Ajker Patrika

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ ফায়ার ফাইটার আহত

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ২০
কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সোয়া ২টার দিকে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সোয়া ২টার দিকে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত)।

বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আহতদের মধ্যে প্রায় সবাই ফায়ার সার্ভিস কর্মী। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হয়েছে। তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ডিসি মহিদুল বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রায় ৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এখানে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিমানবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও রয়েছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মহিদুল বলেন, ‘প্রথমে কার্গো ভিলেজের ওয়ার হাউসে আগুনটি লেগেছিল। পরবর্তীতে কার্গো ভিলেজের পুরো জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।’

ডিসি মহিদুল বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতও জানা যায়নি।’

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৬টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর বাহিনীর দমকল ইউনিট, ঢাকা ওয়াসার গাড়িও দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্গো ভিলেজে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসের বর্তমান পরিস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসের বর্তমান পরিস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমদানি কার্গো ভিলেজ ঘিরে রেখেছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কার্গো ভিলেজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, কোনো একটি দুর্ঘটনা ঘটলে অনেকেই সেখানে ছুটে আসেন। কেউ সহযোগিতার জন্য আসেন। আবার কেউ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আসেন। আবার কেউ কেউ চুরি করতে, কেউ পকেট মারতে আসেন।

কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চারপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৬টি ইউনিট কাজ করেছে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ দলও এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নভেম্বরে স্টিমারের ঐতিহ্য ফিরছে ঢাকা-বরিশাল রুটে

খান রফিক, বরিশাল 
তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঢাকা-বরিশাল-মোরেলগঞ্জ নৌপথে এ স্টিমার চলাচল করত। ফাইল ছবি
তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঢাকা-বরিশাল-মোরেলগঞ্জ নৌপথে এ স্টিমার চলাচল করত। ফাইল ছবি

নৌপথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঐতিহ্যবাহী এ জলযানের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তিন বছর আগে। এবার সেই ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সে জন্য সংস্কার করা হয়েছে দেড় শ বছর আগে চালু হওয়া পিএস মাহসুদ নামের স্টিমার। তবে এবার যাত্রী নয়, পর্যটক পরিবহনে এই স্টিমার ভাসানো হবে আগামী মাসের শুরুর দিকে।

জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে বাষ্পীয় প্যাডেল হুইল জাহাজের মাধ্যমে রকেট স্টিমার সার্ভিস চালু হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় যাত্রী ও নাব্যতা-সংকটে ২০১৯ সাল থেকে স্টিমার চলাচল সীমিত হয়ে যায়। খুলনার বদলে যাত্রা থেমে যায় মোরেলগঞ্জে। সর্বশেষ এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙ্গালি সপ্তাহে চার দিন ঢাকা-মোরেলগঞ্জ নৌপথে চলাচল করলেও শেষ যাত্রাটি ছিল ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সম্প্রতি বরিশাল সফরকালে স্টিমার ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা ঘাটের উপ-বাণিজ্য ব্যবস্থাপক (যাত্রী) খন্দকার মুহম্মদ তানভীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিএস মাহসুদকে নতুন করে আর আগের মতো জাগ্রত করা যাবে না। তবে স্টিমারের আগেকার একটা আদল অনুভব করার জন্য মাহসুদকে সংস্কার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ২২টি কেবিন আছে।

২৪ অক্টোবর পরীক্ষামূলক ভাসানো হবে পিএস মাহসুদকে। ওই দিন নৌপরিবহন উপদেষ্টা থাকবেন। নভেম্বরের শুরুতে ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পর্যটক পরিবহনে ব্যবহৃত হবে স্টিমারটি।

পিএস মাহসুদের মাস্টার সালাউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাহাজটি চলাচল উপযোগী কি না, তা দেখার জন্য আগামী সোমবার দুই ঘণ্টা চালানো হবে। যদিও এখনো কিছু কাজ চলছে। জাহাজে ট্যুরিস্ট বহনের জন্য দ্বিতীয় ও নিচতলার ডেক খোলামেলা করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পিএস মাহসুদ পর্যটক সার্ভিস হিসেবে সপ্তাহে একদিন ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করবে। এ ক্ষেত্রে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে বিকেলে বরিশালে পৌঁছাবে। আবার ফিরতি যাত্রায় ঢাকায় ফিরবে। তিনি বলেন, শত বছরের পুরোনো পিএস মাহসুদের শক্তি আগের মতো নেই। ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে অন্য বেসরকারি লঞ্চের যেখানে আট ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে মাহসুদের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি লাগতে পারে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (যাত্রী ও প্রশাসন) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাহাজটি ভিজিট করবেন। এখন মাহসুদ ট্যুরিস্ট পরিবহনে ব্যবহৃত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুন নেভাতে বাধা ছিল বাতাস, কারণ জানা যাবে তদন্তের পর: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আপনারা জানেন ডমেস্টিক ফ্লাইট কিন্তু চালু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের হিসাবে দুজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন। আমরা সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।’

জাহেদ কামাল বলেন, আর যে জায়গায় আগুনের ঘটনা, এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ বাই ৪০০ গজ, যেখানে খোলা জায়গায় এবং বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে নানা ধরনের মালামাল রক্ষিত থাকে। আমরা সেখানেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’

অন্যান্য বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখেছি, তাঁরা বিভিন্নভাবে আগুন নেভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত আসলে আগুন নেভানোর পরে বলা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।’

আগুন নেভাতে এসে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন—জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় প্রবলেম ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সব সময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক ওপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড়, ওপরে যেহেতু ধোঁয়া উঠেছে। আর দুই নাম্বার হচ্ছে, কার্গোর ভেতরের জায়গাগুলো খোপ খোপ করা, এই খোপ খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল।’

ডিজি আরও বলেন, ‘আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়, তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল, আপনারা দেখেছেন, এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে, সেগুলোতে খুব সহজেই আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল, বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়েছে। যা হোক, আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের চেষ্টা জারি আছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে দ্রুত সময়ে ইন্টারন্যাশনাল এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়া যায়।’

আগুন থেকে আপনারা কী কী রক্ষা করতে পারলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ যখন আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি এবং অন্যদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ, কতটুকু হয়েছে, এটা আসলে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘আমরা এখনো কাজ করছি। কাজ করার সময় মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। কাজ করার পর আমরা বুঝব, কোন জায়গায় প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা সবাই কাজ করছি। সম্মিলিতভাবে যখন সবার মতামত পাব, তখন আমরা বলতে পারব কী কী মানদণ্ড ছিল না বা কোন জায়গায় তারা প্রবলেম ফেস করেছে। একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে কীভাবে সচল করা যায়, আমরা সেই চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলাম। আমরা সেটা আল্লাহর রহমতে করেছি। এখন আমরা বাকিদের সঙ্গে বসব। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করেছি কি না? এক ভাই জানতে চাইলেন কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না? সেগুলো তখন জানা যাবে। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। সেটা আমরা করছি।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অফিস নেই। আমরা যখন আড়াইটায় খবর পেয়েছি, তারপর মুভ করেছি। এখানে যাদের ফায়ার ফাইটিং গাড়ি দেখেছেন এটা হচ্ছে এভিয়েশনের, আমাদের না। প্রাথমিক রেসপন্সটা এখানকার এভিয়েশন টিম করেছে।’

এতটা সময় লাগল কেন এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কেন করা গেল না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমরা যখন এসেছি আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে ছিল। এই জায়গা হচ্ছে পুরোটা খোলা। খোলা জায়গার মধ্যে কার্গো আছে। প্রচুর বাতাস ছিল। আবার কার্গোর ভেতরে ওগুলো খোপ খোপ কম্পার্টমেন্ট করা।

কেমিক্যাল ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলা যাবে না। তবে কিছু কিছু নীল ধোঁয়া আমরা দেখেছি। তার মানে কেমিক্যাল ছিল, এটা বলা যাবে না। যখন নির্বাপণ হবে, তখন আমরা ওভারঅল বলতে পারব, আসলে কোনো কেমিক্যাল ছিল কি না।’

পুরোপুরি নির্বাপণে আর কতটুকু সময় লাগতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি পুরোপুরি আমাদের কন্ট্রোলে চলে এসেছে। আর বেশিক্ষণ লাগবে না।’

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে চট্টগ্রাম, মিরপুরে আগুন লাগার ঘটনা দেখলাম। আগুন লাগার পর দেখা যায় অনুমোদন, ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। আগুন লাগার পরে দেখা যায় যে অনুমতি ছিল না। তো এই বিষয়টা আপনারা জোরালোভাবে দেখবেন কি না?

জবাবে ডিজি বলেন, ‘আপনি যদি একটু খোঁজ নেন, তাহলে দেখবেন যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান, ইন্সপেকশন করা, তাদের সতর্ক করা, লাইসেন্স না দেওয়া—এসব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর যদি আইন না মানেন, তাহলে? আইন না মানার জন্য, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আগুন বা দুর্যোগে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাদের উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা অন্যান্য অথরিটির। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। আপনি বলতে পারেন সমন্বিত একটি চেষ্টার প্রয়াস প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওমানে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ওমানের মাস্কাট থেকে কফিনবন্দী মরদেহগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এরপর বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ রাত সোয়া ৯টার পর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহীম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মরদেহ আসার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি সন্দ্বীপ উপজেলার বিএনপি, জামায়াতের নেতারাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

রাত সোয়া ৯টার পর একে একে ৮টি মরদেহের কফিন স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রবাসীদের লাশ দাফন-কাফনের জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বজনদের কাছে একটি করে চেক হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় বিমানবন্দরে। এ সময় আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিমানবন্দর থেকে পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনেরা।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী মো. আমিন সওদাগরের ভাই মো. আজগর বলেন, ‘আমার ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় ওনার হঠাৎ মৃত্যুতে আজ পুরো পরিবার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’ এ সময় তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আট বাংলাদেশি। এদের মধ্যে সাতজন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। অপরজন রাউজান উপজেলার বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত