হবে। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সংস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৩ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে