Ajker Patrika

নভেম্বরে স্টিমারের ঐতিহ্য ফিরছে ঢাকা-বরিশাল রুটে

খান রফিক, বরিশাল 
তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঢাকা-বরিশাল-মোরেলগঞ্জ নৌপথে এ স্টিমার চলাচল করত। ফাইল ছবি
তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঢাকা-বরিশাল-মোরেলগঞ্জ নৌপথে এ স্টিমার চলাচল করত। ফাইল ছবি

নৌপথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঐতিহ্যবাহী এ জলযানের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তিন বছর আগে। এবার সেই ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সে জন্য সংস্কার করা হয়েছে দেড় শ বছর আগে চালু হওয়া পিএস মাহসুদ নামের স্টিমার। তবে এবার যাত্রী নয়, পর্যটক পরিবহনে এই স্টিমার ভাসানো হবে আগামী মাসের শুরুর দিকে।

জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে বাষ্পীয় প্যাডেল হুইল জাহাজের মাধ্যমে রকেট স্টিমার সার্ভিস চালু হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় যাত্রী ও নাব্যতা-সংকটে ২০১৯ সাল থেকে স্টিমার চলাচল সীমিত হয়ে যায়। খুলনার বদলে যাত্রা থেমে যায় মোরেলগঞ্জে। সর্বশেষ এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙ্গালি সপ্তাহে চার দিন ঢাকা-মোরেলগঞ্জ নৌপথে চলাচল করলেও শেষ যাত্রাটি ছিল ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সম্প্রতি বরিশাল সফরকালে স্টিমার ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা ঘাটের উপ-বাণিজ্য ব্যবস্থাপক (যাত্রী) খন্দকার মুহম্মদ তানভীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিএস মাহসুদকে নতুন করে আর আগের মতো জাগ্রত করা যাবে না। তবে স্টিমারের আগেকার একটা আদল অনুভব করার জন্য মাহসুদকে সংস্কার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ২২টি কেবিন আছে।

২৪ অক্টোবর পরীক্ষামূলক ভাসানো হবে পিএস মাহসুদকে। ওই দিন নৌপরিবহন উপদেষ্টা থাকবেন। নভেম্বরের শুরুতে ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পর্যটক পরিবহনে ব্যবহৃত হবে স্টিমারটি।

পিএস মাহসুদের মাস্টার সালাউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাহাজটি চলাচল উপযোগী কি না, তা দেখার জন্য আগামী সোমবার দুই ঘণ্টা চালানো হবে। যদিও এখনো কিছু কাজ চলছে। জাহাজে ট্যুরিস্ট বহনের জন্য দ্বিতীয় ও নিচতলার ডেক খোলামেলা করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পিএস মাহসুদ পর্যটক সার্ভিস হিসেবে সপ্তাহে একদিন ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করবে। এ ক্ষেত্রে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে বিকেলে বরিশালে পৌঁছাবে। আবার ফিরতি যাত্রায় ঢাকায় ফিরবে। তিনি বলেন, শত বছরের পুরোনো পিএস মাহসুদের শক্তি আগের মতো নেই। ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে অন্য বেসরকারি লঞ্চের যেখানে আট ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে মাহসুদের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি লাগতে পারে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (যাত্রী ও প্রশাসন) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাহাজটি ভিজিট করবেন। এখন মাহসুদ ট্যুরিস্ট পরিবহনে ব্যবহৃত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’

হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাউদকান্দিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সেতু রক্ষার চেষ্টা, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান চলাচল সচল রেখেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান চলাচল সচল রেখেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোলাপের চর গ্রামের একমাত্র সেতুটি ৩০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পর বর্তমানে চরম নাজুক দশায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তৈরি করা ৩০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান চলাচল সচল রেখেছেন। মেরামত বা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ, যারা প্রতিদিন এই পথ ব্যবহার করে।

কুমিল্লার দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাপের চর গ্রামের সেতুটি স্থানীয় বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান পথ। শুধু গোলাপের চর নয়, পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষও এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকারের আওতায় (এলজিইডি) ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এর নিচের অংশ দেবে যাওয়ায় এবং পিলারের মাটি সরে যাওয়ায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন ১০-১২ হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এর মধ্যে বেশির ভাগ অটোরিকশা ও মোটরচালিত যানবাহনে চলাচল করে।

স্থানীয় অটোচালক রবিউল হোসেন জানান, ব্রিজের পিলারের মাটি সরে যাওয়ায় ও নিচের পিলার দেবে যাওয়ায় ব্রিজটি নড়বড় করছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি দিয়েছি। ব্রিজের কাছে এলে যাত্রীদের হেঁটে পার হতে হয়।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন সরকার বলেন, ‘সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি আমাদের উপজেলায় যাতায়াতের প্রধান পথ।’

এ বিষয়ে দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমুল হক সরকার বলেন, ‘গোলাপের চর ব্রিজ আমাদের ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। আমি মানুষের ভোগান্তি বুঝি, আমি নিজেও ভুক্তভোগী। ব্রিজটি পরিদর্শন করে সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। শুধু মেরামত নয়, নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল হাসান জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য অধিদপ্তরের কাছে নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’

হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কে সড়কবাতি স্থাপনের দাবি

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
নিমতলা থেকে সিরাজদিখান উপজেলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কজুড়ে কোথাও কোনো সড়কবাতি নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিমতলা থেকে সিরাজদিখান উপজেলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কজুড়ে কোথাও কোনো সড়কবাতি নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কে রাতের বেলায় সড়কবাতি না থাকায় পুরো সড়কটি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকদের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনা ও অপরাধমূলক ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, নিমতলা থেকে সিরাজদিখান উপজেলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কজুড়ে কোথাও কোনো সড়কবাতি নেই। পুরো সড়কটি অন্ধকারে ডুবে থাকে। মাঝেমধ্যে যানবাহনের হেডলাইটের আলো ছাড়া কিছুই দেখা যায় না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্ধকারের সুযোগে মাঝেমধ্যেই চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটে। তাই শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশা পড়ার আগে সড়কবাতি স্থাপন না হলে জননিরাপত্তা ও চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের অটোরিকশাচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, রাতে এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা চালানো খুবই বিপজ্জনক। আলো না থাকায় সামনে কিছু দেখা যায় না, আবার অন্ধকারের সুযোগে ছিনতাইকারীরাও সক্রিয় থাকে। সড়কবাতি থাকলে এসব ঝুঁকি অনেকটা কমে যেত।

সিরাজদিখান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নিতাই দাস বলেন, ‘ভোরবেলা আমরা যাত্রাবাড়ী থেকে মাছ নিয়ে বাজারে আসি। তখন পুরো রাস্তা অন্ধকারে ডুবে থাকে। কুয়াশা পড়লে কিছুই দেখা যায় না, দুর্ঘটনার ভয় থাকে। রাস্তার দুই পাশে বাতি লাগালে সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া প্রতি শীত মৌসুমে এই সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাই এই সড়কে বাতি স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।’

সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর শেখ বলেন, ‘ভোরের দিকে সবজি আনতে গেলে ভয় লাগে। আলো না থাকায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ; অনেক সময় ডাকাতির ভয় থাকে। তাই দ্রুত সড়কবাতি স্থাপন করা দরকার।’

রশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খান বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাতের বেলায় পুরো রাস্তা অন্ধকারে থাকে। শীতের সময় কুয়াশা পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। তাই দ্রুত সড়কবাতি স্থাপন করা প্রয়োজন।

পিকআপ ভ্যানচালক আল আমিন বলেন, ‘সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কটি সিরাজদিখানের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এর প্রায় সাত কিলোমিটার অংশে সড়কবাতি না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সড়কবাতি স্থাপন করা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। বছর বছর ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শীতকালে শুধু টিউবলাইট স্থাপন করে কাজ শেষ করা হয়, যা পর্যাপ্ত নয়। কার্যকরী সমাধান হলো, সারা বছর এখানে সড়কবাতি স্থাপন করা। তাই প্রশাসনের প্রতি আমরা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

আল আমিন আরও বলেন, ‘আমরা ভোরবেলায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে ঢাকা যাই। ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাছ, মাংস ও সবজি নিয়ে সিরাজদিখান, বালুচর, ইছাপুরা, তালতলাসহ বিভিন্ন বাজারে পৌঁছাই। কিন্তু ভোরবেলায় বারবার ডাকাতির কবলে পড়তে হয়। আমাদের ওপর অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই নিরাপদ চলাচলের জন্য এই সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।’

সিরাজদিখান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শীত মৌসুম ও ঘন কুয়াশার আগে নিমতলা থেকে সিরাজদিখান পর্যন্ত সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করার। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট দূরত্বে সড়কবাতি বসানো হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি সড়কে ডাকাতি বা অন্য কোনো অপরাধমূলক ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক ও নজরদারিতে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য, সকল পথচারী ও যানবাহনের চালক যেন নিরাপদে সড়ক ব্যবহার করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’

হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে অস্থিরতা: বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই মাশুল

 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দর। 	ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন চালকেরা। কারণ বন্দরের প্রবেশ ফি ৫৭.৫০ টাকার জায়গায় ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৭২.৫০ টাকা। এ ছাড়া বন্দরের পুরো মাশুল ব্যবস্থাপনা নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারকে সাত দিন সময় দিতে চাই। এ সময়ের মধ্যে সরকারকে যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে বর্ধিত মাশুল স্থগিত করার দাবি জানাই।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে স্টেক হোল্ডাররা (অংশীজনেরা) কর্মবিরতি পালন করবেন।

চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কার্যক্রম ‘কস্ট-বেইজড অ্যান্ড সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ ট্যারিফ-কাঠামো প্রণয়নের সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ছিল ৩০.৬১ টাকা। বর্তমানে (২০২৫ সালে) এই হার ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে, অর্থাৎ বন্দরের বিদ্যমান ট্যারিফেই কার্যত চার গুণের বেশি বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিত করে তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে ১৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২৩টি খাতে বর্ধিত মাশুল আদায় শুরু করার ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিটিসি) সৌদি আরবভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই) দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ বছরের জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুই টার্মিনাল লালদিয়া ও নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) এবং কেরানীগঞ্জের পানগাঁও। আগামী ডিসেম্বরে এদের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।

১২ অক্টোবর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানান। এতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বিদেশি কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে। তাদের প্রতিবেদন সরকার ছয় মাস আগে পেয়েছে।’

সংশোধিত ট্যারিফ সূচির বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর—উভয়েরই আয় এতে বাড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সেসব সেবায়, যেগুলো সরাসরি বেসরকারি অপারেটরদের আয়ের উৎস। বিদেশি অপারেটরদের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম—ক্রেন অপারেশন, কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিং, স্টোরেজ, রিফার প্লাগ-ইন এবং কনটেইনার চলাচলের ট্যারিফ গড়পড়তা ১৪৪ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, সিপিএ-সংক্রান্ত চার্জ, যেমন পাইলটেজ, নেভিগেশন এবং নদী শুল্ক প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বন্দরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হওয়া বন্দরের বর্ধিত মাশুলের অংশ কোনো আবেদন ছাড়াই পতেঙ্গা টার্মিনালের বিদেশি অপারেটর আরএসজিটিআই পাবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বছরে অনেক টাকা ব্যয় হয়, তাই ৩০-৪০ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, মাশুল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম-বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম স্বপন জানান, একে একে চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে। এ সময়ে মাশুল বৃদ্ধি করার কোনো যুক্তি নেই। যেন বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

একইভাবে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘কার স্বার্থে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে? বন্দরে মাশুল পরিশোধ হয় ডলারে। ৩০ বছরে ডলারের দাম চার গুণ বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’

হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল: অস্ত্রোপচারে মাসের অপেক্ষা

  • ২৫০ শয্যার ভবনে ৫০ শয্যার জনবল, ২৯ পদ ফাঁকা
  • অ্যানেসথেসিয়ার কনসালট্যান্ট নেই ১০ মাস, সার্জারিতে দেরি
মাহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ১৪
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বারান্দায় রোগী ও স্বজনদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বারান্দায় রোগী ও স্বজনদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পূর্ণাঙ্গ সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। বিকল্প হিসেবে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার বা সহকারী সার্জনকে এনে সাময়িকভাবে ব্যবস্থা করে চালানো হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। খাতাকলমে ১০০ শয্যায় রূপ নিলেও শুধু খাবার এবং ওষুধ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখনো সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের ৭ বছর পার হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয়নি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই এ বিশাল চাপ প্রতিনিয়ত সামলাতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ শয্যার জনবলেও সংকট রয়েছে। হাসপাতালের সিনিয়র চক্ষু কনসালট্যান্ট, সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট, সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট, জুনিয়র ইএনটি কনসালট্যান্ট, জুনিয়র রেডিওলজিস্টসহ একজন মেডিকেল অফিসার, ডেন্টাল সার্জনের পদসহ মোট ৯ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২০টি পদ ফাঁকা। সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন আ স ম মোস্তফা কামাল ডেপুটেশনে সদর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। অ্যানেসথেসিয়া কোর্স সম্পন্ন থাকায় আপাতত তাঁর মাধ্যমেই অপারেশন থিয়েটার চালানো হচ্ছে।

হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক জোনে ভর্তি রোগী উজির আলী বলেন, ‘প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভর্তি আছি। ডাক্তার বলেছেন, সোমবার অপারেশন হবে, কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়। গরিব মানুষের মৃত্যুতেও শান্তি নেই।’

সেলিনা খাতুন নামের এক রোগী বলেন, ‘১৫ দিন হয়ে গেল ভর্তি আছি। প্রথমে তারিখ দিয়েছিল, পরে পরিবর্তন করেছে। এখন আর বিশ্বাস করতে পারি না কবে হবে অপারেশন।’

হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘জানুয়ারিতে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট বদলি হওয়ার পর অপারেশন থিয়েটার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন পর বিকল্প ব্যবস্থায় পুনরায় চালু করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশনের মাধ্যমে একজন সহকারী সার্জন হাসপাতালে যোগদান করে অ্যানেসথেসিয়া দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে ভোগান্তির কথা স্বীকার করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন। তিনি বলেন, হাসপাতালটি মাত্র ১০০ শয্যার, কিন্তু জনবল ৫০ শয্যার। রোগী ভর্তি থাকে ৩৫০ শয্যার মতো। দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায় একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্টকে (অ্যানেসথেসিয়া) অন্যত্র বদলি করার পর। এরপর থেকে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। বিকল্প উপায়ে সাধারণ কিছু অপারেশন হলেও উপায় না থাকায় গুরুতর রোগীদের অন্যত্র রেফার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

রোববার শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’

হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত