নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আপনারা জানেন ডমেস্টিক ফ্লাইট কিন্তু চালু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের হিসাবে দুজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন। আমরা সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।’
জাহেদ কামাল বলেন, আর যে জায়গায় আগুনের ঘটনা, এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ বাই ৪০০ গজ, যেখানে খোলা জায়গায় এবং বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে নানা ধরনের মালামাল রক্ষিত থাকে। আমরা সেখানেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’
অন্যান্য বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখেছি, তাঁরা বিভিন্নভাবে আগুন নেভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত আসলে আগুন নেভানোর পরে বলা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।’
আগুন নেভাতে এসে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন—জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় প্রবলেম ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সব সময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক ওপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড়, ওপরে যেহেতু ধোঁয়া উঠেছে। আর দুই নাম্বার হচ্ছে, কার্গোর ভেতরের জায়গাগুলো খোপ খোপ করা, এই খোপ খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল।’
ডিজি আরও বলেন, ‘আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়, তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল, আপনারা দেখেছেন, এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে, সেগুলোতে খুব সহজেই আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল, বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়েছে। যা হোক, আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের চেষ্টা জারি আছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে দ্রুত সময়ে ইন্টারন্যাশনাল এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়া যায়।’
আগুন থেকে আপনারা কী কী রক্ষা করতে পারলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ যখন আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি এবং অন্যদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ, কতটুকু হয়েছে, এটা আসলে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘আমরা এখনো কাজ করছি। কাজ করার সময় মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। কাজ করার পর আমরা বুঝব, কোন জায়গায় প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা সবাই কাজ করছি। সম্মিলিতভাবে যখন সবার মতামত পাব, তখন আমরা বলতে পারব কী কী মানদণ্ড ছিল না বা কোন জায়গায় তারা প্রবলেম ফেস করেছে। একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে কীভাবে সচল করা যায়, আমরা সেই চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলাম। আমরা সেটা আল্লাহর রহমতে করেছি। এখন আমরা বাকিদের সঙ্গে বসব। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করেছি কি না? এক ভাই জানতে চাইলেন কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না? সেগুলো তখন জানা যাবে। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। সেটা আমরা করছি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অফিস নেই। আমরা যখন আড়াইটায় খবর পেয়েছি, তারপর মুভ করেছি। এখানে যাদের ফায়ার ফাইটিং গাড়ি দেখেছেন এটা হচ্ছে এভিয়েশনের, আমাদের না। প্রাথমিক রেসপন্সটা এখানকার এভিয়েশন টিম করেছে।’
এতটা সময় লাগল কেন এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কেন করা গেল না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমরা যখন এসেছি আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে ছিল। এই জায়গা হচ্ছে পুরোটা খোলা। খোলা জায়গার মধ্যে কার্গো আছে। প্রচুর বাতাস ছিল। আবার কার্গোর ভেতরে ওগুলো খোপ খোপ কম্পার্টমেন্ট করা।
কেমিক্যাল ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলা যাবে না। তবে কিছু কিছু নীল ধোঁয়া আমরা দেখেছি। তার মানে কেমিক্যাল ছিল, এটা বলা যাবে না। যখন নির্বাপণ হবে, তখন আমরা ওভারঅল বলতে পারব, আসলে কোনো কেমিক্যাল ছিল কি না।’
পুরোপুরি নির্বাপণে আর কতটুকু সময় লাগতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি পুরোপুরি আমাদের কন্ট্রোলে চলে এসেছে। আর বেশিক্ষণ লাগবে না।’
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে চট্টগ্রাম, মিরপুরে আগুন লাগার ঘটনা দেখলাম। আগুন লাগার পর দেখা যায় অনুমোদন, ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। আগুন লাগার পরে দেখা যায় যে অনুমতি ছিল না। তো এই বিষয়টা আপনারা জোরালোভাবে দেখবেন কি না?
জবাবে ডিজি বলেন, ‘আপনি যদি একটু খোঁজ নেন, তাহলে দেখবেন যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান, ইন্সপেকশন করা, তাদের সতর্ক করা, লাইসেন্স না দেওয়া—এসব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর যদি আইন না মানেন, তাহলে? আইন না মানার জন্য, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আগুন বা দুর্যোগে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাদের উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা অন্যান্য অথরিটির। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। আপনি বলতে পারেন সমন্বিত একটি চেষ্টার প্রয়াস প্রয়োজন।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আপনারা জানেন ডমেস্টিক ফ্লাইট কিন্তু চালু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের হিসাবে দুজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন। আমরা সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।’
জাহেদ কামাল বলেন, আর যে জায়গায় আগুনের ঘটনা, এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ বাই ৪০০ গজ, যেখানে খোলা জায়গায় এবং বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে নানা ধরনের মালামাল রক্ষিত থাকে। আমরা সেখানেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’
অন্যান্য বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখেছি, তাঁরা বিভিন্নভাবে আগুন নেভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত আসলে আগুন নেভানোর পরে বলা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এখন আমরা এটা বলতে পারছি না।’
আগুন নেভাতে এসে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন—জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আসলে আগুন নেভাতে এসে সবচেয়ে বড় প্রবলেম ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা প্রাপ্তি সব সময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক ওপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড়, ওপরে যেহেতু ধোঁয়া উঠেছে। আর দুই নাম্বার হচ্ছে, কার্গোর ভেতরের জায়গাগুলো খোপ খোপ করা, এই খোপ খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল।’
ডিজি আরও বলেন, ‘আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়, তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল, আপনারা দেখেছেন, এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে, সেগুলোতে খুব সহজেই আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল, বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়েছে। যা হোক, আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের চেষ্টা জারি আছে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে দ্রুত সময়ে ইন্টারন্যাশনাল এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়া যায়।’
আগুন থেকে আপনারা কী কী রক্ষা করতে পারলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ যখন আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নেভানোর কাজ করেছি এবং অন্যদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ, কতটুকু হয়েছে, এটা আসলে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘আমরা এখনো কাজ করছি। কাজ করার সময় মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। কাজ করার পর আমরা বুঝব, কোন জায়গায় প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা সবাই কাজ করছি। সম্মিলিতভাবে যখন সবার মতামত পাব, তখন আমরা বলতে পারব কী কী মানদণ্ড ছিল না বা কোন জায়গায় তারা প্রবলেম ফেস করেছে। একটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে কীভাবে সচল করা যায়, আমরা সেই চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলাম। আমরা সেটা আল্লাহর রহমতে করেছি। এখন আমরা বাকিদের সঙ্গে বসব। কোথাও কোনো সমস্যা ফেস করেছি কি না? এক ভাই জানতে চাইলেন কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না? সেগুলো তখন জানা যাবে। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। সেটা আমরা করছি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অফিস নেই। আমরা যখন আড়াইটায় খবর পেয়েছি, তারপর মুভ করেছি। এখানে যাদের ফায়ার ফাইটিং গাড়ি দেখেছেন এটা হচ্ছে এভিয়েশনের, আমাদের না। প্রাথমিক রেসপন্সটা এখানকার এভিয়েশন টিম করেছে।’
এতটা সময় লাগল কেন এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কেন করা গেল না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমরা যখন এসেছি আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে ছিল। এই জায়গা হচ্ছে পুরোটা খোলা। খোলা জায়গার মধ্যে কার্গো আছে। প্রচুর বাতাস ছিল। আবার কার্গোর ভেতরে ওগুলো খোপ খোপ কম্পার্টমেন্ট করা।
কেমিক্যাল ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলা যাবে না। তবে কিছু কিছু নীল ধোঁয়া আমরা দেখেছি। তার মানে কেমিক্যাল ছিল, এটা বলা যাবে না। যখন নির্বাপণ হবে, তখন আমরা ওভারঅল বলতে পারব, আসলে কোনো কেমিক্যাল ছিল কি না।’
পুরোপুরি নির্বাপণে আর কতটুকু সময় লাগতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি পুরোপুরি আমাদের কন্ট্রোলে চলে এসেছে। আর বেশিক্ষণ লাগবে না।’
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে চট্টগ্রাম, মিরপুরে আগুন লাগার ঘটনা দেখলাম। আগুন লাগার পর দেখা যায় অনুমোদন, ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। আগুন লাগার পরে দেখা যায় যে অনুমতি ছিল না। তো এই বিষয়টা আপনারা জোরালোভাবে দেখবেন কি না?
জবাবে ডিজি বলেন, ‘আপনি যদি একটু খোঁজ নেন, তাহলে দেখবেন যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান, ইন্সপেকশন করা, তাদের সতর্ক করা, লাইসেন্স না দেওয়া—এসব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর যদি আইন না মানেন, তাহলে? আইন না মানার জন্য, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আগুন বা দুর্যোগে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাদের উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা অন্যান্য অথরিটির। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। আপনি বলতে পারেন সমন্বিত একটি চেষ্টার প্রয়াস প্রয়োজন।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৫ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৬ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন চালকেরা। কারণ বন্দরের প্রবেশ ফি ৫৭.৫০ টাকার জায়গায় ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৭২.৫০ টাকা। এ ছাড়া বন্দরের পুরো মাশুল ব্যবস্থাপনা নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারকে সাত দিন সময় দিতে চাই। এ সময়ের মধ্যে সরকারকে যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে বর্ধিত মাশুল স্থগিত করার দাবি জানাই।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে স্টেক হোল্ডাররা (অংশীজনেরা) কর্মবিরতি পালন করবেন।
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কার্যক্রম ‘কস্ট-বেইজড অ্যান্ড সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ ট্যারিফ-কাঠামো প্রণয়নের সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ছিল ৩০.৬১ টাকা। বর্তমানে (২০২৫ সালে) এই হার ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে, অর্থাৎ বন্দরের বিদ্যমান ট্যারিফেই কার্যত চার গুণের বেশি বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিত করে তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে ১৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২৩টি খাতে বর্ধিত মাশুল আদায় শুরু করার ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিটিসি) সৌদি আরবভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই) দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ বছরের জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুই টার্মিনাল লালদিয়া ও নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) এবং কেরানীগঞ্জের পানগাঁও। আগামী ডিসেম্বরে এদের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
১২ অক্টোবর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানান। এতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বিদেশি কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে। তাদের প্রতিবেদন সরকার ছয় মাস আগে পেয়েছে।’
সংশোধিত ট্যারিফ সূচির বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর—উভয়েরই আয় এতে বাড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সেসব সেবায়, যেগুলো সরাসরি বেসরকারি অপারেটরদের আয়ের উৎস। বিদেশি অপারেটরদের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম—ক্রেন অপারেশন, কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং, স্টোরেজ, রিফার প্লাগ-ইন এবং কনটেইনার চলাচলের ট্যারিফ গড়পড়তা ১৪৪ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, সিপিএ-সংক্রান্ত চার্জ, যেমন পাইলটেজ, নেভিগেশন এবং নদী শুল্ক প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বন্দরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হওয়া বন্দরের বর্ধিত মাশুলের অংশ কোনো আবেদন ছাড়াই পতেঙ্গা টার্মিনালের বিদেশি অপারেটর আরএসজিটিআই পাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বছরে অনেক টাকা ব্যয় হয়, তাই ৩০-৪০ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, মাশুল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম-বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম স্বপন জানান, একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। এ সময়ে মাশুল বৃদ্ধি করার কোনো যুক্তি নেই। যেন বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
একইভাবে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কার স্বার্থে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে? বন্দরে মাশুল পরিশোধ হয় ডলারে। ৩০ বছরে ডলারের দাম চার গুণ বেড়েছে।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন চালকেরা। কারণ বন্দরের প্রবেশ ফি ৫৭.৫০ টাকার জায়গায় ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৭২.৫০ টাকা। এ ছাড়া বন্দরের পুরো মাশুল ব্যবস্থাপনা নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারকে সাত দিন সময় দিতে চাই। এ সময়ের মধ্যে সরকারকে যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে বর্ধিত মাশুল স্থগিত করার দাবি জানাই।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে স্টেক হোল্ডাররা (অংশীজনেরা) কর্মবিরতি পালন করবেন।
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কার্যক্রম ‘কস্ট-বেইজড অ্যান্ড সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ ট্যারিফ-কাঠামো প্রণয়নের সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ছিল ৩০.৬১ টাকা। বর্তমানে (২০২৫ সালে) এই হার ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে, অর্থাৎ বন্দরের বিদ্যমান ট্যারিফেই কার্যত চার গুণের বেশি বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিত করে তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে ১৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২৩টি খাতে বর্ধিত মাশুল আদায় শুরু করার ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিটিসি) সৌদি আরবভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই) দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ বছরের জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুই টার্মিনাল লালদিয়া ও নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) এবং কেরানীগঞ্জের পানগাঁও। আগামী ডিসেম্বরে এদের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
১২ অক্টোবর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানান। এতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বিদেশি কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে। তাদের প্রতিবেদন সরকার ছয় মাস আগে পেয়েছে।’
সংশোধিত ট্যারিফ সূচির বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর—উভয়েরই আয় এতে বাড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সেসব সেবায়, যেগুলো সরাসরি বেসরকারি অপারেটরদের আয়ের উৎস। বিদেশি অপারেটরদের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম—ক্রেন অপারেশন, কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং, স্টোরেজ, রিফার প্লাগ-ইন এবং কনটেইনার চলাচলের ট্যারিফ গড়পড়তা ১৪৪ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, সিপিএ-সংক্রান্ত চার্জ, যেমন পাইলটেজ, নেভিগেশন এবং নদী শুল্ক প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বন্দরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হওয়া বন্দরের বর্ধিত মাশুলের অংশ কোনো আবেদন ছাড়াই পতেঙ্গা টার্মিনালের বিদেশি অপারেটর আরএসজিটিআই পাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বছরে অনেক টাকা ব্যয় হয়, তাই ৩০-৪০ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, মাশুল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম-বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম স্বপন জানান, একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। এ সময়ে মাশুল বৃদ্ধি করার কোনো যুক্তি নেই। যেন বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
একইভাবে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কার স্বার্থে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে? বন্দরে মাশুল পরিশোধ হয় ডলারে। ৩০ বছরে ডলারের দাম চার গুণ বেড়েছে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৫ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৬ ঘণ্টা আগেমাহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পূর্ণাঙ্গ সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। বিকল্প হিসেবে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার বা সহকারী সার্জনকে এনে সাময়িকভাবে ব্যবস্থা করে চালানো হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। খাতাকলমে ১০০ শয্যায় রূপ নিলেও শুধু খাবার এবং ওষুধ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখনো সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের ৭ বছর পার হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয়নি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই এ বিশাল চাপ প্রতিনিয়ত সামলাতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ শয্যার জনবলেও সংকট রয়েছে। হাসপাতালের সিনিয়র চক্ষু কনসালট্যান্ট, সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট, সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট, জুনিয়র ইএনটি কনসালট্যান্ট, জুনিয়র রেডিওলজিস্টসহ একজন মেডিকেল অফিসার, ডেন্টাল সার্জনের পদসহ মোট ৯ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২০টি পদ ফাঁকা। সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন আ স ম মোস্তফা কামাল ডেপুটেশনে সদর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। অ্যানেসথেসিয়া কোর্স সম্পন্ন থাকায় আপাতত তাঁর মাধ্যমেই অপারেশন থিয়েটার চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক জোনে ভর্তি রোগী উজির আলী বলেন, ‘প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভর্তি আছি। ডাক্তার বলেছেন, সোমবার অপারেশন হবে, কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়। গরিব মানুষের মৃত্যুতেও শান্তি নেই।’
সেলিনা খাতুন নামের এক রোগী বলেন, ‘১৫ দিন হয়ে গেল ভর্তি আছি। প্রথমে তারিখ দিয়েছিল, পরে পরিবর্তন করেছে। এখন আর বিশ্বাস করতে পারি না কবে হবে অপারেশন।’
হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘জানুয়ারিতে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট বদলি হওয়ার পর অপারেশন থিয়েটার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন পর বিকল্প ব্যবস্থায় পুনরায় চালু করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশনের মাধ্যমে একজন সহকারী সার্জন হাসপাতালে যোগদান করে অ্যানেসথেসিয়া দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে ভোগান্তির কথা স্বীকার করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি মাত্র ১০০ শয্যার, কিন্তু জনবল ৫০ শয্যার। রোগী ভর্তি থাকে ৩৫০ শয্যার মতো। দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায় একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্টকে (অ্যানেসথেসিয়া) অন্যত্র বদলি করার পর। এরপর থেকে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। বিকল্প উপায়ে সাধারণ কিছু অপারেশন হলেও উপায় না থাকায় গুরুতর রোগীদের অন্যত্র রেফার করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পূর্ণাঙ্গ সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। বিকল্প হিসেবে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার বা সহকারী সার্জনকে এনে সাময়িকভাবে ব্যবস্থা করে চালানো হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। খাতাকলমে ১০০ শয্যায় রূপ নিলেও শুধু খাবার এবং ওষুধ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখনো সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের ৭ বছর পার হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয়নি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই এ বিশাল চাপ প্রতিনিয়ত সামলাতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ শয্যার জনবলেও সংকট রয়েছে। হাসপাতালের সিনিয়র চক্ষু কনসালট্যান্ট, সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট, সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট, জুনিয়র ইএনটি কনসালট্যান্ট, জুনিয়র রেডিওলজিস্টসহ একজন মেডিকেল অফিসার, ডেন্টাল সার্জনের পদসহ মোট ৯ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২০টি পদ ফাঁকা। সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন আ স ম মোস্তফা কামাল ডেপুটেশনে সদর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। অ্যানেসথেসিয়া কোর্স সম্পন্ন থাকায় আপাতত তাঁর মাধ্যমেই অপারেশন থিয়েটার চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক জোনে ভর্তি রোগী উজির আলী বলেন, ‘প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভর্তি আছি। ডাক্তার বলেছেন, সোমবার অপারেশন হবে, কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়। গরিব মানুষের মৃত্যুতেও শান্তি নেই।’
সেলিনা খাতুন নামের এক রোগী বলেন, ‘১৫ দিন হয়ে গেল ভর্তি আছি। প্রথমে তারিখ দিয়েছিল, পরে পরিবর্তন করেছে। এখন আর বিশ্বাস করতে পারি না কবে হবে অপারেশন।’
হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘জানুয়ারিতে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট বদলি হওয়ার পর অপারেশন থিয়েটার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন পর বিকল্প ব্যবস্থায় পুনরায় চালু করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশনের মাধ্যমে একজন সহকারী সার্জন হাসপাতালে যোগদান করে অ্যানেসথেসিয়া দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে ভোগান্তির কথা স্বীকার করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি মাত্র ১০০ শয্যার, কিন্তু জনবল ৫০ শয্যার। রোগী ভর্তি থাকে ৩৫০ শয্যার মতো। দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায় একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্টকে (অ্যানেসথেসিয়া) অন্যত্র বদলি করার পর। এরপর থেকে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। বিকল্প উপায়ে সাধারণ কিছু অপারেশন হলেও উপায় না থাকায় গুরুতর রোগীদের অন্যত্র রেফার করা হচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৬ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
মাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
প্রায় ছয় বছর আগে জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা এসব যন্ত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতে মেশিন বসানো হয়। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও কিছু বিদ্যালয়ে একইভাবে মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে প্রতিটি মেশিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। কিন্তু যন্ত্রগুলো বসানোর পর কোম্পানি আর কোনো খোঁজ নেয়নি। ফলে বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে বা টিনের বেড়ায় ঝুলে থাকা মেশিনগুলো বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মেশিন হারিয়েও গেছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌর এলাকার রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭৫ নম্বর কলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নম্বর দত্তকেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
জানতে চাইলে রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ‘শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়েছিল, কিন্তু এক দিনও তা ব্যবহার করা হয়নি। ছয় বছর ধরে স্কুলের দেয়ালে এভাবেই পড়ে আছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে এই প্রকল্প করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই মেশিনগুলো চালু থাকলে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা নিশ্চিত হতো।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মুহাম্মদ ইমারত হোসেন বলেন, ‘মেশিনগুলো কেন ব্যবহার হচ্ছে না, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, পুরোনো নথিপত্র দেখে বিস্তারিত বলতে পারব।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব আজকের পত্রিকাকে বলেন, যন্ত্রগুলো কেনার সময় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো কেনা হয়েছিল—এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ ছিল।
তাই পুনরায় চালুর দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
প্রায় ছয় বছর আগে জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা এসব যন্ত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতে মেশিন বসানো হয়। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও কিছু বিদ্যালয়ে একইভাবে মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে প্রতিটি মেশিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। কিন্তু যন্ত্রগুলো বসানোর পর কোম্পানি আর কোনো খোঁজ নেয়নি। ফলে বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে বা টিনের বেড়ায় ঝুলে থাকা মেশিনগুলো বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মেশিন হারিয়েও গেছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌর এলাকার রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭৫ নম্বর কলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নম্বর দত্তকেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
জানতে চাইলে রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ‘শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়েছিল, কিন্তু এক দিনও তা ব্যবহার করা হয়নি। ছয় বছর ধরে স্কুলের দেয়ালে এভাবেই পড়ে আছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে এই প্রকল্প করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই মেশিনগুলো চালু থাকলে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা নিশ্চিত হতো।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মুহাম্মদ ইমারত হোসেন বলেন, ‘মেশিনগুলো কেন ব্যবহার হচ্ছে না, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, পুরোনো নথিপত্র দেখে বিস্তারিত বলতে পারব।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব আজকের পত্রিকাকে বলেন, যন্ত্রগুলো কেনার সময় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো কেনা হয়েছিল—এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ ছিল।
তাই পুনরায় চালুর দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম। গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এসব শিক্ষকের পদোন্নতি ঠেকাতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার থেকে বসছে সিলেকশন বোর্ড।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা ববির ফ্যাসিস্টবিরোধী শিক্ষার্থীরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম সিন্ডিকেটে জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসনের জন্য পদোন্নতি বোর্ড বসানো হচ্ছে। অথচ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টের বিচার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সাবেক উপাচার্য শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আঁতাত করায় আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।’
অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পাঁচ মাসেও উপাচার্য আগের বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ডের সদস্য পরিবর্তন করেননি। ৫০-এর কাছাকাছি পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও প্রভাষকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ না দিয়ে অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনে পদোন্নতি দিচ্ছেন। তড়িঘড়ি করে এক দিনে দুই বিভাগের বোর্ড বসিয়েছেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবাঞ্ছিত শিক্ষক দিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন ও পরিকল্পনা সম্পাদক মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘ইউজিসির অনাপত্তি ছাড়াই রোববার থেকে ২৩ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে বোর্ড বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য। এদের মধ্যে অনেকেই জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। বিচারের আগে তাঁদের পদোন্নতি চান না শিক্ষার্থীরা।’
শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, ‘এই ভিসি আসার পর দাবি ছিল, যাঁরা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিচার করতে হবে। কিন্তু উনি কিছু করেননি। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচার হয়েছে।’
জুলাই আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই সময়ে তাঁদের বিরোধিতা করা অন্তত ৭ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন উপাচার্য। এর মধ্যে ইতিহাস, মার্কেটিং, লোকপ্রশাসন, মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রয়েছেন। অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে এক জোট হয়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন শিক্ষকেরা। এর মধ্যে মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. জামাল উদ্দিন পদোন্নতি না দিলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুহসিন উদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি। এবারের সিন্ডিকেটে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে ক্ষমতা অর্পণ করেছে সিন্ডিকেট। উপাচার্য কমিটি করে কিংবা যেকোনো উপায়ে কারা ফ্যাসিস্ট তা চিহ্নিত করবেন। এর আগে এ বিষয়ে কমিটি করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না তা জানা নেই।’ রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমরা অপরাধীর বিচার চাই, নিরপরাধীর নয়।’
মুহসিন উদ্দীন স্বীকার করেন, রোববার থেকে ২৩ জনের বেশি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসছে। তবে অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির অনাপত্তি দরকার আছে কি না, তা জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য তৌফিক আলমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলেও সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক ফয়সাল মাহমুদ রুমি বলেন, ‘ভিসি স্যার এই মুহূর্তে কোথায় আছেন তা জানি না। তবে ভিসি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম। গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এসব শিক্ষকের পদোন্নতি ঠেকাতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার থেকে বসছে সিলেকশন বোর্ড।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা ববির ফ্যাসিস্টবিরোধী শিক্ষার্থীরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম সিন্ডিকেটে জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসনের জন্য পদোন্নতি বোর্ড বসানো হচ্ছে। অথচ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টের বিচার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সাবেক উপাচার্য শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আঁতাত করায় আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।’
অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পাঁচ মাসেও উপাচার্য আগের বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ডের সদস্য পরিবর্তন করেননি। ৫০-এর কাছাকাছি পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও প্রভাষকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ না দিয়ে অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনে পদোন্নতি দিচ্ছেন। তড়িঘড়ি করে এক দিনে দুই বিভাগের বোর্ড বসিয়েছেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবাঞ্ছিত শিক্ষক দিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন ও পরিকল্পনা সম্পাদক মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘ইউজিসির অনাপত্তি ছাড়াই রোববার থেকে ২৩ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে বোর্ড বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য। এদের মধ্যে অনেকেই জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। বিচারের আগে তাঁদের পদোন্নতি চান না শিক্ষার্থীরা।’
শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, ‘এই ভিসি আসার পর দাবি ছিল, যাঁরা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিচার করতে হবে। কিন্তু উনি কিছু করেননি। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচার হয়েছে।’
জুলাই আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই সময়ে তাঁদের বিরোধিতা করা অন্তত ৭ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন উপাচার্য। এর মধ্যে ইতিহাস, মার্কেটিং, লোকপ্রশাসন, মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রয়েছেন। অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে এক জোট হয়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন শিক্ষকেরা। এর মধ্যে মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. জামাল উদ্দিন পদোন্নতি না দিলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুহসিন উদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি। এবারের সিন্ডিকেটে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে ক্ষমতা অর্পণ করেছে সিন্ডিকেট। উপাচার্য কমিটি করে কিংবা যেকোনো উপায়ে কারা ফ্যাসিস্ট তা চিহ্নিত করবেন। এর আগে এ বিষয়ে কমিটি করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না তা জানা নেই।’ রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমরা অপরাধীর বিচার চাই, নিরপরাধীর নয়।’
মুহসিন উদ্দীন স্বীকার করেন, রোববার থেকে ২৩ জনের বেশি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসছে। তবে অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির অনাপত্তি দরকার আছে কি না, তা জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য তৌফিক আলমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলেও সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক ফয়সাল মাহমুদ রুমি বলেন, ‘ভিসি স্যার এই মুহূর্তে কোথায় আছেন তা জানি না। তবে ভিসি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৫ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগে