রাহুল শর্মা, ঢাকা

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছেই। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব জানিয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ মিলিয়ে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মোট আসনসংখ্যা ১৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৬টি। এই হিসাব অনুযায়ী এবার উত্তীর্ণ হওয়া সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে আসন ফাঁকা থাকবে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬১৬টি।
তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। তবে আগের বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে প্রতিযোগিতা হবে। তবে তা হবে তুলনামূলক কম। পাসের সংখ্যা কম থাকায় মানহীন অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।’
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ডসংখ্যক কমেছে। এর মধ্যে পাসের হার গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় খারাপ ফল এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম এইচএসসির ফলে পাসের হার এত কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। পরের বছর ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। মূলত ২০০৫ সাল থেকেই পাসের হার বাড়তে শুরু করে।
ইউজিসির তথ্যমতে, ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে আসনসংখ্যা ৫০ হাজার ৪৪৫টি, সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৩৪০টি, সরকারি ডেন্টাল কলেজে ৫৪৫টি, বেসরকারি ডেন্টালে ১ হাজার ৩৫০ জন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে ৩৫০টি, ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৯টি, পাস কোর্সে ১ হাজার ১৬০টি, ঢাকার সরকারি ৭ কলেজে ২৩ হাজার ৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫টি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ৬৪ হাজার ৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ হাজার ৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, মেরিন কলেজে ৬৬০টি, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ৩ হাজার ৭৯০টি, আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারিতে ৫ হাজার ৬০০টি আসন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। এবার এসব প্রতিষ্ঠানে আসন রয়েছে ৫৫ হাজার ৩৫০টি। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী ‘নামকরা’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ে পড়তে ভর্তি হন। তাঁরা জানান, ঢাকার সরকারি সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কিছু ভালো কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ নেবেন। তবে সংকটে পড়বে জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছেই। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব জানিয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ মিলিয়ে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মোট আসনসংখ্যা ১৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৬টি। এই হিসাব অনুযায়ী এবার উত্তীর্ণ হওয়া সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে আসন ফাঁকা থাকবে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬১৬টি।
তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। তবে আগের বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে প্রতিযোগিতা হবে। তবে তা হবে তুলনামূলক কম। পাসের সংখ্যা কম থাকায় মানহীন অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।’
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ডসংখ্যক কমেছে। এর মধ্যে পাসের হার গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় খারাপ ফল এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম এইচএসসির ফলে পাসের হার এত কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। পরের বছর ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। মূলত ২০০৫ সাল থেকেই পাসের হার বাড়তে শুরু করে।
ইউজিসির তথ্যমতে, ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে আসনসংখ্যা ৫০ হাজার ৪৪৫টি, সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৩৪০টি, সরকারি ডেন্টাল কলেজে ৫৪৫টি, বেসরকারি ডেন্টালে ১ হাজার ৩৫০ জন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে ৩৫০টি, ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৯টি, পাস কোর্সে ১ হাজার ১৬০টি, ঢাকার সরকারি ৭ কলেজে ২৩ হাজার ৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫টি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ৬৪ হাজার ৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ হাজার ৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, মেরিন কলেজে ৬৬০টি, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ৩ হাজার ৭৯০টি, আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারিতে ৫ হাজার ৬০০টি আসন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। এবার এসব প্রতিষ্ঠানে আসন রয়েছে ৫৫ হাজার ৩৫০টি। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী ‘নামকরা’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ে পড়তে ভর্তি হন। তাঁরা জানান, ঢাকার সরকারি সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কিছু ভালো কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ নেবেন। তবে সংকটে পড়বে জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছেই। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব জানিয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ মিলিয়ে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মোট আসনসংখ্যা ১৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৬টি। এই হিসাব অনুযায়ী এবার উত্তীর্ণ হওয়া সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে আসন ফাঁকা থাকবে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬১৬টি।
তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। তবে আগের বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে প্রতিযোগিতা হবে। তবে তা হবে তুলনামূলক কম। পাসের সংখ্যা কম থাকায় মানহীন অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।’
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ডসংখ্যক কমেছে। এর মধ্যে পাসের হার গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় খারাপ ফল এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম এইচএসসির ফলে পাসের হার এত কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। পরের বছর ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। মূলত ২০০৫ সাল থেকেই পাসের হার বাড়তে শুরু করে।
ইউজিসির তথ্যমতে, ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে আসনসংখ্যা ৫০ হাজার ৪৪৫টি, সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৩৪০টি, সরকারি ডেন্টাল কলেজে ৫৪৫টি, বেসরকারি ডেন্টালে ১ হাজার ৩৫০ জন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে ৩৫০টি, ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৯টি, পাস কোর্সে ১ হাজার ১৬০টি, ঢাকার সরকারি ৭ কলেজে ২৩ হাজার ৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫টি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ৬৪ হাজার ৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ হাজার ৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, মেরিন কলেজে ৬৬০টি, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ৩ হাজার ৭৯০টি, আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারিতে ৫ হাজার ৬০০টি আসন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। এবার এসব প্রতিষ্ঠানে আসন রয়েছে ৫৫ হাজার ৩৫০টি। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী ‘নামকরা’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ে পড়তে ভর্তি হন। তাঁরা জানান, ঢাকার সরকারি সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কিছু ভালো কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ নেবেন। তবে সংকটে পড়বে জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছেই। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সূত্র এসব জানিয়েছে।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ মিলিয়ে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মোট আসনসংখ্যা ১৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭৬টি। এই হিসাব অনুযায়ী এবার উত্তীর্ণ হওয়া সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে আসন ফাঁকা থাকবে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬১৬টি।
তথ্য বলছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। তবে আগের বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিছুটা কম।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে প্রতিযোগিতা হবে। তবে তা হবে তুলনামূলক কম। পাসের সংখ্যা কম থাকায় মানহীন অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।’
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ডসংখ্যক কমেছে। এর মধ্যে পাসের হার গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় খারাপ ফল এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম এইচএসসির ফলে পাসের হার এত কম। ওই বছর পাসের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। পরের বছর ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। মূলত ২০০৫ সাল থেকেই পাসের হার বাড়তে শুরু করে।
ইউজিসির তথ্যমতে, ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে আসনসংখ্যা ৫০ হাজার ৪৪৫টি, সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৩৪০টি, সরকারি ডেন্টাল কলেজে ৫৪৫টি, বেসরকারি ডেন্টালে ১ হাজার ৩৫০ জন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে ৩৫০টি, ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৯টি, পাস কোর্সে ১ হাজার ১৬০টি, ঢাকার সরকারি ৭ কলেজে ২৩ হাজার ৬৩০টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫টি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ৬৪ হাজার ৫২৯টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ হাজার ৫৯৩টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, মেরিন কলেজে ৬৬০টি, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ৩ হাজার ৭৯০টি, আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০টি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারিতে ৫ হাজার ৬০০টি আসন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। এবার এসব প্রতিষ্ঠানে আসন রয়েছে ৫৫ হাজার ৩৫০টি। এর বাইরে কিছু শিক্ষার্থী ‘নামকরা’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ে পড়তে ভর্তি হন। তাঁরা জানান, ঢাকার সরকারি সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কিছু ভালো কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ নেবেন। তবে সংকটে পড়বে জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৯ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৯ মিনিট আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৯ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলে বিপর্যয়ের কারণে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে পৌনে ১১ লাখ আসনই ফাঁকা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেশ কিছু কলেজ ও জোড়াতালি দিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৯ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে